জাপানের প্রধান মন্ত্রী আবে সিনজো ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ২টায় প্রধান মন্ত্রী ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংএ তার পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। তিনি প্রেস ব্রিফিংএ বলেছেন, গত জুলাই মাসে যদিও সিনেট নির্বাচনে সিমেন পাটি পরাজিত হয়েছে , তবুও সংস্কার অব্যাহত রাখার রাখার জন্য তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। সংস্কারের জন্য মন্ত্রী সভায় রদবদলও হয়েছে। কিন্তু বতর্মান পরিস্থিতি থেকে বুঝা যায় যে, এই সংস্কারে জনগনের আস্থা নেই। সুতরাং সংস্কার অব্যাহত রাখার জন্য তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১০ সেপ্টেম্বর জাপানের অস্থায়ী কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হয়। ঠিক এ সময় আবে সিনজোর পদত্যাগ জাপানের রাজনৈতিক মঞ্চে তথা সারা দেশে আড়োলনের সৃষ্টি করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী , ১২ সেপ্টেম্বর বিকালে প্রতিনিধি পরিষদের শুনানি আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু তার পদত্যাগেরকারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। সিমেন পাটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা আবে সিনজোর পদত্যাগে আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তারা অভিযোগ করে বলেছেন, আবে সিনজোর পদত্যাগ দেশের রাজনীতির উপর অতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে দেশ সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো মনে করে, এ সময় আবে সিনজোর পদত্যাগ এক ধরনের অদায়িত্বশীল তত্পরতা। সিনেট নির্বাচনের পর পরই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
অন্য দিকে ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংএ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিয়াং ইয়ু সাংবাদিকদের বলেছেন, আবে সিনজোর পদত্যাগ জাপানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের সরকার ও বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের মিলিত প্রচেষ্টায় চীন ও জাপানের মধ্যেকার সম্পর্কে লক্ষ্যণীয় উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে। আবে সিনজো এতে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছেন।
|