দু'দিনব্যাপী এপেকের ১৫তম নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে শুরু হয়েছে। সম্মেলনে আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবিলা, জ্বালানি সম্পদের নিরাপত্তা ও দুষণমুক্ত উন্নয়ন সংক্রান্ত "সিডনি ঘোষণা" গৃহীত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের অধিবেশনে এক ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবেলাসহ নানা সমস্যা প্রসঙ্গে চারটি প্রস্তাব করেছেন। প্রথমতঃ শিল্পোন্নত দেশগুলো ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সহযোগিতা করে সমস্যাগুলোর মোকাবেলা করা উচিত। দ্বিতীয়তঃ টেকসই উন্নয়ন অনুসরণ করতে হবে। তৃতীয়তঃ চুক্তিগুলোর প্রধান ভূমিকা পালন করা উচিত। চতুর্থতঃ বৈজ্ঞানিক নবায়ন ও উদ্ভাবন করা উচিত।
হু চিন থাও "এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বনাঞ্চলের পুনরুদ্ধার ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নেট" প্রতিষ্ঠা করা, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সদস্যদের বনাঞ্চলের পুনরুদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময়, নীতিগত সংলাপ ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করেছেন। যাতে যৌথভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বনাঞ্চলের পুনরূদ্ধার ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায় এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
একই দিন বিকালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে "সিডনি ঘোষণা" প্রকাশ করেছেন। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২০ সাল পর্যন্ত এপেক সদস্যদের বনাঞ্চলের আয়তন কমপক্ষে ২ কোটি হেক্টর বাড়াবে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|