থাইল্যান্ড এশিয়ার মধ্য-দক্ষিণ উপদ্বীপের মধ্য দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির আয়তন ৫.১৩ লাখ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। তার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক মিয়ানমার সংলগ্ন। উত্তর পূর্ব দিকে লাওস। দক্ষিণ পূর্ব দিকে কম্পুচিয়া।
লোকসংখ্যা ৬.৩০৮ কোটি। সারা দেশের মোট ৩০টিরও বেশ জাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ অধিবাসী বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। কয়েক শো বছর ধরে , থাইল্যান্ডের জীবন-যাপনের অভ্যাস, সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং স্থাপত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয় বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশটিতে ভ্রমণ করতে গেলে, নিশ্চয়ই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্যাগোডা দেখতে পারেন। সুতরাং " বৌদ্ধ ধর্মীয় দেশ" বলে থাইল্যান্ডের সুনাম রয়েছে।
রাজধানি ব্যাংকক। এ হচ্ছে সারা দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আধুনিক ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরস্পরের মিলিত হওয়ার একটি বৃহত্তম শহর। প্রতিবছর বিশ্বের হাজার হাজার পর্যটক ব্যাংকক ভ্রমণ যায়।
ঐতিহ্যিক কৃষি দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডের কৃষি পণ্য হলো দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মধ্যে অন্যতম।আবাদী জমির আয়তন সারা দেশের মোট আয়তনের ৩৮ শতাংশ । একই সঙ্গে থাইল্যান্ড হচ্ছে বিশ্বে চাল উত্পাদনকারী ও রপ্তানি ক্ষেত্রের একটি বিখ্যাত দেশ। চালের রপ্তানি হলো দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্স। তার রপ্তানির পরিমাণ সারা বিশ্বের মোট পরিমাণের এক তৃতীয়াংশ।
থাইল্যান্ডের প্রাকৃতিক জ্বালানি সম্পদও প্রচুর। এর মধ্যে রয়েছে লবণ, সিকিম, কয়লা এবং প্রাকৃতি গ্যাস। লবণের মজুদের পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক। সিকিমের মোট মজুদের পরিমাণ হয়েছে ১২ লাখ টন। তা বিশ্বের মোট পরিমাণের ১২ শতাংশ। কয়লার মোট মজুদের পরিমাণ ২ বিলিয়ন টন। প্রাকৃতি গ্যাসের মোট মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৬.৪ ট্রিলিয়ন কিউবিকমিটার।বনসম্পদের আয়তনের হার ২৫ শতাংশ। থাইল্যান্ডের মাথাপিছু জি.ডি.পির মূল্য প্রায় ২ হাজার ৫২৫ মার্কিন ডলার।
চীন ও থাইল্যান্ডের মৈত্রী সুদীর্ঘ। ১৯৭৫ সালের পয়লা জুলাই থাইল্যান্ডের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও থাইল্যান্ড সফর করেছেন।
|