v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-07 19:32:11    
এপেকের শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু ও অর্থনীতি নিয়ে আলোচনাএপেকের শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু ও অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা

cri
      এপেকের ১৫তম নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক অধিবেশন আগামী ৮ই ও ৯ই সেপ্টেম্বর অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে শুরু হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সহ এপেকের ২১টি সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ অথবা তাদের প্রতিনিধিরা এবারের অধিবেশনে অংশ নেবেন। অধিবেশনে জলবায়ু ও দূষণমুক্ত উন্নয়ন, দোহা দফা আলোচনা ও আঞ্চলিক অর্থনীতিকরণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

    মৌলিকভাবে বলতে গেলে, বতর্মানে বিশ্বজুড়ে এবং এলিয় ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এর পাশাপাশি অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যাপকভাবে প্রসারিতহচ্ছে। কিন্তু কতকগুলো সমস্যার সম্মুখীনও রয়েছে। যেমন, অথনীতির ভারসাম্যহীনতা গুরুতর আকাশ ধারন করেছে , বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের আবির্ভাব হয়েছে, জ্বালানির উতসের চাপ বেড়েছে এবং পরিবেশের অবনতি ঘটেছে । এবারের অধিবেশন চলাকালে নেতৃবৃন্দের মধ্যে দুটো পর্যায়ে ভিন্নভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রথম পর্যায়ে বিশেষভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দোহা দফা আলোচনা ও আঞ্চলিক অর্থনীতিকরণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

    জলবায়ুর পরিবর্তন সমস্যা কেন এপেকের শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চ পর্যায়ের মনোযোগ পেয়েছে তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত: কিছু দিন আগে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ও জাতি সংঘ পরিবেশ কার্যক্রমের যৌথ উদ্যাগে গঠিত জাতি সংঘের ও বিভিন্ন সরকারের মধ্যেকার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ কমিটির প্রকাশিত চতুর্থ বার জরীপ রির্পোটে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ৯০ ভাগ সম্ভাবত মানব জাতির সৃষ্টি। এর পাশাপাশি গ্রীণ হাউসের বিষাক্তগ্যাস অপেক্ষাকৃত নীচু পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা আছে। বিশ্বজুড়ে এখনও সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

    দ্বিতীয়ত: বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা কেবল পরিবেশ ও জলবায়ুর সমস্য নয়, বরং এ সমস্যা রাজনীতি, অর্থনীতি ও উন্নয়ন ক্ষেত্রের উপর প্রভাব ফেলেছে। এই সমস্যা আসলে এখন বিশ্বজুড়ে গণ সম্পদের প্রয়োগ ও ভাগাভাগি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিষ্পত্তির উপায়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মতভেদ বিরাজ করছে। সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যোগাযোগ ও সংলাপ জোরদার করা খুব প্রয়োজন। অনুমান করা হচ্ছে যে , এবার অধিবেশনে বিভিন্ন সদস্য দেশের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এবারের অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে " সিডনি ঘোষণা" প্রকাশিত হবে।

     এবার অধিবেশনে দোহা দফা আলোচনার বিষয়টি ব্যাপক মনোযোগ পাবে। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে কার্তারের রাজধানী দোহাতে চর্তুথ মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে নতুন দফা বহুমুখী বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু কৃষি সমস্যায় গুরুতর মতভেদ রয়েছে বলে গত বছরের জুলাই মাসে দোহা দফা আলোচনা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়। গত ফেব্রুয়ারী মাসে জেনিভায় দোহা দফা আলোচনা আবার শুরু হয়। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ দোহা দফা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করবেন।

     ১৯৮৯ সালে এপেক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এশিয় ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা জোরদার করা এবং বাণিজ্য পুঁজিবিনিয়োগের অবাধকরণ সহ বিভিন্ন এপেক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। সুতরাং এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আঞ্চলিক অর্থনীতিকায়ন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হবে।

     বিশ্লেষকরা মনে করেন, এপেকের নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক অধিবেশন বিভিন্ন সদস্য দেশগুলোর মধ্যেকার সহযোগিতার জন্য আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা

করেছে।