v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-06 19:44:00    
ইরাক থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার শুরু

cri

    সম্প্রতি ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের শহর বশরায় মোতায়েন প্রায় ৫৫০ জন ব্রিটিশ সৈন্য এ শহরের কেন্দ্রীয় ঘাঁটি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পযর্ন্ত ইরাকে ব্রিটেনের মোট ৫৫০০ জন সৈন্য পুরোপরিভাবে ইরাকের বিভিন্ন শহর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।বিশ্লেষকরা মনে করেন, ব্রিটেনের এই তত্পরতা থেকে বুঝা যায় যে, ইরাক সমস্যায় ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে থাকতে চান। এর পাশাপাশি এতে প্রতিফলিত হয়েছে যে, ব্রিটেন তার মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করছে।

    গত ২রা এবং ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে বৃটেন তার ৫৫০ সৈন্য ইরাকের বশরার প্রাসাদ থেকে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে। যদিও ব্রিটেন এর আগে জোর দিয়ে ব্যখ্যা করেছে যে , বশরা প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইরাকের কতৃর্পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হল এবারের প্রত্যাহারের মৌলিক উদ্দেশ্য। কিন্তু জনমত অনুযায়ী , এটা হল ইরাক থেকে ব্রিটিশ সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহারের সুত্রপাত।

   সবাই জানে যে, গর্ডন ব্রাউনের পূর্বসুরি টনি ব্লেয়ার ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি ব্রিটেনকে ইরাক যুদ্ধে

   ঠেলে দিয়েছেন। নানা ধরনের আভাস থেকে বুঝা যায়, প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর গর্ডন ব্রাউন ব্রিটেনকে ইরাক যুদ্ধের কবল থেকে মুক্তি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বশরা থেকে সৈন্য প্রহ্যাহার করার মাধ্যমে তিনি সারা বিশ্বের কাছে ব্যাখ্যা করতে চান যে, ইরাক সমস্যায় তার নীতি টনি ব্লেয়ারেরমতো নয়। গত জুলাই মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় গর্ডন ব্রাউন জোর দিয়ে বলেছেন, ইরাকের পরিস্থিতি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইরাকের মোতায়েন ব্রিটিশ সেনা ধাপে ধাপে তার ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা ইরাক সরকার ও তার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে। গত কয়েক মাস ধরে ইরাকে ব্রিটিশ সৈন্যদের হতাহতের সংখ্যা একটানা বেড়েছে। ফলে, ব্রিটেনে যুদ্ধের বিরোধীতার মনোভাব তীব্রতর হয়ে উঠেছে।ব্রিটিশ সেনাদের উদ্দেশ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইরাক থেকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে ব্রিটেনের উচ্চ সামরিক কর্মকর্তারাও সরকারকে সৈন্য সনিয়ে আনারর প্রস্তাব উস্থাপন করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ব্রিটেন ইরাকের দক্ষিণাংশে কোন সাফল্য অজর্ন করতে পারবে না। গত ৪ সেপ্টেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংএ প্রধান মন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, বশরা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার হচ্ছে ব্রিটিশ সৈন্যদের সৈন্য শীঘ্রই বিপদ থেকে রক্ষা করা এবং মাতৃভূমির কোলে প্রত্যার্বতনের সূত্রপাত। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত প্রত্যাহার পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের মে মাসের আগে ব্রিটেন তার সমস্ত সৈন্য পুরোপুরিভাবে ইরাক থেকে সরিয়ে নেবে।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরাক থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, তাঁর পূর্বসুরি টনি ব্লেয়ার মতো গর্ডন ব্রাউন আর যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে লেগে থাকতে চান না। ব্রিটেনের এবারের সৈন্য প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। উপরন্তু ঠিক এই সময় বুশ ইরাক সফর করছেন। যদিও হোয়াইট হাউস এর প্রতিপ্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করে নি, তবু কোন কোন মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটেনের এই প্রত্যাহারের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা এই প্রত্যাহারকে " তাড়াহুড়া পলায়ন " বলে আখ্যায়িত করেন।

    গর্ডন ব্রাউন অবশ্যই জানেন যে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এ পরিকল্পনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। কিন্তু তাঁর এই সংকল্প অপরিবর্তিত । প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বিভিন্ন উপলক্ষ্যে জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও ব্রিটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ। টনি ব্লেয়ারের আমলের বিশেষ সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু জনমত অনুযায়ী, গর্ডন ব্রাউন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে টনি ব্লেয়ার আমলের মনোভাব পরিত্যাগ করেছেন। উল্লেখ্য, টনি ব্লেয়ারেরআমালে প্রেসিডেন্ট বুশ যা বলেছেন টনি তা মেনে চলেছেন। কিছু দিন আগে, গর্ডন ব্রাউন সরকারের দু'জন মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাবাদ নীতির সমালোচনা করেছেন।