v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-05 20:35:51    
পাকিস্তানে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ

cri

    পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত রাওয়ালপিন্ডিতে ধারাবাহিকভাবে দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় কমপক্ষে ২৫জন নিহত এবং ৬০জনেরও বেশি আহত হয়।

    এ দিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে যখন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সামরিক যান রাওয়ালপিন্ডির একটি বাজারের কাছে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে । ফলে ১৭জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়।

    এর এক ঘন্টার মধ্যেই এ বাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের আর একটি বাজারে বোমাবাহী একটি মোটর সাইকেলও বিস্ফোরিত হয় । ফলে সেখানেও ৮জন মারা যায় ।

    রাওয়ালপিন্ডি হচ্ছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর এলাকা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, এদের মধ্যে অধিকাংশই সৈনিক । অন্য বোমা বিস্ফোরণটি সৈনিকদের অফিসে যাওয়ার পথে ঘটে।

    বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ এবং প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন। মুশাররফ নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আজিজ বলেছেন, চরমপন্থী ঘটনা সমাজের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যতের জন্য চরমপন্থীদের ওপর কড়াকড়ি আঘাত হানা উচিত। চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তান সরকার রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত "লাল মসজিদে" সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার পর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল ও জরুরী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। রাজধানী ইসলামাবাদে জুলাই মাস ধারাবাহিকভাবে দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় কমপক্ষে ৩০জন নিহত এবং এক শোজন আহত হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর লাল মসজিদের কাছাকাছি একটি বাজারেও আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় কমপক্ষে ১৩জন নিহত এবং ৬১জন আহত হয়েছে। নিহত ১৩জনের মধ্যে ৭জনই পুলিশ।

    বিশ্লেষকগণ মনে করেন, এটি হচ্ছে আফগান যুদ্ধ এবং পাকিস্তান দু'দেশের সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসদমনের ওপর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তানের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রী ইজাঝ উল হাক বোমা বিস্ফোরণের পর স্থানীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় বলেছেন, সন্ত্রাসদমনের পর্যবেক্ষণ দেশ হিসেবে পাকিস্তানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসদমন কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছে। উত্তরপশ্চিম এলাকায় প্রবেশকারী বেআইনী বিদেশী সশস্ত্র ব্যক্তি ও স্থানীয় সশস্ত্র ব্যক্তিদের ওপর আঘাত হানার জন্য পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে। যার ফলে অভ্যন্তরীণ কিছু উপজাতি এলাকার ব্যক্তিগণ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ধর্মীয় চরমপন্থীরা এই সুযোগের মাধ্যমে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মসূচী চালু করেছে।

    সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিস্থিতি ধাপে ধাপে জরুরী ছিল। পাকিস্তানের বিভিন্ন মহা নগরে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে।

    জনমত মনে করে, ধাপে ধাপে জরুরী নিরাপত্তা বিষয় শিগগিরই অনুষ্ঠিতব্য পাকিস্তানের নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার সম্ভব হবে। পাকিস্তানের রেল মন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ রাওয়াল্পিন্ডির বোমা বিস্ফোরণের পর সাক্ষাত্কারে বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মসূচী থাকলে সেপ্টেম্ব থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা আছে।(পান্না)