v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-05 18:33:59    
কাজী আমিনুল ইসলামের সাক্ষাত্কারের প্রথম অংশ

cri
    এ বছর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সচিব কাজী আমিনুল ইসলাম একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে চীন সফর করেছেন। সফরকালে তিনি দু'বার চীন আন্তর্জাতিক বেতার পরিদর্শন করেছেন এবং সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। সাক্ষাত্কারে তিনি চীন সফরের উদ্দেশ্য ও চীনের তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করেছেন।

    প্রঃ জনাব আমিনুল ইসলাম, আপনি কবে চীনে এসেছেন?

    উঃ ২৪ মে এসেছি।

    প্রঃ কী উদ্দেশ্যে এসেছেন?

    উঃ আমরা যে উদ্দেশ্যে এসেছি তা একটু ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছি। আপনি জানেন, বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলায় ১১টি গোত্রের সাড়ে ছয় লাখ উপজাতি এবং ৩০টি জেলায় এথনিক সম্প্রদায়ের লোক বাস করেন।

    প্রঃ এর আগে কী কখনো চীনে এসেছেন?

    উঃ না, এর আগে আমার চীনে আসার সুযোগ হয় নি। এই আমার প্রথমবার আসা।

    প্রঃ আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতি সম্পর্কিত বিষয়টি মূখ্য।

    উঃ হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে বাংলাদেশের উপজাতি এবং ক্ষুদ্র জাতি জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিষয়টিই এবারে মুখ্য। এসব মানুষকে উন্নয়নের অংশীদার করে কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে এবং তাদের ক্ষমতায়ন করে তাদের দারিদ্রতা দূর করা এবং নিজস্ব কৃষ্টি কালচার সংরক্ষণ করে অর্থনীতির মূলধারায় তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য সরকার বাংলাদেশে অনেক কার্যক্রম নিয়েছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরেও বেশ কিছু জেলায় যে সব এথনিক কমিউনিটি বা গ্রুপের জনসংখ্যা রয়েছে, তাদের জন্য সরকার প্রধান তথা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি কার্যক্রম রয়েছে এবং এই কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে মূলত আমরা চাচ্ছি যে, এই সমস্ত জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় আত্মীক যে চাহিদা রয়েছে এবং অর্থনেতিক এবং সামাজিক যে আকাঙ্খাগুলো রয়েছে সেই আকাঙ্খাগুলো পুরণ করা। সরকার যে সমস্ত কার্যক্রম নিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে তাদের জন্য মঠ ও গির্জা নির্মাণ ও সংস্কার করা। তা ছাড়া এ সমস্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের প্রদান করা হচ্ছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা। সৃষ্টি করা হচ্ছে সম্মিলিত হবার প্রয়োজনীয় স্থাপনা, দেয়া হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ এবং প্রশিক্ষণ। তিনটি পার্বত্য জেলায় একটি উন্নয়ন বোর্ড রয়েছে। তা ছাড়া প্রত্যেকটি পার্বত্য জেলায় রয়েছে স্থানীয় সরকার যাকে বলা হয় পার্বত্য জেলা পরিষদ। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য জেলায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চলছে।

    আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র এই পার্বত্য জেলার জনগোষ্ঠীর বিশেষ প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছে। এবং এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন এনজিও, ইউএনডিপি, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর মাধ্যমে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সমুহ পার্বত্য জেলা সমূহে দারিত্র দূরীকরণের নানা বিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ ইতোমধ্যেই সেনা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের পদে আসীন হয়েছেন। সিভিল প্রশাসনেও উচ্চ পদেও আসীন হয়েছেন। আপনারা জানেন যে, দারিদ্র দুরীকরণে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং এই কার্যক্রম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দারিদ্র দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে বাংলাদেশ সরকার উপজাতীয় এবং এথনিক গ্রুপের জন্য যা কিছু সম্ভব তা করতে চায় এবং সেই জন্যই আমরা এ ক্ষেত্রে চীন যে সব কর্মসূচী বা কার্যক্রম নিয়েছে আমরা তা থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার জন্যই এবার এসেছি।

    প্রঃ আমি এখন একটি অতিরিক্ত প্রশ্ন করতে চাচ্ছি। চীনে ৫৬টি জাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি সংখ্যালঘু জাতি রয়েছে। আমাদের দেশের সংখ্যালঘুজাতিগুলোর উন্নয়নের জন্য সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। তাহলে আমি জানতে চাচ্ছি এবারে চীন ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুজাতির উন্নয়নের জন্য দু'দেশের মত বিনিময় কি এই প্রথম?

    উঃ আমরা এবারে এসে ইতোমধ্যেই যে বিষয়টা জেনেছি যে চীনের সরকার এবং এ দেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং চীনের সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষুদ্র জাতিসমূহের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তা পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে যে অভিজ্ঞতা রয়েছে সে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে তার আলোকে বাংলাদেশের বিদ্যমান কার্যক্রমকে আরো পরিশীলিত করা, আরো কার্যকর করে তোলার লক্ষেই এই সফর।

  (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)