চীনের একজন অর্থনীতি বিষয়ক কর্মকর্তা ৪ সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , ভবিষ্যতে চীন পুননির্মান করা যায় এমন জ্বালানী সম্পদেরউন্নয়ন জোরদার করবে এবং বর্তমানেকয়লাকে প্রধান জ্বালানী সম্পদ হিসেবে গ্রহণের অবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা চালাবে । এ জন্য চীন সরকার সুবিধাজনক করের ব্যবস্থা এবং গবেষণার কাজে অর্থবিনিয়োগ বাড়িয়ে দেয়াসহ নানা ব্যবস্থা নেবে। যাতে ২০২০ সালে পুননির্মান করা যায় এমন জ্বালানী সম্পদের ব্যয় মোট জ্বালানী সম্পদের ব্যয়ের ১৫ শতাংশ হওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়িত করা যায় ।
সম্প্রতিচীন সরকার " পুননির্মানকরা যায় এমন জ্বালানী সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে মধ্য ও দীর্ঘকালীন কার্যক্রম" প্রকাশ করেছে । চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ছেন ত্যমিং ৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে দেশী-বিদেশী সংবাদদাতাদের কাছে কার্যক্রমের সার সংক্ষেপবর্ণনা করেছেন । তিনি বলেছেন, বর্তমানে চীনের মোট জ্বালানী সম্পদের ব্যয়ের মধ্যে এ ধরণের জ্বালানী সম্পদের অনুপাত ৮ শতাংশেরও কম । চীন সরকার উল্লেখ করেছে , ২০২০ সালে এই অনুপাতকে ১৫ শতাংশে উন্নত করবে । তিনি বলেছেন , প্রথমতঃবিশাল চীনের দূর প্রান্তের বহু এলাকা এবং গ্রামাঞ্চলে এখনো বিদ্যুত ব্যবহার হয়নি । তাই পুননির্মানকরা যায় এমন জ্বালানী সম্পদের ব্যবহার এই সব জায়গার অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে । দ্বিতীয়তঃ চীনের অর্থনৈতিক কাঠামোরএবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পদ্ধতিপরিবর্তনকরা হবে। তাই এধরণের জ্বালানী সম্পদের উত্পাদন উন্নয়ন শিল্প ও কলাকৈশল উন্নয়নের একটি নতুন প্রধানক্ষেত্র হবে । এ ধরণের জ্বালানী সম্পদের ক্ষেত্রে বিশ্ব অনেক অভিন্ন নতুন প্রকৌশল উদ্ভাবনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে । এক্ষেত্রের উন্নয়নে আমরা নিজের জন্য অনেক নতুন লক্ষ্যস্থাপন করেছি ।
মিঃ ছেন বলেছেন , পুননির্মান করা যায় এমন জ্বালানী সম্পদ উন্নয়নে চীনের অনেক অনুকূল অবস্থা রয়েছে । বর্তমানে বিশ্বের কিছু কিছু দেশ ভূট্টা সহ নানা খাদ্যশস্য দিয়ে জীব-জ্বালানী সম্পদ তৈরী করছে । এ সম্পর্কে মিঃ ছেন বলেছেন , পরবর্তীকালে জীব-জ্বালানী শক্তির উন্নয়নে চীন এই পদ্ধতি ব্যবহার করবে না । তিনি বলেছেন , পুননির্মানকরা যায় এমন জ্বালানী সম্পদের উন্নয়নে উত্সাহ দেয়ার জন্য চীন এখন অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এধরণের জ্বালানী সম্পদের উন্নয়নে অংশ নিতে বড় আকারের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছে । তিনি বলেছেন ,প্রথমতঃ মূল্য নীতি সহ নানা নীতির দিক থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয়ভাবে পরামর্শ এবং বায়ু শক্তিএবং সৌর শক্তি ব্যবহারে তাদেরকে উত্সাহ দেয় । দ্বিতীয়তঃ আমাদেরকে আর্থিক ও করের সুবিধাজনক নীতি নিতে হবে । এই নীতিতে বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে ভর্তুকি দেয়া এবং কর মওকুফ করা । তৃতীয়তঃ আমাদেরকে বাজার লালনপালন করতে হবে । যেমন , নির্মাণ ব্যবসায়ী এবং স্থাবর ব্যবসায়ীদের কাছে স্থাবর উন্নয়নে সৌরশক্তি ব্যবহারের কিছু ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাতে হবে । চতুর্থতঃ বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবিনিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ জোরদার করতে হবে । অবশেষে এ ধরণের জ্বালানী সম্পদের উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রচার জোরদার করতে হবে এবং এতে জনসাধারণের অংশ নেয়ার মান উন্নত করতে হবে ।
চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ছেন ত্যমিং আরও বলেছেন , প্রকৌশলের মান সীমিত হওয়ার কারণে বায়ু চালিত বিদ্যুত উত্পাদনহোক বা সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুত উত্পাদন হোক অথবা পুননির্মান করা যায় এমন জ্বালানী সম্পদের উত্পাদন হোক , এ সব উত্পাদনের ব্যয় কয়লা দিয়ে বিদ্যুত উত্পাদনের চেয়ে অনেক বেশি । তাই চীন এখন বিদ্যুতের দাম পুরোপুরি উন্মুক্ত করে বাজারকে স্থির করতে দিতে পারছে না । কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাসঙ্গিক তদন্ত ও গবেষণা চালাচ্ছে । যাতে ধাপেধাপে বিদ্যুতের মূল্য স্থির করার পদ্ধতি পরিবেশের কথা বিবেচনা করার পাশাপাশি পুননির্মান করা যায় এমন জ্বালানী সম্পদের উন্নয়নের অনুকূল দিকে পরিবর্তন করা যায়।
|