v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-03 18:40:27    
হু চিনথাও অষ্ট্রেলিয়া সফর করবেন এবং এপেকের শীর্ষনেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক অধিবেশনে অংশ নেবেন

cri
    ৩ সেপ্টেম্বরচীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও অষ্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে পেইচিং থেকে রওয়ানা হয়ে গেছেন । অষ্ট্রেলিয়ায় এটা তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর । এ ছাড়াও তিনি সিডনিতে অনুষ্ঠিতব্য এপেকের শীর্ষনেতৃবৃন্দের পঞ্চদশ অনানুষ্ঠানিক অধিবেশনে অংশ নেবেন । এটা চীনের ক্ষামতাসীন পার্টির জাতীয় কংগ্রেসের আগে চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র বিষয়ক কার্যক্রম। এটা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন , এবারের সফর চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার সার্বিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কেরসুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়নকে তরান্বিতকরবে । এপেকের শীর্ষ সম্মেলনে হু চিনথাও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতার প্রক্রিয়া, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশ্ব এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যণীয়সমস্যা সম্পর্কে চীনের অভিমত ব্যাখ্যা করবেন ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ প্রশান্ত মহা সাগর ও ভারতের মাঝখানে অবস্থিত অষ্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেছিলেন । ৪ বছর পর তিনি আবারও অষ্ট্রেলিয়া সফর করছেন । এথেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে , চীন দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় । পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হো ইয়াফি এবারের অষ্ট্রেলিয়া সফরের উদ্দেশ্য ও তাত্পর্য সম্পর্কে বলেছেন , এ বছর চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো , অভিন্ন অভিমত সম্প্রসারণ, সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথভাবে ভবিষ্যত সৃষ্টি করাই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের এবারের অষ্ট্রেলিয়া সফরের উদ্দেশ্য । দুদেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় ঘনিষ্ঠ করা , বন্ধুত্বপূর্ণ আদান প্রদান জোরদার করা , বস্তুনিষ্ঠ সহযোগিতাকে গভীরে নিয়ে যাওয়া এবং দুদেশের সার্বিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়ন তরান্বিত করার ব্যাপারে এবারের সফর গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যসম্পন্ন ।

    বিগত বছরগুলোতে চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক অব্যাহতভাবে উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রয়েছে । দুদেশের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে ঘনঘনভাবে সফর বিনিময় হচ্ছে । পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার হচ্ছে । আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা নানা দিক থেকে গভীরভাবে জোরদার হচ্ছে । চীন এখন অষ্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজিক অংশীদার এবং অষ্ট্রেলিয়া চীনের নবম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে । বিজ্ঞান , শিক্ষা , সংষ্কৃতি , পরিবেশ রক্ষা ও জ্বালানী সম্পদ সহ নানা ক্ষেত্রে চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা ও বিনিময় ক্ষেত্রেউল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে । হো ইয়াফি প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের সফরসূচী সম্পর্কে বলেছেন , সফরকালে প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও চ্যান্সেলর মাইকেল জেফরি , প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার এবং বিরোধী পার্টি ওয়ার্কাসপার্টির নেতৃবৃন্দ সহ অষ্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দেরসঙ্গে বৈঠক করবেন । তাদের সঙ্গে দুদেশের সম্পর্কএবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্টগুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় করবেন ।

    এপেকের নেতৃবৃন্দেরঅনানুষ্ঠানিক অধিবেশনে অংশ নেয়া হু চিনথাওয়ের এবার সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । অধিবেশনে অংশ নেয়া ছাড়[ও হু চিনথাও ধারাবাহিক অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছুই থিয়েনখাই বলেছেন , প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও শীর্ষনেতৃবৃন্দেরঅনানুষ্ঠানিক অধিবেশন , এপেকের এবি এসি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শীর্ষনেতাদের সংলাপ এবং এপেকের শীর্ষ বাণিজ্যিক অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন । হু চিনথাও এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা প্রক্রিয়া এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে চীনের মতামত ও প্রস্তাব ব্যাখ্যা করবেন । এপেকের শীর্ষ বাণিজ্যিক অধিবেশনে হু চিনথাও বিশ্ব এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্মুখীন সমস্যা সম্পর্কে চীনের অবস্থানবর্ণণা করবেন । তাছাড়া প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও অন্যান্যসদস্যের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবহাওয়া পরিবর্তন সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে । এটা শুধু পরিবেশ রক্ষার সমস্যা নয় , এটা রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়ে একটি জটিলতার সৃষ্টি করেছে । এপেকের শীর্ষ অধিবেশনে স্বাগতিক দেশ অষ্ট্রেলিয়া আবহাওয়া পরিবর্তন সমস্যাকে একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে গ্রহণ করবে এবং প্রথম পর্যায়ের সভায় বিশেষভাবে আলোচনা করবে । এ সম্পর্কে ছুই থিয়েনখাই বলেছেন , বিভিন্ন সদস্যদের ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কিত " সিডনি ঘোষণা" এবং যৌথভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনমোকাবেলায়এপেকের সদস্যদের ইতিবাচক অভিমত প্রকাশ করবে বলে চীন আশা করে ।