v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-31 18:57:32    
নরওয়ের রাজা পঞ্চম হ্যারাল্ড

cri

    রাজা পঞ্চম হ্যারাল্ড ১৯৩৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী নরওয়ের রাজধানী অসলোয় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নরওয়ের ভূখন্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথম রাজা। ১৯৪০ সালে জার্মান বাহিনী নরওয়ে আক্রমণ করে। তিন বছর বয়সী হ্যারাল্ড ও তাঁর বড় দু বোন মার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। ১৯৪৫ সালে বিশ্ব দ্বিতীয় যুদ্ধ শেষের পর তিনি পুনরায় নরওয়েতে ফিরে আসেন। ১৯৫৫ সালে হাই স্কুল থেকে স্নাতক। এরপর তিনি নরওয়ের সামরিক একাডেমিতে লেখাপড়া করেন। ১৯৫৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি নরওয়ের যুবরাজ নির্বাচিত হন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনের অক্সফর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি নরওয়েতে ফিরে এসে তাঁর বাবার সঙ্গে রাজ পরিবারের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি নরওয়ে নৌ-বাহিনীর

(রাজা হ্যারাল্ড ও রানী সোন্জা চীনের ইউননান প্রদেশের লিচিয়াংয়ে)

জেনারেলের মর্যাদা লাভ করেন। ১৯৮৪ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ব্রিটেনের ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯১ সালে তাঁর বাবা মারা যান। ২১ জানুয়ারী তিনি রাজার দায়িত্বের উত্তরাধিকারী হন।

     হ্যারাল্ড খেলাধুলা পছন্দ করেন। তিনি স্কিং ও ইয়াছিং ভালভাবে করতে পারেন। তিনি বহুবার নরওয়ের পক্ষ থেকে অলিম্পিক গেমসের ইয়াছিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং অষ্টম ছিলেন। তাঁর আদর্শবাক্য হল 'নরওয়ের প্রতি সচেতনাতা'। তিনি নরওয়ে পণ্যদ্রব্যের আমদানি বিশেষ করে নৌ পরিবহনের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।

(রানী সোন্জা)

    তাঁর স্ত্রী রানী সোন্জা ১৯৩৭ সালের ৪ জুলাই অসলোয় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটেনের ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী, ফ্রান্চ, ও সংস্কৃতি উন্নয়নের ইতিহাস নিয়ে লেখাপড়া করেন। ১৯৭১ সালে তিনি এ তিন বিষয়ের স্কলারের

(রাজা হ্যারাল্ড ও রানী সোন্জা চীনের ইউননান প্রদেশের লিচিয়াংয়ে)

ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি হ্যারাল্ডকে বিয়ে করেন। তিনি খেলাধুলা পছন্দ করেন। তিনি স্কিং কোচের যোগ্যতা লাভ করেন। তিনি নরওয়ে পর্যটন সমিতির স্থায়ী সদস্য। রানী সোন্জা আন্তর্জাতিক ত্রাণের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। তিনি ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের শরনাথী বিষয়ক পুরস্কার লাভ করেন। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

(রাজা হ্যারাল্ড ও রানী সোন্জা চীনের ইউননান প্রদেশের লিচিয়াংয়ে)

    রাজা হারাল্ড ও রানী সোন্জা ১৯৮৫ সালের এপ্রিল ও ১৯৯৭ সালের অক্টোবর মাসে চীন সফর করেন।