সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রজাতন্ত্র আরব উপদ্বীপের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
দেশটির আয়তন ৮৩.৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। উত্তর-পশ্চিম দিক কাতার সংলগ্ন। দেশটির উত্তর দিকে পারস্য উপসাগর , পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিকে আরব দেশসমূহ ।
পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ওমান। সেখানকারের পাহাড়ী এলাকা ছাড়া, দেশটির বেশির ভাগ হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ শো মিটারের নিচে বালিয়ান্ডি এবং মরুভূমি । আবহাওয়া হচ্ছে গ্রীষ্মমন্ডলীয় বিরাজমান।
দেশটির লোকসংখ্যা ৪১ লাখ। এর মধ্যে আরবী ভাষা ভাষি শুধু মাত্র এক তৃতীয়াংশ । অন্যান্যরা সব বিদেশী অধিবাসী। সরকারী ভাষা আরবী। ইংরেজীও চালু রয়েছে । অধিকাংশ অধিবাসী ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী । তাদের অধিকাংশই সুন্নি সম্প্রদায়ের। রাজধানি আবু ধাবী । এর লোকসংখ্যা ৬.৬ লাখ।
৭ শতাব্দীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরব সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। ১৬ শতাব্দীর শুরুতেই দেশটিতে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা বজায় ছিলো।
১৮২০ সালে ব্রিটেন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে।এর ফলে আরব আমিরাতকে " চিরদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে" স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এর পর এ অঞ্চল ব্রিটেনের উপনিবেশে পরিণত হয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, দেশটির জাতীয় স্বাধ্যনতা আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ ব্রিটেন তার আরব আমিরাতের সঙ্গে তার স্বাক্ষরিত সব চুক্তি একই বছরের শেষ দিকে বাতিল করার কথা ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাধীনতা লাভ করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রজাতন্ত্র গঠিত হয় ।
দেশটির তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উল্লেখ করার মত। ২০০০ সালের পয়লা জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বার্তা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের শেষ দিক পর্যন্ত, দেশটির তেলের মোট মজুদের পরিমাণ ৯৭.৮ বিলিয়ন ব্যারেল। তা বিশ্বের মোট পরিমাণের ৯.৪ শতাংশ হয়েছে বলে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে দখল করে আছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট মজুদের পরিমাণ ৫.৮ ট্রিলিয়ন কিউবিকমিটার । যা বিশ্বে সর্বাধিক। দেশটির অর্থনীতির প্রধান উপকরণ হচ্ছে তেল উত্পাদন এবং তেল রাসায়নিক শিল্প । তেলের আয় থেকে সরকার মোট লাভের পরিমাণ ৮৫ শতাংশেরও বেশি।
১৯৮৪ সালের পয়লা নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
|