সৌদী আরব এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরব উপদ্বীপে অবস্থিত। দেশটির আয়তন ২২.৫ লাখ বর্গকিলোমিটার। তার পূর্ব দিকে পারস্য উপসাগর। পশ্চিম দিকে লোহিত সাগর। দেশটি জর্দান, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত , ওমান এবং ইয়েমনের সংলগ্ন। " সৌদী আরব" এ শব্দের আরবী ভাষার অর্থ হলো " সুখী মরুভূমি " । আসলে সারা দেশের মোট আয়তনের ৫০ শতাংশ হলো মরুভূমি।
লোকসংখ্যা ২.২৬৭ কোটি। এর অধিকাংশই আরবী। সরকারী ভাষা আরবী ও ইংরেজী। রাষ্ট্রীয় ধর্ম হলো ইসলাম। এর মধ্যে সুন্নি সম্প্রদায় প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং শিয়া সম্প্রদায় প্রায় ১৫ শতাংশ । রাজধানি রিয়াদ।
সৌদী আরবের " তেলের রাজা" বলে সুনাম রয়েছে। তেলের মোট মজুদের পরিমাণ এবং উত্পাদনের পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক। একই সঙ্গে তেল ও রাসায়নিক শিল্প হলো দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ভিত্তি। সৌদী আরবের তেলের মোট মজুদের পরিমাণ ২৬১.২ বিলিয়ন ব্যারেল। তা বিশ্বের মোট পরিমাণের ২৬ শতাংশ। দেশটির অশোধিত তেলের বার্ষিক পরিমাণ প্রায় ৪০ ও ৫০ কোটি টন। রাসায়নিক পণ্যগুলো বিশ্বের ৭০টিরও বেশি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। সুতরাং তেলের আয় সারা দেশের ৭০ শতাংশ । এর সঙ্গে সঙ্গে তেলের রপ্তানির মূল্যও সারা দেশের ৯০ শতাংশ। তাছাড়াও, সৌদী আরবের পানিসম্পদ প্রচুর। মোট ২০ লাখ হেকটর মিঠা পানি আছে। বনের আয়তন ৩৬ লাখ হেকটর। এটি সারা দেশের আয়তনের ২৩.৪ শতাংশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সৌদী আরব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চলছে। ২০০৪ সালে দেশটির মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ১১ হাজার মার্কিন ডলার। দেশটির আমদানিকৃত পণ্য হলো সাস-সরঞ্জাম, খাদ্যদ্রব্য এবং বস্ত্র।
১৯৯০ সালের ২১ জুলাই, সৌদী আরবের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালের জানুয়ারী সৌদী আরবের রাজা আবদুল্লাহ্ চীন সফর করেছেন। এখন দু'পক্ষের জ্বালানি সম্পদ ক্ষেত্রের সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সৌদী আরব সফর করেন। এখন চীন হলো সৌদী আরবের চতুর্থ বৃহত্তম আমদানিকারী দেশ এবং পঞ্চম বৃহত্তম রপ্তানিকারী দেশ।
|