তাহলেতো আর লিয়ান অববাহিকায় আরো অনেক ধরনের অতিকায় সরীসৃপ পাওয়া যাবে।
অবশ্যই! বিশেষজ্ঞগণ এই রকমই মনে করেন। আর লিয়ান হাও টে'র ভূ-সম্পদ ব্যুরোর খনন বিভাগের মি. মা বলেছেন, এখনও আর লিয়ান হাও টেতে বিরাট অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম খনন ও গবেষণা করা হয় নি। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন,
আগস্ট মাসে আমরা আরেকবার ব্যাপক খনন করবো। তারপর একটি সমাধি হল নির্মাণ করে অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্মগুলো পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবো, যাতে মানুষ সুস্পষ্টভাবে প্রতিটি জীবাশ্মে অতিকায় সরীসৃপের যে কোন অংশকে চিহ্নিত করতে পারে।
আশা করি আমিও দেখতে পারবো। আমার মনে হয় এতো সমৃদ্ধ অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম সারা বিশ্বে খুব কমই দেখা যায়। নিশ্চয়ই তা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
কারণ, এখন বহু মানুষ আর লিয়ানের অতিকায় সরীসৃপের ওপর নিবিড় মনোযোগ দিচ্ছে। আর লিয়ান কর্তৃপক্ষ তাই অতিকায় সরীসৃপ সংক্রান্ত পর্যটন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অতিকায় সরীসৃপের কারণেই আর লিয়ানে আরো বেশী পর্যটককে এখানে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে। আর লিয়ান হাও টে পৌর কমিটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মি. সুন বলেছেন,
আর লিয়ান হাও টে 'অতিকায় সরীসৃপের জন্মস্থান'। তাই এর মর্যাদা অনেক বেশী। ১৩ জুন আমরা পেইচিং-এর তথ্য কেন্দ্রে আর লিয়ান হাও টে'তে এ পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম আবিষ্কারের ব্যাপারে একটি প্রেস ব্রিফিং-এর আয়োজন করি। বিদগ্ধ সমাজ ও সাধারণ পর্যটকরা অতিকায় সরীসৃপের ওপর গভীরভাবে আগ্রহী। প্রেস ব্রিফিং-এর পর, আর লিয়ানে আসা পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
তাহলে অতিকায় সরীসৃপ সংক্রান্ত আর লিয়ানের পর্যটন প্রকল্পে কী কী আছে? কিভাবে পুরোপুরিভাবে সেখানকার অতিকায় সরীসৃপকে উপলব্ধি করা যায়?
যখন আপনি আর লিয়ানে আসবেন, তখন আপনি সেখানকার অতিকায় সরীসৃপ যাদুঘর পরিদর্শন করতে পারবেন। যাদুঘরে গুরুত্বপূর্ণ অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম, অতিকায় সরীসৃপের ডিমের জীবাশ্ম এবং আর লিয়ানে খনন করে-প্রাপ্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর জীবাশ্ম প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া, ২০০৬ সালে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারকে 'অতিকায় সরীসৃপের কবর'-নামে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পর্যায়ে অতিকায় সরীসৃপ ভূবিদ্যা সংক্রান্ত পার্ক নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় ভূবিদ্যা সংক্রান্ত পার্কের নির্মাণ প্রকল্পের জন্যও কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। আর লিয়ান হাও টে পর্যটন ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক মাদাম কাও বলেছেন,
'অতিকায় সরীসৃপ' এলাকায় পর্যটন হচ্ছে এখানকার পর্যটনের একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ড ও প্রধান প্রকল্প। এর মাধ্যমে আর লিয়ান স্থলবন্দর বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে 'অতিকায় সরীসৃপ'-এর কারণেই আর লিয়ানে আসা পর্যটকদের অনিবার্য বাছাই হয়েছে, বিশেষ করে শিশু ও প্রত্নতত্ববিদ। এটা তরুণ-তরুণীদের কাছে পর্যটন ছাড়াও একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিক।
এখান এ স্থানটি পর্যটনের দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। যদি আরো বেশী মানুষ এখানে আসে। তাহলে এখানকার অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে হয়তো হুমকি দেখা দিতে পারে।
আপনি কী বলেন আর লিয়ানের মানুষরাও কিএই রকম মনে করে। সুতরাং, আর লিয়ান শক্তিশালী সংরক্ষণ ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। আর লিয়ান হাও টে ভূ-সম্পদ ব্যুরোর খনি বিভাগের মি. মা বলেছেন, যে কোনো গবেষণা ও উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে সংরক্ষণ। তিনি বলেছেন,
১৯৯৮ সালের জুন মাসে অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আর লিয়ান লবণ হ্রদ অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্মের সমাহিত প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলে অবস্থিত। ২০০৪ সালে আমরা ৫ লাখ ইউয়ান রেনমিনবি পুঁজি বিনিয়োগে কেন্দ্রীয় অঞ্চল দু'টিতে সীমানা প্রাচীর দিয়েছি। ২০০৫ সালে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আমাদের ১ মিলিয়ন ইউয়ান মূল্যের সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে এ সব টাকা দিয়ে খনন কাজ করা।
এতে শক্তিশালীভাবে আর লিয়ানের সমৃদ্ধ অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম সম্পদ উদ্ধার ও সংরক্ষণ করার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য আর লিয়ানে পর্যটনের একটি সহজ ও আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আরো গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আর লিয়ান 'অতিকায় সরীসৃপ' এই ব্র্যান্ড নিয়ে নিজের কথা প্রচার করে। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমি এই ভূবিদ্যা সংক্রান্ত পার্কটির যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করছি। এবং আমি নিশ্চয়ই এ পার্কটি পরিদর্শন করতে পারবো।
আপনি ঠিক বলেছেন। আমিও যেতে চাই। আমরা সবাই আরো অনেক ধরনের আর লিয়ানের অতিকায় সরীসৃপের জীবাশ্ম উদ্ধার হবে বলে আশা করি। আমি বিশ্বাস করি এই 'অতিকায় সরীসৃপের জন্মস্থল' তার বিশেষ অতিকায় সরীসৃপ পর্যটন সম্পদ আরো ভালোভাবে সংরক্ষণ ও উন্নয়ন হবে।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানে শেষ করছি। শোনার জন্য ধন্যবাদ। আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আবার কথা হবে।
|