v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-29 17:56:27    
৩০-৪০ বছর বয়সী নারীদের ত্বকের সুরক্ষা (ছবি)

cri

  ৩০ বছর বয়সে প্রবেশ করার পর কিছু নারী বন্ধু নিজের ত্বক সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস হারান বলে তারা দামী দামী প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করা আর বিউটি পার্লারের মাধ্যমে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন ।

  কি ধরনের প্রসাধন ভাল? নিজের ত্বক অনুযায়ী নিজের জন্যে প্রযোজ্য প্রসাধনী দ্রব্য বেছে নিন ।কিছুকিছু নারী বন্ধু দামী দামী প্রসাধনীদ্রব্য ব্যবহার করার পর খুব ভাল ফল পান , আর কিছুকিছু বন্ধু ভাল ফল পাননি । তাই প্রসাধনী দ্রব্য বেছে নেয়ার সময়ে অন্ধভাবে অন্যের কথা শুনবেন না , কারন যে প্রসাধনীদ্রব্য অন্যের ত্বকে প্রযোজ্য তা আপনার ত্বকে প্রযোজ্য নাও হতে পারে, কেননা প্রতিটি লোকের ত্বক ভিন্ন,তাই প্রসাধনীদ্রব্য কেনার সময়ে অবশ্যই নিজের ত্বকে প্রযোজ্য প্রসাধনীদ্রব্য বেছে নিন। দামী দামী বিখ্যাত সৌন্দর্যসাধক প্রসাধনীদ্রব্য আপনার ত্বকেরপ্রযোজ্য নাও হতে পারে ।

  মুখের সৌন্দর্যবজায় রাখার জন্যে অনেক নারীবন্ধু ফেস-প্যাক ব্যবহার করেন । এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে , ফেস-প্যাক ব্যবহার করার সময় অতি দীর্ঘ হওয়া উচিত নয় । ফেস-প্যাক ব্যবহার করার সময়ে মুখমন্ডলে ফেস-প্যাক যত বেশী সময় লেগে থাকতে পারে ততই ভাল , এবং সময় যত বেশী ফল ততই ভাল বলে এমন ধারনা পোষনকারী নারীবন্ধুদেরসংখ্যা কম নয় । আসলে তা ভুল। ফেস-প্যাক মুখমন্ডলে বেশী সময় লেগে থাকায় ত্বকের কিউটিকল মোটা হবে ,যার ফলে ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হয়ে যাবে । তাই ফেস-প্যাক ব্যবহার ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রন করা এবং সপ্তাহে দুবারের বেশী না করা ভাল । দীর্ঘকালধরে ফেস-প্যাক ব্যবহার করলে উল্টা ফল পাবে ।

  প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করার সময় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেয়া দরকার । ২০ বছর বয়সের তুলনায় ৩০ বছরবয়সী লোকের ত্বক ভিন্ন,এসময় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় করার ক্ষমতা কমে যায়,ঘাম-গ্রন্থিরআর বল্কল-গ্রন্থিরনিঃসৃত করার ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই ত্বকের আর্দ্রতা আর চর্বিবজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে । কোমল ফেস-ক্রিম বা পুষ্টিকর ক্রিম বেছে নিতে হবে ।

  ৪০ বছর বয়সী নারীদের ত্বকের রক্ষা

  ৪০ বছর বয়স পার হওয়ার পর অপ্রতিরোধ্য বার্ধক্যআমাদের শরীরে দাগ কাটতে শুরু করে ।এই সময় কি পদ্ধতিতে ত্বক রক্ষা করা যায় ?

  ত্বক রক্ষার জন্যে অনেক নারী বন্ধু বিউটি পার্লারেযান । কিন্তু অতিরিক্ত বিউটি পার্লারে যাওয়ায় লাভ নেই । বিউটি পার্লারে কৌশল আর সরন্জামের উন্নতির সংগে সংগে বিউটি পার্লারেবহু নারী বন্ধুর ত্বকের অনেক উন্নতি হয়েছে ।কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে , মালিশ করা হোক , পুষ্টি পূরন করা হোক , মানুষের ত্বকের গ্রহনক্ষমতা সীমাবদ্ধ আছে ।যদি অতি বেশী পুষ্টিকর জিনিস ব্যবহার করে ,তাহলে তা গ্রহন করা কঠিন হতেও পারে ।এ সময় পুষ্টি এক ধরনের ক্ষতিকর বোঝায় পরিনত হয় এবং এটা ত্বকের কুপ্রতিক্রিয়া তরান্বিত করতে পারে ।

  ত্বকের জন্যে অনেক নারী বন্ধু পুষ্টিকর প্রসাধনীদ্রব্য ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তবে যথেচ্ছভাবে পুষ্টিকর প্রসাধনীদ্রব্য ব্যবহার করা বিপজ্জনক । থলথলে ত্বকের কারনে মধ্যবয়সী নারী বন্ধুদের মধ্যে অনেকে নানা ধরনের বিজ্ঞাপনের উপর নজর রাখতে শুরু করেন। তারা নানা পুষ্টিকর জিনিস খান , আসলে এটা অত্যন্ত বিপদজনক । বিপুল পুষ্টিকর জিনিসের মধ্যে যে অংশ হজম করা যায় না তা শরীরে লেগেই থাকে এবং এক সময় বিষে পরিনত হয় । বিষগুলো দীর্ঘকালধরে শরীরে জমে এবং শরিরকে বিষাক্তকরে স্বাস্থ্য এমনকি আয়ুর উপর কুপ্রভাব ফেলবে ।

  ৪০ বছর বয়সী নারীর ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে যাওয়া । গবেষনা থেকে জানা গেছে , প্রোটিন হল ত্বকের রীচ রক্ষা করার প্রধান পদার্থ । খাদ্যশস্য ছাড়া নারীবন্ধুদের শরিরচর্চাকেগুরুত্ব দিতে হবে । নিজের অন্তঃস্থ নিঃসৃত ব্যবস্থার পুনবিন্যাস করতে হবে ।নিজের মাসিক ক্ষমতার স্বাভাবিক অবস্থার নিশ্চয়তাবিধান করতে হবে ,আনন্দময় মনোভাব পোষন করতে হবে । এইভাবে মুখমন্ডলের কোঁচকানো-রেখা সমতল হবে ,ত্বকের আদ্রতার অভাব হতে পারবে না। তাই ৪০ বছর বয়সের নারীবন্ধুকে নিজের অভ্যন্তরের সুস্থতা বজায় রাখতে হবে ।

  সব সময় আনন্দময় মনোভাব পোষন করা , বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিত অর্থাতনিয়মিতভাবে দৈনন্দিন জীবনযাপনের ব্যবস্থা করা আর সময়োচিতভাবে বিউটি পার্লারকরা নানা বয়সের লোক বিশেষ করে নারী বন্ধুদের পক্ষে প্রযোজ্য ।এখানে মালিশ করার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে ,মালিশ করা ত্বকের বিপাক দ্রুত করবে , ত্বকের কোঁচকানো রেখা কমিয়ে দেবে ,ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করবে এবং ত্বকের বার্ধক্যকেরোধ করবে ।

  নারীবন্ধুকে জানানো দরকার যে,যদি আপনি নিজের ত্বকের সৌন্দর্যবজায় রাখতে চান তাহলে আপনাকে হজম করতে কঠিন এমন তেলে ভাজা জিনিস, ঝাল জিনিস ,মিষ্টি আর চর্বিসম্পন্ন জিনিস কম খেতে হবে ,ভিটামিন , উদ্ভিদের প্রধান উপাদানপূর্ণখাদ্য শাকশব্জী ও ফল বেশী খেতে হবে ।