v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-29 17:34:47    
একজন বাংলাদেশী সংবাদদাতার চোখে চীন

cri
    এক দ্রুত উন্নয়নশীল সমাজের লোকদের শরীর ও চেহারাও সুন্দর হতে থাকে । এটা শুনতে হয়তো অসম্ভব মনে হয় । তবে এমন অবস্থা এখন চীনে দেখা যায় । ৪০ বছর আগের চীনা আর এখনকার চীনাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এটা গত ৪০ বছরের বিরাট পরিবর্তনের সুফল ।

    বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ এবং সংবাদদাতা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী চীন সফরের পর এ কথা বলেছেন । এবারে আমরা তাঁর কাছ থেকে জানবো চীন সফরে তিনি কি কি দেখেছেন এবং কি অনুভব করেছেন ।

    চীনের ইস্টান এয়ার লাইন কোম্পানীর বিমানে খুন মিন থেকে পেইচিংয়ে যাওয়ার সময় হুমায়ুন বিমান বালাকে দেখে খুব সন্দেহ করেছেন । কারণ এসব বিমান বালা দেখতে খুবই ফর্সা এবং লম্বা , ঠিক ইউরোপীয় মানুষের মত । তিনি তাদের জিজ্ঞেস করে জেনেছেন যে , তারা সবাই চীনা । তারা দেখতে খুবই আধুনিক এবং সুন্দর ।

    অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি আগে শুধু জানতেন যে যুক্তরাস্ট্রের কালিফর্নিয়ার এক বছরের উত্পাদন সারা ক্যানাডার উত্পাদনের চেয়ে বেশি । তবে চীনে আসার পর তিনি জেনেছেন যে , চীনের সাংহাইয়ের এক বছরের উত্পাদন সারা ভারতের অর্থনীতির দ্বি গুণ । সাংহাইয়ে হাজার হাজার উঁচ্চ ভবন রয়েছে , প্রায় নিউইয়র্কের মতই ।

    তিনি বলেছেন , নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সড়ক ও ভবনের কাছে পার্ক দেখা যায় না । তবে চীনে বিভিন্ন ধরনের পার্ক ভবন ও সড়কের মধ্যে রয়েছে । সব বাণিজ্যিক ভবন দেখতে যেন ফুলের টবে লাগানো গাছের মতই । পেইচিংয়ে সবুজ ঘাস ও সুন্দর ফুলে সাজানো সড়ক খুব লম্বা এবং চওড়া । হাইওয়ে , উঁচ্চু ভবন ও রাস্তার দু'পাশে সারি সারি ফুলের গাছ । সাংহাই ও খুন মিনও এভাবে সাজানো । সারা দেশ যেন একটি ফুলের বাগান ।

    চীনে হুমায়ুন দেখেছেন যে , চীনারা কাজের জন্য ব্যস্ত থাকে । সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছে । কাজ চীনা সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েছে । যদি কেউ চীনে বিশ্বাস খুঁজতে চায় , হয়তো সে দু'টি জিনিসকে বিশ্বাস করতে পারে , তা হল সততা এবং পরিশ্রম ।

    হুমায়ুন সংবাদদাতাকে বলেন , চীনে প্রতিদিন সকাল ৯টায় কাজ শুরু হয় এবং বিকাল ৫টায় শেষ হয় । প্রতিটি মানুষ প্রত্যেক সপ্তাহের ৫ দিন কাজ করে । শরিবার ও রবিবার হল সরকারী ছুটি । বিকাল ৫টার পর আপনি দেখতে পাবেন যে প্রেমিক প্রেমিকারা হাতে হাত ধরে সুখের সময় উপভোগ করে । ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো এখানে নিষিদ্ধ নয় ।

    বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন চীনাদের জীবন অনেক আরামদায়ক । চিকিত্সা , শিক্ষা , চাকরি এবং অন্যান্য চাহিদা সব মেটানো হয় । এটাও চীনাদের আগের চেয়ে আরো বুদ্ধিমান , স্বাস্থ্যবান এবং আরো শক্তিশালী হওয়ার কারণ ।

    চীনারা কোন কিছুর পূজা করে না । এ জাতি একটি গর্বিত জাতি । তারা নিজেই নিজেদের নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করে । তারা নিজের দু'হাতে নিজের নিয়তি , সম্পদ ও ভবিষ্যত নির্মাণ করে । চীন এখন এভাবেই উন্নত হচ্ছে ।

    তাই চীনারা মনে করে নিজের জীবন খুব সন্তোষজনক । কাজের সময় পুরোপুরিভাবে নিজের সামর্থ প্রকাশ করতে পারে । কাউকে ঠকায় না , আনন্দ ও স্বাস্থ্যে ও মানসিকতা মনোভাবে শান্ত তারা সুখী জীবন উপভোগ করে । তারা অবৈধ্য সম্পদের জন্য বিমূড় অবস্থা পড়ার কথা চিন্তাও করে না । কারণ তাদের জীবনে তেমন কোনো অভাব নেই । লোকজন দেশের সেবা করে , দেশটি প্রত্যেককেই জীবনযাপনের সব কিছু দেয় ।

    হুমায়ুন কবীর চৌধুরী চীনের আমন্ত্রণে চীনে এসেছিলেন । তার প্রতিনিধি দলে পাঁচ জন সদস্য ছিল । হুমায়ুনের চোখে চীন খুবই শান্ত , চীনাদের জীবন খুবই আরামদায়ক । চীন অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে । ১.৩ বিলিয়ন চীনারা নিজের দেশটি নির্মাণ করছে । চীনের হাজার হাজার বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে দ্রুতভাবে আধুনিক হচ্ছে এবং উন্নত হচ্ছে ।