v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-28 19:35:30    
এ বছর চীনের বন্যা ও খরা প্রতিরোধেইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে

cri
    ২৮ আগষ্ট পেইচিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বলেছেন , এ বছর চীনের বন্যা ও খরা প্রতিরোধে ইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে । দুর্গত এলাকার ক্ষতি আগের বছরের চেয়ে লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে । পরবর্তীকালে গ্রামে বন্যা ও খরা প্রতিরোধের কাজ ভালভাবে চালানোর পাশাপাশি চীনের শহরের বন্যা প্রতিরোধ ও পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা উন্নত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে ।

    এ বছর চীনের আবহাওয়া অস্বাভাবিক। মধ্য চীনের হুয়াই হো নদী অববাহিকায় ১৯৪৯ সালের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্যা হয়েছে । কিছু মাঝারী ও ক্ষুদ্র নদীর পানি ইতিহাসের রেকর্ড ছাড়িয়েছে । পাহাড়ী বন্যা ঘনঘন ঘটেছে । অতি বৃষ্টিতে শহরে গুরুতর বন্যা হয়েছে । আংশিক অঞ্চলে সাংঘাতিক খরা হয়েছে । সারা দেশের দেড় কোটি হেক্টর ভূমি খরা কবলিত হয়েছে ।

    এ বছর বন্যা ও খরা অপেক্ষাকৃত গুরুতর হলেও চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়ায় এবং সময়োচিত দুর্যোগ মোকাবেলায় এখন বন্যা ও খরা প্রতিরোধের কাজে ইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে । ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত বন্যায় চীনে মোট ১১৩৮জন লোক মারা গেছে । এটা অনুরূপ সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম । অনুরূপ সময়ের তুলনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি ১৩ শতাংশ কমেছে এবং দুর্যোগ বিমোচনে ২ কোটি ইউয়ান লাভ হয়েছে ।

    এ সম্পর্কে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছেন লেই বলেছেন , এক কথা , এ বছর অতি বৃষ্টি হলেও সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করা হয়েছে । বন্যা গুরুতর হলেও কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে । দুর্যোগ সাংঘাতিক হলেও ক্ষতি অপেক্ষাকৃত কম । বড় ও মাঝারি ধরণের বাঁধের একটিও ধ্বংস হয়নি । বন্যা ও খরা প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে ।

    কিন্তু এ বছরের বন্যা ও খরা প্রতিরোধের কাজে কিছু সমস্যাও দেখা হয়েছে । ১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যা প্রতিরোধমূলক প্রকল্প নির্মাণে চীন মোট ১৭০ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করেছে বলে বড় নদীর বন্যা প্রতিরোধ ও দুর্যোগ বিমোচন প্রকল্প-ব্যবস্থা মোটামুটি গঠিত হয়েছে । কিন্তু মাঝারি ও ক্ষুদ্র নদী ও বাঁধের বন্যা প্রতিরোধরসমস্যারএখনো সমাধান হয়নি ।

    এ বছর জুলাই মাসে দক্ষিণ পশ্চিম চীনের ছুংছিং শহর ও পূর্ব চীনের চিনান শহর ঝড়বৃষ্টির শিকার হয়েছে । ফলে মোট ১০০রও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে । এ ছাড়া উহান , সি আন সহ বেশ কয়েকটি শহরেও গুরুতর বন্যা হয়েছে । মন্ত্রী ছেন বলেছেন , চীনের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি এবং শহরের লোক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তীকালে শহরের বন্যা প্রতিরোধ আরও প্রকট হবে । তিনি বলেছেন , পরবর্তীকালে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে শহরের বন্যা প্রতিরোধের পরিকল্পনা তৈরী করব । শহরের বন্যা প্রতিরোধ ও পানি নিষ্কাশনের বুনিয়াদী ব্যবস্থা নির্মাণ জোরদার করব । ক্ষতিকর এমন আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়ার কাজ জোরদার করে সময়োচিত তথ্য প্রকাশ করব ।

    জানা গেছে , চীনের মোট ৮৫ হাজার পানি ভান্ডার রয়েছে । বন্যা প্রতিরোধ , পানি সরবরাহ, বিদ্যুত উত্পাদন , জল সেচ, মাছের চাষ এবং পরিবেশ উন্নয়নে এই সব আধার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । কিন্তু এই সব আধার ৫০ এবং সত্তরের দশকে নির্মিত হয়েছে বলে এগুলো অনেক পুরোনো এবং সমস্যা বেশি ।

    মন্ত্রী ছেন বলেছেন , চীন এখন ২১০০ বড় আর মাঝারি আধার মজবুত করেছে । পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে ৬২০০টি আধার মেরামতে ৫১ বিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করবে । যাতে পরবর্তীকালে এই সব আধার বন্যা প্রতিরোধ ও পানি সরবরাহ এবং আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে ।