v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-28 18:50:07    
আবে শিনজোর নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রী সভা নাগরিকদের আস্থা ফিরে পাবে কিনা তা পরীক্ষা হবে

cri
    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো ২৭ আগষ্ট সার্বিকভাবে মন্ত্রী সভা পুনর্গঠন করেছেন। এদিন রাতে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তাঁর মন্ত্রী সভা রদবদল করার উদ্দেশ্য হলো সরকারের প্রতি নাগরিকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা। নবনিযুক্ত মুখ্য মন্ত্রী-সভা সচিব ইয়োসানো কাওরু ও বলেন, নতুন মন্ত্রী সভার গঠন শিগগিরি অভ্যন্তরীণ সমর্থনের হার পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তিনি বলেন, মনযোগ দিয়ে কাজ করলেই কেবল নাগরিকদের আস্থা অর্জিত হবে।

    জাপানের ক্ষমতাসীন পার্টি লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গত মাসে কংগ্রসের সিনেট নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবে শিনজো মন্ত্রী সভা গঠনের সময় তাঁর আত্মীয়স্বজনদের নিযুক্ত করেছেন এবং কতিপয় মন্ত্রী কেলেংকারীও অব্যাহত রয়েছে বলে জাপানী ভোটদাতারা আবে শিনজো প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন। এ কঠোর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে আবে প্রতিনিধি পরিষদকে ভেঙ্গে দেয় নি এবং সাধারণ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত করেন নি। পক্ষান্তরে তিনি অব্যাহতভাবে ক্ষমতাসীন থাকেন। এ ভাবে মন্ত্রী সভার প্রতি সমর্থনের হার স্পষ্টভাবেই কমে যায়। এ প্রেক্ষাপটে আবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃ-পর্যায় সুবিন্যস্ত এবং মন্ত্রী সভা পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়।

    জাপানের এবারের মন্ত্রী সভার পুনর্গঠনের অবস্থা থেকে দেখা গেছে, যদিও আবে এর আগে পার্টির বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সুপারিশ গ্রহণ না করার কথা বলেছেন, তবুও পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় তিনি যথাসাধ্যভাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বন্দোবস্ত করেছেন।

    পুনর্গঠন হওয়ার পরে আবের মন্ত্রী সভায় পাঁচ জন সদস্য আগেকার পদেই বহাল রয়েছেন। নতুন মন্ত্রী সভার অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। এদের মধ্যে শুধু দু জন সত্যিকারভাবে বেসরকারী সংস্থা থেকে এসেছেন। গণ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পুনর্গঠিত মন্ত্রী সভার সদস্যাদের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ জরীপ করা হয়েছে, যাতে মন্ত্রী সভায় যোগদানের পর কেলেংকারী এড়ানো যায়। আবেই নিজেই বলেন, এটি হচ্ছে একটি সম্পূর্ণ নতুন মন্ত্রী সভা। কিন্তু বিরোধী পার্টিগুলো তাই মনে করেন না।

    জাপানের জনমত এই যে, আবে-এর নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রী সভার সামনে দু'টি সমস্যা রয়েছে। তা তাদের সমাধান করতে হবে। নভেম্বর মাসে "সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা আইনের" সময়সীমা শেষ হবে। এর সময়সীমা বাড়বে কিনা এটি একটা সমস্যা। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী পার্টি এই আইনের বিরোধিতা করলে সময় উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে তা অকার্যকর হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হবে। এইভাবে আবেই-এর প্রশাসনের ওপর একটি মারাত্মক আঘাত। কারণ, তিনি বরাবরই জাপান-মার্কিন মিত্রতা জোরদার করায় সমর্থন করেন। জাপানের বৃহত্তম বিরোধী পার্টি দি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান মহা পরিচালক হাটোইয়ামা ইউকিও ২৭ আগষ্ট রাতে স্পষ্টভাবেই বলেছেন, দি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান নতুন মন্ত্রী সভা গঠিত হয়েছে বলে "সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা আইনের"সময়সীমা বাড়ানোর যে বিরোধিতা করবে না, তা হবে না।

    দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে নাগরিকদের অবসর ভাতা প্রদানের রেকর্ড হরিয়েছে এই সমস্যাটি কিভাবে মোকাবেলা করা যায়? তা ছাড়া, জুলাই মাসে সিনেটের নির্বাচন সরাসরিভাবে সিনেটে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বহাল থাকা সিনেটের স্পীকারের স্থানও বিরোধী পার্টির হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়।

    আবে-এর নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রী সভা গঠন করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে জাপানের অর্থনৈতিক মহল এর উপর কিছুটা আশাবাদী। জাপানের অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর ফেডারেশনের পরিচালক মিতারাই ফিজিও বলেছেন, তিনি আশা করেন, আবে নেতৃত্বের ভুমিকা পালন করে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে এবং বিরোধী পার্টির সঙ্গে সংলাপ জোরদার করবেন। কিন্তু জাপানের জনমত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, আবে-এর মন্ত্রী সভার উপর জাপানের নাগরিকদের অনাস্থা রয়েছে, মন্ত্রী সভার প্রতি সমর্থন না থাকার হার ৬৪.৮ শতাংশ এবং সিনেটে ক্ষমতাসীন পার্টি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে পুনর্গঠিত আবে মন্ত্রী সভার উপর নাগরিকদের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে কিনা তার পরিক্ষার জন্য কিছু সময় লাগবে। (লিলি)