২০০১ সালের ৯ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত ইউনান প্রদেশের দালি ইনস্টিটিউট ২০০৫ সাল থেকে ভারতের শিক্ষা অন-লাইন ওয়েবসাইটের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছে। এখন ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান থেকে আসা মোট ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী এই ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেন। তাঁরা প্রধানতঃ চিকিত্সা শাস্ত্র শিখছেন। যদি আপনাদের চীনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ থাকে, তাহলে ২৭ আগস্ট বিজ্ঞান বিচিত্রা আসর শুনতে কিন্তু ভুলবেন না।
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের তিব্বতে সুন্দর সুন্দর তুষার পাহাড় ও হ্রদ বেষ্টিত প্রাকৃতিক নিদর্শনসহ সাংস্কৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। তিব্বতের সাংস্কৃতিক সম্পদের মধ্যে মহিমাময় পোতালা ভবন ও তাচাও মন্দির বিশ্ব বিখ্যাত। তিব্বতের অপেরা ও মহাকাব্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য একটি আছে। ৬৫ বছর বয়স্ক জামপা কেলসাং হলেন চীনের বিখ্যাত সংস্কৃতি সংরক্ষণ ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি তিব্বতের পোতালা ভবনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধানের পদে ১৯ বছর ধরে কাজ করেছেন। পোতালা ভবনের সুরক্ষায় তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ২৮ আগস্ট সংস্কৃতির সম্ভার আসরে ফাং সিউ ছিয়েন ও ইয়াং ওয়েই মিং তিব্বতের রাজধানী লাসার সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও জামপা কেলসাং সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে চীন সবসময় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী তত্পরতাকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং এ ধরণের তত্পরতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। ১৯৯২ সাল থেকে এ বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত চীন পর পর জাতিসংঘের ১৫টি শান্তি রক্ষী তত্পরতায় যোগ দিয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজারেরও বেশি শান্তি রক্ষী সৈনিক পাঠিয়েছে। চীনা চিকিত্সা দল নিজের নিপুণ দক্ষতা ও শ্রেষ্ঠ রীতিনীতির জন্যে লাইবেরিয়ার জনগণের প্রশংসা লাভ করেছে। চীনা প্রকৌশলগত বাহিনীর সৈনিকরাও স্থানীয় শান্তি সংরক্ষণের কাজে নিজেদের অবদান রেখেছেন। ২৯ আগস্ট সমাজ দর্পন আসরে শি চিং উ লাইবেরিয়ায় মোতায়েন চীনা শান্তি রক্ষী সৈনিকদের সেই কাহিনীই শোনাবেন।
মোমের প্রলেপ ব্যবহার করে বস্ত্র বোনা পদ্ধতি চীনের এক ধরনের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কলাকৌশল। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বংশপরম্পরায় এই কলাকৌশল প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে কুইচৌ প্রদেশের সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মিয়াও জাতির মহিলাদের মোমের প্রলেপ ব্যবহার করে বস্ত্র তৈরি করা একটি অপরিহার্য দক্ষতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৯ আগস্ট ওরা অনন্য আসরে থান ইয়াও খাং কুইচৌ প্রদেশের মিয়াও জাতির মোমের প্রলেপ ব্যবহার করে বস্ত্র তৈরীর কলাকৌশল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবেন।
"পূর্ব এশিয়ার জানালা" নামে সুপরিচিত মাঞ্চুরিয়া শহর চীনের অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটা হচ্ছে শত বছরের ইতিহাস সম্পন্ন একটি বন্দর শহর। তার উত্তর দিকে হচ্ছে রাশিয়া আর পশ্চিম দিকে হচ্ছে মঙ্গোলিয়া। মাঞ্চুরিয়া হচ্ছে চীনের বৃহত্তম স্থল বন্দর। মাঞ্চুরিয়া বন্দর হচ্ছে চীন থেকে রাশিয়াসহ স্বাধীন রাষ্ট্র সমূহের কমনওয়েলথ দেশগুলো ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাতায়াতের সবচেয়ে সুবিধাজনক , সস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ পথ। এখানে চীন ও রাশিয়ার ৬০ শতাংশেরও বেশি বাণিজ্যের স্থল পরিবহনের দায়িত্ব বহন করে। ৩০ আগস্ট অর্থনীতির অগ্রযাত্রা আসরে শুনুন প্রাণবন্ত বন্দর মাঞ্চুরিয়ার অর্থনীতি সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন।
অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তৃণভূমিতে বসবাসকারী লোকেরা বেশির ভাগ পশুপালন শিল্পে জড়িত। তাঁদের পরিবারে নারীরা বাসা পরিচালনা করার পাশাপাশি ধাপে ধাপে পশুপালন শিল্প উত্পাদনের প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ৩১ আগস্ট কন্যা জায়া জননী আসরে চুং শাও লি আপনাদের সঙ্গে অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার সিলিনকুওল বিভাগে গিয়ে সেখানকার কয়েকজন মঙ্গোলিয় জাতির নারীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন।
বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|