v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-23 17:09:38    
চীনের দু'টি বৃহত্তম দূধে তৈরী খাবারের শিল্প-প্রতিষ্ঠান

cri

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন, এখন সাপ্তাহিক বিশেষ অনুষ্ঠান "অর্থনীতির অগ্রযাত্রা", পরিবেশন করছি আমি আবাম ছালাউদ্দিন এবং আমি ইউ কুয়াংইউয়ে।

(রে ১ অন্তঃমঙ্গোলিয়ার বৈশিষ্ট্য সংগীত)

(মেংনিউ কোম্পানির কারখানা)

ক: বন্ধুরা, ২০০৭ সাল হল পূর্ব চীনের অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি বার্ষিকী। সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বর্তমানে চীনের অভ্যন্তরভাগের দূধের পরিমাণের অর্ধেক হল অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল উত্পাদিত। চীনের অভ্যন্তরভাগের দুটি বিখ্যাত্ দূধে তৈরী খাবারের শিল্প-প্রতিষ্ঠান ইলি ও মেংনিউ কোম্পানির সদর দফতর অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী হুহহোটে অবস্থিত। সেজন্য ২০০৫ সালে চীনের দূধে তৈরী খাবার শিল্প সমিতি হুহহোটকে 'দূধের রাজধানী' নাম দিয়েছে।

খ: হুহহোটের মেয়র থাং আইচুন সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্তমানে হুহহোট শহর মৌলিকভাবে ইলি ও মেংনিউ কোম্পানি প্রতিনিধি হিসেবে চীনের অভ্যন্তরভাগের বৃহত্তম দূধে তৈরী খাবারের উত্পাদিত কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। দূধে তৈরী খাবার শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন ব্যাপকভাবে স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। তিনি বলেছেন,

(মেংনিউ কোম্পানি)

(রে ২)

'২০০৬ সালে হুহহোটের কৃষক ও পশুপালকদের গড়পড়তা আয় ৫ হাজার ৩ শো ইউয়ান রেনমিনপি হয়েছে। এর মধ্যে তাদের গাভীর দূধ বিক্রী থেকে অর্জিত আয় ২ হাজার ৪ শোরও বেশি ছিল। এ থেকে জানা গেছে, হুহহোট শহরের দূধে তৈরী খাবার শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন কৃষক ও পশুপালকদেরকে বিরাট স্বার্থ এনে দিয়েছে।'

ক: ইলি কোম্পানি একটি সরকারী শিল্প-প্রতিষ্ঠান। তার সদর দফতর হুহহোট শহরের উপকন্ঠে চিনছুয়ান উন্নয়ন ক্ষেত্রে অবস্থিত। এ কোম্পানি আগে ছিল হুহহোট শহরের হুই জাতির দূধে তৈরী খাবার কারখানা। ১৯৯৩ সালে এ কারখানা সংস্কারের পর ইলি কোম্পানিতে পরিণত হয়। বর্তমানে ইলি কোম্পানি চীনের অভ্যন্তরভাগে দূধে তৈরী খাবারের এক নম্বর শিল্প-প্রতিষ্ঠান। এখন ইলি কোম্পানির ২শো উত্কৃষ্ট পশুপালন ক্ষেত্র রয়েছে এবং ২০ লাখেরও বেশি গাভী রয়েছে। এরফলে ৫০ লাখেরও বেশি কৃষক ও পশুপালকের তা বিরাট স্বার্থ এনে দিয়েছে। ২০০৬ সালে ইলি কোম্পানির বাণিজ্য হয়েছে মোট ১৬.৩ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি। এটি চীনের অভ্যন্তরভাগের দূধে তৈরী খাবার বাজারের প্রথম স্থানে রয়েছে। এছাড়া, ইলি কোম্পানির পণ্যদ্রব্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের অনেক দেশেও রফতানি হচ্ছে।

খ: মেংনিউ কোম্পানি একটি বেসরকারী শিল্প-প্রতিষ্ঠান। তার সদর দফরত লিনকার জেলায় অবস্থিত। ২০০৬ সালে মেংনিউ কোম্পানির বাণিজ্য হয়েছে মোট ১৬.২ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি। এটি ইলি কোম্পানির পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তার বিদেশী ভোক্তার সংখ্যা ৩৫কোটিরও বেশি।

ক: ইলি ও মেংনিউ কোম্পানি নাগরিকদেরকে স্বার্থ বক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে থাকে? সাংবাদিকরা সাক্ষাত্কালে জেনেছেন যে, এ দু'টি কোম্পানি কৃষক ও পশুপালকদের গাভী ও পশুখাদ্য কেনার জন্য সুদহীন ঋণ প্রদান করে। এরফলে কৃষক ও পশুপালকদের উচিত সংগত কারণেই দূধ উত্পাদন বড়ানো। এসব কৃষক ও পশুপালক এ দু'টি কোম্পানির সহযোগিতাকারীতে পরিনত হয়েছে। এছাড়া, গত কয়েক বছরে ইলি কোম্পানি স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকদের গাভীগুলো রক্ষনাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক ও পশুপালকরা আরো বেশি স্বার্থ লাভ করে। ইলি কোম্পানির একজন কর্মকর্তা সাহেব ওয়াং বলেছেন,

(রে ৩)

'

(ইলি কোম্পানি)

২০০৬ সালে আমরা গাভীর রক্ষণাবেক্ষণের নতুন ব্যবস্থা নেই। মানে কৃষক ও পশুপালকদের গাভী কেনার পর নিজেদের পালন করা উচিত না। আমরা তাদের জন্য এসব গাভীসংরক্ষণ করি। বছরের শেষ দিকে আমরা তাদেরকে আয় প্রদান করি। এর মাধ্যমে আরো উত্কৃষ্ট দূধ উত্পাদিত হবে। যাতে দূধের নিরাপত্তা সুরক্ষা করা যায়।'

খ: মেংনিউ কোম্পানির একটি গাভী পালন খামারে ১০হাজারেরও বেশি গাভী রয়েছে। এখানে ৭শো টন গাভীর বিষ্ঠা ও দুষিত পানি সৃষ্টি হয়। কিন্তু মেংনিউ কোম্পানি এসব জিনিস পুরোপুরি পুনরায় ব্যবহার করে। যেমন গাভীরের বিষ্ঠা মিথেন গ্যাসে পরিবর্তন করে সকল পালন ক্ষেত্রের বিদ্যুত্ ছাড়াও হুয়াপেই জাতীয় বিদ্যুত্ নেট কোম্পানিকে বিদ্যুত্ শক্তি সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি মেংনিউ কোম্পানি গাভীর বিষ্ঠা কাছাকাছি বালি ভূমিতে মিশিয়ে উদ্ভিদের পরিবেশ সৃষ্টি করে ও গাভীর বিষ্ঠা প্যাকিং করে আয় হিসেবে বিক্রী করে। বর্তমানে এ পালন ক্ষেত্রে দুষণ ও নিঃসরণের উর্ধে উঠেছে। এরফলে পুঁজিবিনিয়োগে অংশগ্রহণকারী কৃষক ও পশুপালকরা অনেক স্বার্থ লাভ করে।

ক: পশুপালক সংবো ইলি কোম্পানির কাছে দূধ বিক্রী করে ধনী হয়েছে। তিনি বলেছেন,

(রে ৪)

'গাভী পালনের পর আমার পরিবারের জীবনযাত্রার মান দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আমি পাঁচটি গাভী পালন করি। কিন্তু এতে আমার বেশি সময় লাগে না। কারণ, ইলি কোম্পানই আমার গাভী পালন করে। আমি প্রতি মাসে ইলি কোম্পানি থেকে আয়ের অংশ লাভ করি। আমি প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার রেনমিনপি আয় করতে পারি। এখন আমার দু'টি মোটর গাড়ী রয়েছে।'

(ইলি কোম্পানির কারখানা)

খ: গত কয়েক বছরে প্রচুর বিশ্বের কয়েকটি বিখ্যাত্ দূধে তৈরী খাবারের কোম্পানি চীনের বাজারে প্রবেশ করেছে। এ পরিস্থিতিতে ইলি ও মেংনিউ কোম্পানিও সুষ্ঠু স্বার্থ লাভ করে। অধিক থেকে অধিকতর ভোক্তা তাদের পণ্যদ্রব্য পছন্দ করে। একজন পণ্যদ্রব্য বি লে বলেছেন,

(রে ৫)

'ইলি ও মেংনিউ কোম্পানির দূধ গুনগতমান ভাল কিন্তু দাম কম। আমি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ইলির পণ্যদ্রব্য কিনি। মাঝেমাঝে আমি মেংনিউ'র পণ্যদ্রব্যও কিনি। আমার বাড়ির সবাই নিজের পছন্দের পণ্যদ্রব্য ব্যবহার করতে পারি। আমরা খুবই কম বিদেশী কোম্পানির দূধ খাই।'

(রে ৭ সংগীত)

(ইলি কোম্পানির কারখানা)

ক: বর্তমানে ইলি কোম্পানি পেইচিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র আর্থিক সাহায্যদান কারী ব্যবসায়ীতে পরিনত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের আরো বেশি ভোক্তা চীনের দূধে তৈরী খাবার চিনবে ও পছন্দ করবে।

খ: প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এতোক্ষণ আপনারা অর্থনীতির অগ্রযাত্রা নামক সাপ্তাহিক বিশেষ অনুষ্ঠানটি শুনলেন। আপনারা ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আশা করি, আপনারা আগামী সপ্তাহে আবার এ সময়ে আমাদের অনুষ্ঠানটি শুনবেন।

ক: ধন্যবাদ!