২১ আগস্ট লাসায় অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট অধিবেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের আগে চীনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা তিব্বতের পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনির্মাণের জন্য আরো বেশি মনোযোগ দেবে। যাতে তিব্বতের পরিবেশ সুরক্ষার ঐতিহাসিক পরিবর্তন দ্রুততর করা যায়।
চীনের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরোর উপ-পরিচালক চৌ চিয়ান অধিবেশনে বলেছেন, পরবর্তী কয়েক বছরে জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরো সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে তিব্বত মালভূমিতে রাষ্ট্রীয় প্রাকৃতিক নিরাপত্তা বলয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াবে, প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের বিশেষ ভর্তুকি দেবে, মোট কথা তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করবে এবং তিব্বত মালভূমিতে রাষ্ট্রীয় প্রাকৃতিক নিরাপত্তা বলয় প্রতিষ্ঠা করবে।
২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চীন সরকার তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও নির্মাণের জন্য মোট ২৪০ কোটি ইউয়ান রেনমিনপি ব্যয় করেছে। সরকারের যথাসাধ্য প্রচেষ্টায় এখন তিব্বতে মোট ৪০টিরও বেশি প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চল ও অনেক বন সমৃদ্ধ পার্ক, ভূতত্ত্ব পার্ক ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। জাতীয় পরিবেশ তত্ত্বাবধান ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত তিব্বত অবস্থিত ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি হচ্ছে পৃথিবীতে পরিবেশের গুণগত মানসম্পন্ন শ্রেষ্ঠ অঞ্চলগুলোর অন্যতম। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|