**চীন-ভারত ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
চীন-ভারত বাণিজ্য পরিষদ ও দি টাইমস অব ইন্ডিয়া ত্রাণ তহবিলের যৌথ উদ্যোগে চীন-ভারত ক্লাব ১৭ আগস্ট মুম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভারতে চীনের কন্সুলেটের প্রধান কাউন্সিলর জাং ওয়েই কুও চীন-ভারত ক্লাব প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে ৩০টিরও বেশি চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান মুম্বাই শাখা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। চীন-ভারত ক্লাবের চীনা ভাষা শেখানোর প্রকল্প চালু হলে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য সুবিধা হবে এবং মুম্বাইয়ের যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চীন-ভারত ক্লাব,ভারতীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সদস্য, ভারতে পড়াশোনাকারী চীনা ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় ৫০জন এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। চীন-ভারত ক্লাব চীনা ভাষা শিক্ষা, চীনা সংস্কৃতি ও পর্যটন সম্প্রসারণ এবং চীন-ভারত বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
**পাকিস্তান সরকার চীনের বন্যাকবলিত অঞ্চলের জন্য ২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছে
পাকিস্তান সরকার ১৭ আগষ্ট রাজধানী ইসলামাবাদে চীনের বন্যাকবলিত অঞ্চলের জন্য ২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেছে।
পাকিস্তানের কূটনৈতিক সচিব রিয়াজ মুহাম্মদ খান এবং পাকিস্তানে নিয়োজিত চীনের রাষ্ট্রদূত লুও চাও হুই এ দিন ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। রিয়াজ বলেছেন, চীন হচ্ছে পাকিস্তানের সবচেয়ে অকৃত্তিম বন্ধু। পাকিস্তান সরকার ও জনগণ চীনের বন্যাকবলিত অঞ্চলের জনগণকে সাহায্য করার জন্যে নিজের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক।
পাকিস্তানে নিয়োজিত চীনের রাষ্ট্রদূত লুও চাওহুই বলেছেন, পাকিস্তান হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চীনের বন্যাকবলিত অঞ্চলকে সাহায্য দেয়া প্রথম দেশ। দু'দেশের সরকার এবং জনগণ সংকটাপন্ন সময়ে পারস্পরিকভাবে সমর্থন ও সাহায্য করতে পারে। এতে দু'দেশের মধ্যকার দীর্ঘকালীন মৈত্রী আবারও প্রতিফলিত হয়েছে।
**২০০৭ নেপালের তৃতীয় "চীন দিবস" কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে
চীন ও নেপালের সংস্কৃতি ক্ষেত্রের বিনিময় ত্বরান্বিত করার জন্য ২০০৭ সালে নেপালের তৃতীয় "চীন দিবস" ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
১৬ আগস্ট নেপালস্থ চীনা দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এবারের চীন দিবস সংস্কৃতি, কুয়াংতুং প্রদেশ ও নেপালে চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হবে। এতে ৮টি প্রধান বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাণিজ্য মেলা, ছবি প্রদর্শনী, বই মেলা, ফ্যাশন শো, খাবার মেলা, লন্ঠন মেলা এবং হাতের তৈরী পণ্যদ্রব্য।
**ভারতে স্বাধীনতার ৬০তম বার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে
১৫ আগষ্ট হচ্ছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর লাল ফোর্টে ভারতের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার ৬০ তম বার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠান এদিন আয়োজিত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এদিন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় গত ৬০ বছরের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের অর্জিত সফলতার পর্যালোচনা করেছেন। সিং এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ভারত সরকার অব্যাহতভাবে সামাজিক নিশ্চয়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো বেশী পুঁজি বরাদ্দ করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, শুধু অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমেই দারিদ্র্য নির্মূল করা যায়। কৃষি সমস্যার সমাধান ও দুর্বল গোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান ও সামাজিক মর্যাদা উন্নয়ন করা হচ্ছে আগামী কায়েক বছরের সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
সিং আরো বলেন, ভারত বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখতে ইচ্ছুক। প্রতিবেশীর সমৃদ্ধি ও ভারতের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অর্জনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|