v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-20 18:55:48    
উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান পরিকল্পনায় পরিবেশ সংরক্ষণকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে

cri
    চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের উত্তর-পূর্ব চীন পুনরুত্থান নেতৃগ্রুপের কার্যালয়ের প্রধান চান কুও পাও ২০ আগষ্ট পেইচিংয়ে নতুনভাবে প্রকাশিত ' উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান পরিকল্পনা' ব্যাখ্যা করেছেন । তিনি বলেছেন , উত্তর-পূর্ব চীনের অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার উপরও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হবে ।

    ২০ আগষ্ট চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয়ের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান নেতৃগ্রুপের কার্যালয়ের প্রধান , জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির উপপ্রধান চান কুও পাও বলেছেন , নতুনভাবে প্রকাশিত উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান পরিকল্পনায় বলা হয়েছে , ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে নিয়ে উত্তর-পূর্ব চীনকে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করা হবে । তিনি বলেছেন , এই পরিকল্পনার নির্ধারিত লক্ষ্য হলো উত্তর-পূর্ব চীনকে আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার শক্তিসম্পন্ন একটি সাজসরঞ্জাম তৈরী ঘাঁটি , নতুন ধরনের কাঁচামাল ও জ্বালানী শক্তির ঘাঁটি , চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য সরবরাহ ও পশুপালন ঘাঁটি এবং নতুন প্রযুক্তি গবেষণা ঘাঁটিতে পরিণত করা হবে ।

    উত্তর-পূর্ব চীন অঞ্চলে লেইলুংচিয়াং , চিলিন ও লিয়াও নিন -এই তিনটি প্রদেশ রয়েছে । এ অঞ্চলে শিল্পের ভিত্তি মজবুত এবং তেল , কয়লা ও লোহা সম্পদে সমৃদ্ধ । উত্তর-পূর্ব চীন চীনের অন্যতম খাদ্যশস্য উত্পাদনকারী অঞ্চল । কিন্তু গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে নানা কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ অঞ্চল ও উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে ।

    ২০০৩ সালে চীন উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থানের কাজ শুরু করে । তবে চীনের শিল্পোন্নত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ব্যবধান কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব ও পরিবেশ সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে । উত্তর-পূর্ব চীনের উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন একান্ত প্রয়োজন । ঠিক এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীন সরকার ' উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান পরিকল্পনা' প্রণয়ন করেছে । এই পরিকল্পনায় প্রতিবেশ ও পরিবেশ রক্ষার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পেশ করা হয়েছে । এতে বলা হয়েছে ২০১০ সালে উত্তর-পূর্ব চীনে কৃষি জমি ৬ হাজার ৩ শ'৭৫ একর হবে , বন অঞ্চলের পরিমান মোট আয়তনের ৩৮ শতাংশ হবে । এ সম্পর্কে চাও কুও পাও বলেছেন , উত্তর-পূর্ব চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ভালো । এ অঞ্চল চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য উত্পাদনকারী এলাকা ও বন অঞ্চল । উত্তর-পূর্ব চীনের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ।

    চান কুও পাও বলেছেন , গাছ লাগানো ও বনাঞ্চল সৃষ্টি ছাড়াও উত্তর-পূর্ব চীনের মূল্যবান প্রাকৃতিক বন সম্পদ রক্ষার জন্য সরকার গাছ কাটা নিষেধ এবং বনাঞ্চলে ব্যাঙের ছাতা লালন ও বিভিন্ন বণ্য পশু পালনে উত্সাহ দেওয়া হবে । উত্তর-পূর্ব চীনে খাদ্যশস্য উত্পাদনকারী ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার জন্য কৃষি জমির পরিমান বাড়ানো হবে না । তবে কৃষি জমিতে জলসেচ প্রকল্প নির্মানের মাধ্যমে শস্যের উত্পাদনের পরিমান বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে । সরঞ্জাম ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষি জমি দখল করতে পারবে না , এ সব নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানশুধু পুরনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়িঘর কাজে লাগাতে পারে এবং নতুন ভবন নির্মানের সময় পরিবেশ রক্ষা ও সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার করতে হবে ।

    চান কুও পাও আরো বলেছেন , উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান পরিকল্পনা কার্যকর করার সময় উন্মুক্তকরণের নীতি কার্যকর করা হবে । হাইটেক শিল্প , সরঞ্জাম তৈরী ও পরিবেশ রক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশের অর্থ আকর্ষণের জন্য অনুকূল ব্যবস্থা নেয়া হবে । প্রধান প্রধান সীমান্ত স্থল বন্দর ও নৌবন্দরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অঞ্চল ও বাণিজ্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হবে । তবে যে সব শিল্পে জ্বালানী শক্তির ক্ষয় বেশি এবং পরিবেশ দুষণ বেশি , সে সব শিল্প সহযোগিতা অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন করা নিষিদ্ধ হবে ।( ফোং সিউ ছিয়েন )