সম্মেলনের পর স্বাক্ষরিত ধারাবাহিক দলিলের মধ্যে "শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর দীর্ঘকালীন সুপ্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চুক্তি" সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এই চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন । ছেন ইয়ু রোং বলেছেন, এই চুক্তি শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সুপ্রতিবেশীসুলভ সহযোগিতা একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত করেছে। তিনি বলেছেন:
"চীন পক্ষের দেয়া "শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশের দীর্ঘকালীন সুপ্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চুক্তি" সদস্য দেশের অভিন্ন অনুমতি ও সমর্থন পেয়েছে। তা সুপ্রতিবেশীসুলভ সহযোগিতা এই সংস্থার একটি কাঠামো নীতি হিসেবে উত্থাপন করেছে। এই চুক্তি শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বলা যায়, এই চুক্তি এবারের বিস্কেক শীর্ষ সম্মেলনের একটি ফলাফল, তা ছাড়াও শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় একটি প্রতিকী চুক্তি।"
ছেন ইয়ু রোং বলেছেন, শাংহাই সহযোগিতা সং
স্থা চীন, রাশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্য দেশসমূহের অভিন্ন রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। "শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশের দীর্ঘকালীন সুপ্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চুক্তি" সদস্য দেশগুলোর জনগণের দীর্ঘকালিন মৈত্রী এবং শান্তি ও সহাবস্থান বজায় রাখার আশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং তা উন্নয়নের জন্য শক্তি যুগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন:
"শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা অল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা একটি প্রাণশক্তিসম্পন্ন আঞ্চলিক বহুদেশীয় সংস্থা। শাংহাই সহযোগিতার ঐক্য ও জীবন্ত শক্তি তাকে অব্যাহতভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে ত্বরান্বিত করবে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রধান কাজ হলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা সুরক্ষা করা, স্থানীয় অঞ্চলের অর্থনীতি ত্বরান্বিত করা। এই লক্ষ্য হলো সদস্য দেশের অভিন্ন স্বার্থ। এবারের চুক্তি স্বাক্ষর অবশ্যই শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভবিষ্যতে তার উন্নয়ন নিশ্চয়ই আরো উজ্জ্বল হবে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
1 2
|