পূর্ব তিমুর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচে' পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির আয়তন ১৪ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার। দেশটির পশ্চিম দিক ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম তিমুর সংলগ্ন। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অস্ট্রেলিয়া। এর সমুদ্রসীমা মোট ৭৩৫ কিলোমিটার। দেশটিতে পাহাড় বেশি। সারা দেশের আয়তনের তিন চতুর্থাংশ হলো বনসম্পদ।
লোকসংখ্যা ১০ লাখ। দেশটিতে মোট ১০টিরও বেশি জাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশ আদিবাসী , ২০শতাংশ ইন্দোনেশিয়ার এবং ২ শতাংশ চীনা। সরকারী ভাষা পর্তুগীজ । ইংরেজিও বলে । খৃষ্টানদের মধ্যে ৯১.৪ শতাংশ অধিবাসী এবং ২.৬ শতাংশ প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মে বিশ্বাসী। এ ছাড়াও ১.৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মে , ০.৩ শতাংশ হিন্দু ধর্মে এবং ০.১ শতাংশ বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাস করে।
রাজধানি দিলি। এর লোকসংখ্যা ১.৬৭ লাখ। এখনকারে সারা বছরই এখানে বেশি গরম থাকে । উল্লেখ্য যে, দিলি বন্দর হলো দেশটির বন্দরগুলোর মধ্যে সবচে' বড় ।
১৯৬০ সালে ১৫তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গৃহীত ১৫৪২ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী, পূর্ব তিমুর উপদ্বীপে পর্তুগাল সাশন করতো । ১৯৭৫ সালের ২৮ নভেম্বর পূর্ব তিমুর স্বাধীনতা লাভ করে এবং পূর্ব তিমুর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় । এর পর দেশটির অর্থনীতির পুনর্গঠন ও সামাজিক উন্নয়ন দ্রুততর করা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক সুযোগ এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি খুব দুর্বল । এমন কি, বিভিন্ন ধর্মের সংঘর্ষের কারণে দেশটির রাজনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সব কারণে পূর্ব তিমুর হলো এশিয় দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া, দেশটিতে কর্মসংস্থানের খুব একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। সারা দেশে সামাজিক দ্বন্দ্ব প্রখর এবং সংঘর্ষ ও হামলা বেশি হচ্ছে।২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে কিছু সামরিক যোদ্ধা স্থানীয় অভ্যূত্থান ঘটায় । এতে হাজার হাজার লোক গৃহহারা হয়েছে। পূর্ব তিমুর সরকারের উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়া পর্তুগাল, এবং মালয়েশিয়াসহ গঠিত আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা বাহিনী দেশটিতে মোতায়েন রয়েছে।
২০০২ সালের মে মাসে চীন পূর্ব তিমুরের সঙ্গে " চীন গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও পূর্ব তিমুর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সংশ্লিষ্ট যৌথ প্রস্তাবে" স্বাক্ষর করে। চীন হচ্ছে পূর্ব তিমুরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী প্রথম দেশ।
|