v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-16 19:21:15    
দ্রুত উন্নয়নে বিরাট স্বার্থ অর্জিত

cri
    বন্ধুরা, এ বছর হল উত্তর চীনের অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি বার্ষিকী। অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হল চীনের প্রথম প্রতিষ্ঠিত সংখ্যালঘুজাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। ৬০ বছর ধরে অন্তমঙ্গোলিয়া অনেক উন্নীত হয়েছে। অদূর আগে অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিশনের ভাইস পরিচালক হু চং সি আর আই'র সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ৬০ বছরে অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল উন্নয়নের প্রক্রিয়া প্রধান দুই পর্যায়। তিনি বলেছেন, 'অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের উন্নয়ন খুবই দ্রুত। প্রথম পর্যায় হল ২০ শতাব্দীর ৫০ দশক। তখন হল চীনের প্রথম পঞ্চ বার্ষিক সময়। ১৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার ৬টি হল অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের। সংস্কার ও উন্মুক্ততারের পরের সময়পর্ব হল অন্তমঙ্গোলিয়া উন্নয়নের দ্বিতীয় পর্যায়। আমাদের উন্নয়ন ও সংস্কার গতি উপকূলীয় ও অভ্যন্তরভাগের অন্যান্য অগ্রণী অঞ্চলের চেয়ে কম। কিন্তু আগে নিজের চেয়ে অনেক দ্রুত হয়। বিশেষ করে অর্থনীতির কাঠামো অনেক পরিবর্তন হয়।'

    সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত হল অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নের সময়পর্ব। এ সময়পর্বে অঞ্চলটির জিডিপি প্রতি বছরে গড়পড়তা শতকরা ১৭.১ ভাগ বেড়ে। এট চীনের অভ্যন্তরভাগের বিভিন্ন প্রদেশের পর্যায়ের প্রশাসনিক অঞ্চলের গড়পড়তা জিডিপির বেশি এবং দশম স্থানে রয়েছে। ২০০৬ সালে অঞ্চলটির জিডিপি ৪৭৯ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি ছিল। এটি হল ৬০ বছরের আগে অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সময়ের ১৯৬ গুণ।

    অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন জনসাধারণকে বিরাট স্বার্থ এনে দেয়। অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইচিনহুওলুও জেলার প্রধান হাও ইয়ংইয়াও বলেছেন, 'আমাদের প্রধান দায়িত্ব হল জনসাধারণকে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি স্বার্থ এনে দেয়া। ২০০৪ সালে আমরা 'দশটি বাদু স্টার পরিকল্পনা' বাস্তবায়ন করি। এ দশটি পরিকল্পনা হল জনসাধারণের সামাজিক সুরক্ষা, বাসতবাড়ী, শিশুর শিক্ষা, কৃষক আর পশুপালকদের চিকিত্সা, সংখ্যালঘুতাজীয় নাগরিকদের বসবাস, অবকাঠামো নির্মাণ ও বুড়ো-বুড়ি জীবনযাত্রের ক্ষেত্রে ২৮৫.৫ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি পুঁজিবিনিয়োগ করি। অর্থনীতি দ্রুত উন্নয়নের পর অঞ্চল সরকার জনগণের জীবনযাত্র সম্পর্কিত ক্ষেত্রেআরো বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করেছে।'

    অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অর্থনীতি সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দ্রুত উন্নয়ন সম্পর্কে স্থানীয় বিভিন্ন জাতির নাগরিকরা কি অনুভব করে?

    ইচিনহুওলুও জেলার বশুবালক আলাথানওছিল বলেছেন, 'আমার জাতি দার্হুট। আমারা বরাবরই গেঙ্গিহিস খানের সমাধি সুক্ষা করি। আমি এর জন্য অনেক গর্ব অনূভব করি। আগে আমরা শুধু পশুপালেনর পদ্ধতিতে বাস করতাম। এখন আমার পাড়ি বশু পাল ছাড়াও কিছু জমি চাষ করি এবং আমাদের বেশির ভাগ আয় গেঙ্গিহিস খান সমাধি সংশ্লিষ্ট্র পর্যটন থেকে লাভ করি। এখন আমি মনে করি আমাদের পাড়ির জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক উন্নীত হয়।'

    ইচিনহুওলুও জেলার ৭৩ বছর বয়সী মঙ্গোলীয় জাতীর পশুপালক দাওয়া বলেছেন, স্থানীয় সরকার সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বাস্তবায়িত 'নাগরিকরা বাধ্যতামূলক বাস উঠা', 'ছাত্রছাত্রীরা বাধ্যতামূলকভাবে প্রাথমিক ও জুনিয়ার স্কুলে শিক্ষা', 'কৃষক ও পশুপালকদের চিকিত্সা সুরক্ষা' ও 'সংখ্যালঘুজাতীয় নাগরিকদের আবাসিক এলাকার নির্মাণ' ব্যবস্থা নাগরিকদের স্বাগত জানানো হয়। এরমধ্যে দাওয়া 'সংখ্যালঘুজাতীয় নাগরিকদের আবাসিক এলাকার নির্মাণ' ব্যবস্থা থেকে অনেক স্বার্থ লাভ করেন। তিনি বলেছেন, 'আমার নাম দাওয়া। আমার বয়স ৭৩ বছর। আমি অন্তমঙ্গোলিয়া ৬০ বছরের পরিবর্তন দেখেছি। আমি মনে করি, আমার দেশ একটি মহা দেশ। আমি অব্যাহতভাবে আমার দেশ ও জন্মস্থানের জন্য অবদান রাখতে চাই। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকার আমাদের অনেক কঠিন ও সমস্যা নিরসন করেছে। আমরা অধেক সুখ থেকে সুখতর হচ্ছে। আগে আমার ঘর নষ্ট ছিল, অনেক বিপদ। কিন্তু স্থানীয় সরকার আমার জন্য নতুন পাড়িঘর নির্মাণ করে। আমাদের বসবাসের পরিস্থিতি অনেক উন্নীত হয়েছে। '

    অন্তমঙ্গোলিয়ার বৃহত্তম শিল্প শহর বাওথৌ শহরের একজন হান জাতীয় বুড়ি বলেছেন, 'আমি মনে কররি, বাওথৌর নাগরিক অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং এখানে পরিবেশ অনেক ভাল। আমি বাওথৌতে ৪ ও ৫ বছরে থাকি। আমি এখানে সড়ক পছন্দ করি। খুবই পরিশ্কার ও সজা। এখানে থাকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যময় লাগে।'

    বাওথৌর একজন টেক্সিভারা বলেছেন, 'সবার বাওথৌ শহরের নাগরিকরা অন্তমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি বার্ষিকীর ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখে। বাওথৌর সবুজ ঘাসগাছড়ার এলাকা বেশি। নানা স্থানে সুন্দর দৃশ্য রয়েছে। বাওথৌ শহরের একজন নাগরিক হিসেবে আমি অনেক গর্ব অনূভব করি। আমি একজন টেক্সিভারা। গত বছরে তেলের মূল্য অনেক বাড়ানো হয়। সে জন্য বাওথৌ সরকার আমাদেরকে ভর্তুকি প্রদান করেছে। আমরা বিরাট স্বার্থ লাভ করেছি।'

    অন্তমঙ্গোলিয়ার রাজধানি হুহহোটের একজন নাগরিক বলেছেন, 'আমি হুহহোট শহরে প্রায় দশ বছরে থাকি। এ দশ বছরে হুহহোট অনেক দ্রুত উন্নীত হচ্ছে। যদি আমি একটু সময় বাইরে না যাই, তাহলে বাইরে গিয়ে অনেক পরিবর্তন দেখতে পারি। এ শহরে থাকে খুবই আরামদায়ক লাগে। আগে এখানে আমার জন্মস্থানের টাটকা দূধে ও গরু আর খাশির মাংশে তৈরী খাবার অনেক কঠিন পাওয়া যায়। এখন এ ধরণের উত্কৃষ্ট পণ্যদ্রব্য হুহহোটের যেকোন দকানে পাওয়া যায়। এ শহর আরো মানবসম্মত ও বৈশিষ্ট্যময় হচ্ছে। আমি হুহহোটকে খুবই পছন্দ করি।'

    ইচিনহুওলুও জেলার একজন ছাত্রের বাবা বলেছেন, 'এখানে বিভিন্ন জাতি খুবই ঐক্যবদ্ধ।'