v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-14 18:57:43    
সহযোগিতা গভীর করা ও সম্প্রীতিমূলক অঞ্চল নির্মাণের একটি মহা সম্মিলন

cri
    শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদের সপ্তম অধিবেশন ১৬ আগষ্ট কিরগিজস্তানের রাজধানী বিস্কেকে আয়োজনের কথা। শীর্ষ সম্মেলনকালে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা গত বছর শাংহাই শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে এই সংস্থার উন্নয়নে অর্জিত সফলতা নিয়ে সারসংকলন করবেন এবং ভবিষ্যতে নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা নিয়ে নতুন কর্যক্রম প্রণয়ন করবেন। চীনের সামাজিক বিজ্ঞান এক্যাডেমির শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার গবেষণা কেন্দ্রের মহাসচিব সুন চুয়াংচি এবারের শীর্ষ সম্মেলনের বৈশিষ্ট্য, অভিষ্ট লক্ষ্য এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ভবিষ্যতের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের বেতারের সংবাদদাতা ওয়াং চুইফাংকে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন।

    সুন চুয়াংচি বলেছেন, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের একটি বৈশিস্ট্য হলো এর ব্যাপকতা খুব বড়। খবরে জানা গেছে, সম্মেলনে চীন ও রাশিয়াসহ ছয়টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানাদের অংশ নেয়া ছাড়াও, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার চারটি পর্যবেক্ষক দেশের মধ্যে মঙ্গোঁলিয়ার প্রেসিডেন্ট নামবারিন এ্যাঁখবায়ার, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এবং পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবারের সম্মেলনে অংশ নেবেন। তা ছাড়া, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবানগুলি বেরদিমুখামেদোভ, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব বি লিন পাস্কোই চেয়ারম্যান দেশের অতিথি হিসেবে সম্মেলনে অংশ নেবেন। এ প্রসঙ্গে সুন চুয়াংচি মনে করেন, এবারের শীর্ষ সম্মেলন শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রাণ শক্তি ও আকর্ষণী শক্তি দেখা দিয়েছে।

    আমার মনে হয়, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি হচ্ছে একটি মহা সম্মিলন। এর ব্যাপকতা এবং স্বাক্ষরিত দলিলপত্রের সংখ্যায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। এর থেকে দেখা গেছে যে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার আবেদন জানানোর শক্তি দিন দিন প্রবল হচ্ছে। সদস্য দেশগুলো, পর্যবেক্ষক দেশগুলো ও নিকটবর্তী দেশগুলোর জন্যে এর আকর্ষনীয় শক্তিও দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।

    খবরে জানা গেছে, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে ছয়টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মিলিতভাবে "শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর দীর্ঘকালীন সুপ্রতিবেশীসূলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার চুক্তি", "বিস্কেক ঘোষণা" ও "যৌথ ইস্তেহার"সহ বিভিন্ন দলিলপত্রে স্বাক্ষর ও প্রকাশ করবেন। এদের মধ্যে "শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর দীর্ঘকালীন সুপ্রতিবেশীসূলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার চুক্তি" চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের উদ্যোগে গত বছরের শীর্ষ সম্মেলনে উত্থাপিত হয়েছে। এটি হচ্ছে এই অঞ্চলের প্রথম বহুপক্ষীয় রাজনৈতিক দলিলপত্র। এর সদস্য দেশগুলোর জনগণের বংশপরম্পরায় সম্প্রীতিতে বসবাস করা ও শান্তি বজায় রাখার মর্মকে আইন হিসেবে নির্ধারণ করে আসছে। সুন চুয়াংচি মনে করেন, এই চুক্তি সদস্য দেশগুলোর সুপ্রতিবেশীসূলভ ও পারস্পরিক আস্থা এবং পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত এবং সম্প্রীতিমূলক অঞ্চল নির্মাণের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন

    বলা যায় যে, এই দলিলপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলিলপত্র স্বাক্ষরিত হওয়ার পর রাজনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা বিশেষ করে দীর্ঘকালীন সহযোগিতার জন্যে একটি আরো ভালো আইনী ভিত্তি যোগানো হয়েছে।

    পশ্চিমা জনমত এই যে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা একটি হুমকি এ ধরণের বক্তব্য প্রসঙ্গে সু চুয়াংচি বলেন,

    শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকে একটি নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্যান্য তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে নয়, সামরিক মিত্র পরিবর্তন হবে না এবং এটিও কোন দেশ বা গোষ্ঠীর স্বার্থের উপর হুমকি সৃষ্টি করবে না।

    শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ভবিষ্যত প্রসঙ্গে সুন চুয়াংচি বলেন,

    শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শক্তিশালী ভিত্তি আছে। কারণ, এটি উন্নয়নের গতিধারায় প্রতিনিধিত্ব করে এবং চীন, রাশিয়া ও মধ্য এশীয় দেশগুলোর অভিন্ন রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের পাশাপাশি শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার অবশ্যই একটি ভালো উন্নয়নের ভবিষ্যত হবে। (লিলি)