১৯৯১ সালের জুলাই মাসে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিয়ান ছি ছেন আসিয়ানের ২৪তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এটা হচ্ছে চীনের প্রথমবারের মত আসিয়ানে যোগদান। ১৬ বছরের অভিন্ন প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে, দু'পক্ষের রাজনৈতিক ও পারস্পরিক আস্থা স্পষ্টভাবে বেড়েছে, আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং অন্য ক্ষেত্রের সহযোগিতা অব্যাহতভাবে ত্বরান্বিত ও আরো গভীর হয়েছে। চীন—আসিয়ান সম্পর্ক চীনের নিকটবর্তী কূটনীতির একটি আকর্ষণীয় বিষয়ে পরিনত হয়েছে এবং আসিয়ান ও সকল অংশীদারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণশক্তিসৃষ্টি সহ সাফল্যের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
প্রথমতঃ দু'পক্ষের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে, আসিয়ানের 'পরামর্শ দানের অংশীদারি দেশ' হিসেবে চীন থ্যাল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত প্রথম 'আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম'-এ অংশ নিয়েছে এবং ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে চীন আসিয়ানের 'পরামর্শ দানের অংশীদারি দেশ' থেকে 'সার্বিক সংলাপ অংশীদারি দেশ'-এ উন্নীত হয়েছে। এটা দু'পক্ষের সম্পর্কের আরো গভীর ও পারস্পরিক আস্থা এবং সহযোগিতার পর্যায়ে প্রবেশের প্রতীক।
দ্বিতীয়তঃ নিরাপত্তা সহযোগিতা ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। ২০০২ সালে চীন ও আসিয়ানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে 'দক্ষিণ সমুদ্রঃ বিভিন্ন পক্ষের তত্পরতা ঘোষণা' স্বাক্ষর করে, শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধের সমাধান, এক সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সংরক্ষণ এবং দক্ষিণ সমুদ্রের সহযোগিতা চালানো নিয়ে এক মত হয়েছে।
তৃতীয়তঃ দু'পক্ষের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত অভাবনীয় সাফল্য হয়েছে। আসিয়ান ও চীন পরস্পরের চতুর্থ বাণিজ্য অংশীদারে পরিনত হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়ন ছাড়া, চীন ও আসিয়ান ১০টি ক্ষেত্রকে ২০১০ সালের আগে দু'পক্ষের সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নিশ্চিত করেছে।
চতুর্থতঃ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে, চীন ও আসিয়ানের সমন্বয় অধিকতরভাবে জোরালো হয়েছে। চীন পূর্ব এশীয় সহযোগিতায় আসিয়ানের নেতৃত্বের ভুমিকাকে সমর্থন করে। এটা হচ্ছে চীন-আসিয়ান কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দু'পক্ষ এক সঙ্গে আসিয়ান—চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা, পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ সম্মেলন, আসিয়ানের আঞ্চলিক ফোরাম, এশীয় সহযোগিতামূলক সংলাপ, এপেক, এশিয়া—ইউরোপ সম্মেলন ও পূর্ব এশিয়া—ল্যাটিন আমেরিকা ফোরামসহ আঞ্চলিক ও আন্তঃ আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।
|