উঃ কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং ইল ও দঃ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোহ মো হিউন ২৮ থেকে ৩০ আগস্ট পিয়ং ইয়ং-এ শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন। এটা হবে গত ৭ বছরের মধ্যে উত্তর ও দঃ কোরিয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দ্বিতীয় বৈঠক।
১৯৫০ সালে কোরীয় যুদ্ধের কারণে, কোরীয় উপদ্বীপের ভূ-ভাগ বিছিন্ন হয়েছে এবং একই জাতির অধিবাসীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যদিও গত অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে, দু'পক্ষ বহু বার বিভিন্ন পর্যায়ের সংলাপ ও যোগাযোগ করে যাচ্ছে, তবুও সংঘর্ষ ও বৈরীতা মাঝে মাঝে ঘটছে।
২০ শতাব্দীর ৯০ দশক শেষে, দঃ কোরিয়া অনেক বার দক্ষিণ ও উত্তর বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে শান্তি স্থাপন ও সহযোগিতাকে বাস্তবায়ন করা যায়। উঃ কোরিয়াও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। দু'পক্ষের অভিন্ন প্রচেষ্টায়, ২০০০ সালের ৮ এপ্রিল, উত্তর ও দঃ কোরিয়া ১৯৭২ সালের '৪ জুলাই স্বাক্ষরিত চুক্তির পর দেয়া উত্তর ও দক্ষিণ যৌথ বিবৃতি' অনুযায়ী মাতৃভূমি পুনরেকীকরণের তিনটি মৌলিক নীতিকে আবারও নিশ্চিত করেছে। দু'পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং সে বছরের ১২ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত পিয়ং ইয়ং সফর করেন।
২০০০ সালের ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইল ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম দাই জোং পিয়ং ইয়ং-এ ঐতিহাসিক বৈঠক করেছেন। এটা হচ্ছে কোরীয় উপদ্বীপ বিছিন্ন হওয়ার ৫৫ বছর পর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রথম বৈঠক। তত্কালীন দু'পক্ষের নেতা 'উত্তর ও দক্ষিণ অভিন্ন ঘোষণা'য় স্বাক্ষর করেছেন। এ ঘোষণায় দু'জন নেতা সফর বিনিময় চালাতে রাজী হয়েছেন।
এরপর, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া মন্ত্রী পর্যায় এবং জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং বিচ্ছিন্ন আত্মীয়স্বজনদের সফরবিনিময়ের বিষয়টিরও বাস্তবায়ন করেছে। দু'দেশের বাণিজ্য ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা ও যোগাযোগ অব্যাহতভাবে ত্বরান্বিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন দফা শীর্ষ বৈঠক এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় নি।
|