সম্প্রতি তিব্বত জ্বালানীসম্পদের বিকল্প উন্নয়নের কৌশল জারি করে সৌর জ্বালানীর সৃষ্ট মিথেন গ্যাসসহ বিভিন্ন পুনঃব্যবহার্য জ্বালানীসম্পদকে তিব্বতের জনগণের দৈনন্দিন জীবনে জ্বালানীকাঠের পরিবর্তে বিপুলভাবে ব্যবহারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
দীর্ঘকাল ধরে তিব্বতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীরা বিশেষ করে কৃষক ও পশুপালকদের জীবন-যাপনের জ্বালানী প্রধানত: কাঠ, গরু ও খাসির মল এবং ঘাসের উপর নির্ভর করে আসছে। জ্বালানীকাঠের অত্যধিক ব্যবহার তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিব্বতের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রণয়ন করা "জ্বালানীকাঠের পরিবর্তে ভিন্ন জ্বালানী উন্নয়নের কৌশলগত গবেষণায়"স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, তিব্বতের উচিত সৌর জ্বালানীর সৃষ্ট মিথেন গ্যাসকে জ্বালানীকাঠের পরিবর্তে ব্যবহার করা। সৌর শক্তির সৃষ্ট মিথেন গ্যাস হচ্ছে সৌর শক্তির তাপমাত্রার সাহায্যে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস। ২০১৫ সালের কাছাকাছি সৌর জ্বালানী, জলবিদ্যুত্ জ্বালানী ও জৈব জ্বালানীসহ নানা ধরণের নতুন জ্বালানী তিব্বতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে এবং কাঠ, গরুর মল ও ঘাসসহ ঐতিহ্যিক জ্বালানীসম্পদের উপর জনগণের নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
জ্বালানীকাঠের বিকল্প গবেষণায় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিব্বত কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিব্বত হচ্ছে চীনে সৌর জ্বালানীসম্পদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা অঞ্চলগুলোর অন্যতম। বর্তমানে ২ লাখ লোক সৌর জ্বালানীসম্পদের সাহায্যে বিদ্যুত্ ব্যবহার করেছেন। প্রায় ৭ লাখ কৃষক ও পশুপালক নানা ধরণের সৌর জ্বালানীসম্পদের দ্রব্য ব্যবহারের সুফল ভোগ করছেন। (লিলি)
|