v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-10 16:48:23    
চীনের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হবে

cri
    সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ পূর্ব- চীন অঞ্চলের পুনরুত্থান পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে । এ পরিকল্পনা অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব চীনের উন্নয়নকে নানা দিক থেকে সাহায্য দেবে । উত্তর-পূর্ব চীন অঞ্চল চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অঞ্চলে পরিণত হবে । বিশেষজ্ঞদের ধারণা , এ পরিকল্পনা উত্তর-পূর্ব চীনের সার্বিক পুনরুত্থানের রোড ম্যাপ হিসেবে এ অঞ্চলের উন্নয়নকে তরান্বিত করবে।

    উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আওতায় রয়েছে লিয়াও নিন , চিলিন ও হেলুংচিয়াং এ তিনটি প্রদেশ । এ অঞ্চলের মোট আয়তন আট লাখ বর্গকিলোমিটার । এটি উত্তর-পূর্ব চীনের একটি পুরনো শিল্প ঘাঁটি । এ অঞ্চলে অনেক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে । এ অঞ্চল পেট্রোল, কয়লা ও লোহাসহ নানা খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ । উত্তর-পূর্ব অঞ্চল চীনের অন্যতম খাদ্য উত্পাদন অঞ্চলও বটে । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ অঞ্চলের উন্নয়নে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । যেমন রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারীতা কমেছে , বেকার সমস্যা গুরুতর , প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষয় বেশি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবনমন স্পষ্ট ।

    ২০০৩ সালে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরাত্থানের প্রস্তাব করেছে এবং অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । তবে উত্তর-পূর্ব চীনের উন্নয়ন সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় নি । এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ উত্তর-পূর্ব চীনের সার্বিকপুনরুত্থান পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর শিল্প অর্থনীতি গবেষণাগারের প্রফেসর চাও ইং বলেছেন , ২০০৩ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব চীনের বাস্তব অবস্থা অনুসারে সরকার অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । ফলে উত্তর-পূর্ব চীনের পুরনো শিল্পঘাঁটির অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে । তবে উত্তর-পূর্ব চীনকে এক বৈশিষ্ট্যময় উন্নয়ন অঞ্চলে পরিণত করার জন্য একটি সার্বিক ও কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন একান্ত প্রয়োজন ।

    জানা গেছে , উত্তর-পূর্ব চীনের পুনরুত্থান পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে দু বছর সময় লেগেছে । রাষ্ট্রীয় পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন মহলের মতামত সংগ্রহ করে এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে । পরিকল্পনায় বলা হয়েছে , ১০ থেকে ১৫ বছরের প্রচেষ্টার পর উত্তর-পূর্ব চীন অঞ্চলকে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে গড়ে তোলা হবে । উত্তর-পূর্ব চীনে আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষমতাসম্পন্ন সরঞ্জাম তৈরী কেন্দ্র , নতুন ধরনের কাঁচামাল ও জ্বালানী শক্তি কেন্দ্র , খাদ্যশস্য ও গবাদীপশু পালন কেন্দ্র ও নতুন প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে ।

    প্রফেসর চাও ইং এ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেছেন , উত্তর-পূর্ব চীনের পুরনো শিল্প ঘাঁটির বৈশিষ্ট্য এবং এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনা করে গোটা উত্তর-পূর্ব চীনের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে । এ পরিকল্পনায় যেমন উত্তর-পূর্ব চীনের প্রাধান্যকে কাজে লাগানো হয়েছে , তেমনি উন্নয়নের দিকস্থিতিও দেখানো হয়েছে ।

    এ পরিকল্পনায় লিয়াও নিন , চিলিন ও হেলুনচিয়ান প্রদেশ ছাড়া এ অঞ্চল সংলগ্ন অন্তর্মঙ্গোলিয়ার পাঁচটি শহরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । ফলে এ অঞ্চলের মোট আয়তন ১৪.৫ লাখ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ১২ কোটি হয়েছে । জানা গেছে , অন্তর্মঙ্গোলিয়ার পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্ব চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক পরিপূরকতা বেশি ।

    প্রফেসর চাও ইং এ পরিকল্পনার গভীর মূল্যায়ন করে বলেছেন , এ পরিকল্পনা উত্তর-পূর্ব চীনের সার্বিক উত্থানের একটি রোড ম্যাপ এবং পুরনো শিল্প ঘাঁটি অঞ্চলের সংস্কার তরান্বিত করার একটি দলিল । কাজেই এ পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে ।

    চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ এ পরিকল্পনার কার্যকরীকরণে আর্থিক সাহায্যবাড়ানোএবং নীতিগত সুযোগসুবিধা দেয়ার নির্দেশদিয়েছে ।( ফোং সিউ ছিয়েন )