মানুষের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু বহু উপাদানের সংগে জড়িত । যেমন বংশের প্রভাব , চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা , নিত্য জীবনযাপনের রীতি-নীতি , মানসিক অবস্থা , খাওয়া দাওয়া ও পুষ্টি , সামাজিক পরিবেশ আর ঘরোয়া পরিবেশ ইত্যাদি । এই সব উপাদানের মধ্যে খাওয়া দাওয়া আর পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । কারণ পুষ্টি প্রাণের বস্তুগত ভিত্তি । যুক্তিযুক্তভাবে পুষ্টি গ্রহণ করলেই কেবল মানুষের দেহের বেড়ে যাওয়াকে নিশ্চিত করা যায় আর সুস্থ অবস্থা সুরক্ষা করা যায় ।
মানুষের শরীরের পুষ্টি পদার্থের মধ্যে প্রোটিন , চর্বি, চিনি খনিজ পদার্থ , পানি আর ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত ।
এখন প্রোটিন আর চর্বি-জাত পদার্থ সম্বন্ধে আপনাদের কিছু বলা হবে ।
প্রোটিন যেমন মানুষের শরীরের প্রধান পদার্থ , তেমনি ওটা মানুষের শরীরের বহু জৈব পদার্থের একটি প্রধান উপাদানও । যেমন শরীরের ভেতরে মেতাবোলিজম প্রক্রিয়ায় যে বিবিধ খাম্বিরা , প্রানের জন্য যে প্রয়োজনীয় হোরমুন আর রোগ প্রতিরোধকারী পদার্থের প্রধান উপাদানই প্রোটিন । প্রোটিন মানুষের শরীরের শক্তি সম্পদমূলক পদার্থও। শরীরে মেটাবোলিজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি যুগানো যায় । শরীরে যে প্রোটিন প্রয়োজন , তা খাওয়া দাওয়া থেকে গ্রহণ করা যায় । শরীরে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন হারালে মানুষের প্রানের অবসান ঘটতে পারে ।
চর্বির মৌলিক পদার্থ ফেটি এসিড্ । শরীরে যে ফেটি এসিড লাগে , তা খাওয়া দাওয়া থেকে গ্রহণ করা দরকার ।
এখন আধুনিককালে ক্রেতাদের খরচ বিষয়ক নতুন ধ্যানধারনা সম্বন্ধে আপনাদের কিছু বলা হবে ।
সমাজের অগ্রগতি , জনসাধারণের ধারনার পরিবর্তন আর জীবনযাত্রার মান উন্নত হবার সংগে সংগে আধুনিক যুগের লোকদের খরচ সংক্রান্ত ধারনারও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে । লোকেরা যেমন হার্ড ওয়্যার কেনার জন্য খরচ করেন , তেমনি সফট্ ওয়্যার , যেমন সময় , সুস্বাস্থ্য , পরিসেবা আর শিক্ষার ব্যাপারেও খরচ করতে শুরু করেন ।
সময় যে অমূল্য , তা টাকা পয়সা দিয়ে কেনা যায় না । বর্তমানে মানুষের জীবনধারা আর চাকরির ব্যস্ততার দরুণ অধিক থেকে অধিকতর লোক সময়ের মূল্য উপলব্ধি করেছেন । তারা টাকা পয়সা দিয়ে সময়কে কাজে লাগিয়ে আরো বেশী টাকা পয়সা উপার্জন করেন । যেমন বিংশ শতাব্দির নব্বই'র দশকের আগে ট্যাক্সি নিয়ে বাইরে যাওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে বিবেচনা করা যেতো না । এখন সময়ের সাশ্রয়ের জন্য বহু লোক ট্যাক্সি নিয়ে বাইরে যান । তা ছাড়া লোকেরা স্থির টেলিফোন বসানো , মোবাইলফোন কেনা আর নেট নাগরিক হওয়ার জন্যও খরচ করেন । তাদের উদ্দেশ্য সময় বাঁচানো , আরো বেশী তথ্য পাওয়া । অর্জিত তথ্যের ভিত্তিতে আরো বেশী উপার্জন করা ।
বর্তমানে শিক্ষার খরচকে বিবিধ খরচের একটি প্রধান ক্ষেত্র বলে মনে করা হয় । যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের মাথাপিছু গড়পড়তা ব্যয় অন্ততঃ ৩০ হাজার ইউয়ানের কাছাকাছি । তা ছাড়া যারা অবসর সময় কাজে লাগিয়ে পড়াশুনা করেন , তাদের সংখ্যাও বাড়ছে । তাদের উদ্দেশ্য আরো বেশী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা । এতে আধুনিক যুগের লোকদের মতৈক্য প্রতিফলিত হয়েছে ।
সুস্বাস্থ্যের জন্য যে খরচ করা হয় , তা আধুনিক যুগের সমাজে লোকদের সুস্বাস্থ্য চাওয়ার ইচ্ছার পরিচায়ক । সুস্বাস্থ্য সব কিছুর উপরে । এটাই আধুনিক যুগের লোকদের মতৈক্যে পরিনত হয়েছে । যেমন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জীবানুনাশক আলমারীর বিক্রি পরিমান দ্রুত বেড়ে গেছে । এ থেকে বোঝা যায় , সুস্বাস্থ্য আর বীমার জন্য খরচ করা এবং আরো ভালভাবে আধুনিক যুগের জীবনযাপন ভোগ করা অধিক থেকে অধিকতর লোকের সখে পরিনত হয়েছে ।
|