v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-08 19:02:15    
চ্যালেঞ্জ সম্মুখীন থেকেও ৪০ বছর ধরে আসিয়ান সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে

cri

    চলতি বছরের ৮ আগস্ট হচ্ছে আসিয়ান প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী। ৪০ বছর ধরে আসিয়ান রাজনীতি, অর্থনীতি ও আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে। এর ফলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শান্তি , স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি উন্নত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব হয়েছে। আসিয়ান বর্তমান দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আসিয়ান এখন আর একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে উপেক্ষণীয় নয়।

    আসিয়ান ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আসিয়ান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হচ্ছে আঞ্চলিক দেশগুলোর স্বকীয় শক্তিকে উন্নত করা এবং নিজেদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতাকে জোরদার করা। যাতে মহাদেশগুলোর এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য রক্ষাসহ সর্বাধিক মাত্রায় নিজেদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিকে সুরক্ষা করা যায়।

    বর্তমানে আসিয়ান রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলো সুষম ও সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অবস্থায় রয়েছে। এর পাশাপাশি আসিয়ান কেন্দ্র হিসেবে বেশ কিছু আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যবস্থায় ধাপে ধাপে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। আসিয়ান চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা, পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলন এবং আসিয়ান ফোরামসহ বিভিন্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বজায় রেখেছে। যাতে সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকে বাস্তবায়ন করা যায়। আসিয়ান কেবল সদস্য দেশগুলোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে তাই নয়, বরং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক অবস্থানকেও ব্যাপক উন্নত করেছে।

    অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আসিয়ান দেশগুলো আঞ্চলিক তার একীভূতকরণ ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আসিয়ান " দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অবাধ বাণিজ্যিক অঞ্চল" প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অঞ্চলের শূণ্য শুল্ক বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ আসিয়ানের অর্থনৈতিক কমিউনিটি গড়ে তোলার প্রয়াস চলছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসিয়ানের জিডিপি ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।

    সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আসিয়ানের দেশগুলো জনগণের বিনিময় অব্যাহতভাবে উন্নত করছে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করছে। বিভিন্ন সদস্য দেশগুলো আসিয়ানের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি যৌথভাবে সুরক্ষা করার জন্য আসিয়ানের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার প্রাপ্ত সম্পত্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশগুলো সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার প্রকল্পও হাতে নিয়েছে।

    সম্প্রতি আসিয়ানের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী "আসিয়ান সংবিধান"-এর খসড়া নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। এই সংবিধান আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্যকে বহন করে।

    তাছাড়া আসিয়ান উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন হয়েছে। যেমন কিছু সদস্য দেশে অভ্যন্তরীণ দাঙ্গাহাঙ্গামা বিরাজমান। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারসাম্যহীণতা এবং সন্ত্রাসবাদ, বার্ড ফ্লু ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ-প্রবণতাসহ বিভিন্ন অ-প্রথানুগত নিরাপদ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর জন্য আসিয়ানের দেশগুলো নিরলস পরামর্শ করে যাচ্ছে। যাতে আসিয়ানের বিভিন্ন ব্যবস্থা আরো স্বয়ংসম্পর্ণ হওয়া এবং বিভিন্ন সদস্য দেশগুলোর উপকারিতামূলক সহযোগিতাকে আরো জোরদার করা যায়। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়েন লুং ৭ আগস্ট বলেছেন, আসিয়ান এশিয় অঞ্চলে বিনিময়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে পারে এবং ইতিবাচক, ন্যায্য ও গঠনমূলক ভুমিকা পালন করতে পারে।