v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-22 20:01:53    
শরীরের কারোশি রোগে প্রতিরোধক কয়েক পদ্ধতি

cri
   আজকের অনুষ্ঠানে আমি আগের মতো আপনাদের জন্য শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্পর্কে কিছু তথ্য দেবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠানটি।

    কারোশি অর্থাত্ অতি ক্লান্তির কারণে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ হচ্ছে এক ধরনের বিপদজনক রোগ । প্রথমবারের মতো এ রোগের কথা শুনলে, আমাদের মনে অনেক ভয় লাগে । কিন্তু যদি আপনারা এ রোগের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব না দেন, তাহলে আকস্মিকভাবেই তা স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতিকর করবে এবং মৃত্যু ঝুঁকিও থাকবে ।

    অনেকে মনে করে কারোশি রোগ লোকজন অতি কর্মব্যস্ত থাকার কারণে আক্রান্ত হয়ে যায় , আসলে শৃঙ্খলাহীন জীবনযাপন পদ্ধতির জন্য আরো সহজভাবেই তারা এ রোগে আক্রান্ত হয় । অভিধানে কারোশি রোগের অর্থের ব্যাখ্যা হল : শ্রমিকরা অতিরিক্ত কাজ করার পর শরীরের অতিরিক্ত ক্লান্তি থাকার কারণে মৃত্যুবরণ করে । অথবা শ্রমিকদের স্বাভাবিক কাজ ও জীবনযাত্রার শৃঙ্খলতাকে বিধ্বস্ত করার কারণে শরীরের ক্লান্তি অনেক জমে যায় এবং অতিরিক্ত ক্লান্তির জন্য নিস্তেজ হয়ে পড়ে । ফলে শরীরের রক্ত চাপ বেড়ে যায় ও হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন অস্বাভাবিক হয় এবং সহজেই আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করে ।

    অনেক কারোশি রোগীর মৃত্যুবরণের কারণ হল দীর্ঘকাল ধরে রাতে না ঘুমানো । দীর্ঘকাল রাতে না ঘুমানোর ফলে সৃষ্ট শরীরের বিষাক্ত উপাদান রূপান্তরের মাধ্যমে নিঃশেষ না হওয়ায় বিষাক্ত উপাদান রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে খুব সহজেই স্নায়ু ব্যবস্থাকে অচল করে দেয় ।

    কারোশি রোগীদের মৃত্যুবরণ এবং সাধারণ আকস্মিক মৃত্যুবরণের সঙ্গে পাথর্ক্য কম এবং এ ঘটনা ঘটার আগে কোনো পূর্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না । এ কারণে তা সহজভাবে লোকজনের উপেক্ষা করে থাকে । কারোশি রোগ ঘটার সরাসরি কারণ হল হৃদ রোগ, উচ্চ রক্ত চাপ এবং ডায়াবেটিস রোগ ইত্যাদি।

    তাহলে আমরা কীভাবে কারোশি রোগ প্রতিরোধ করবো ?

    ১. নিয়মিতভাবে শরীর চর্চা করা

    প্রতিদিন দশ মিনেট হাঁটার পর কিছুটা দৌঁড়ান । সাধারণ গতির চেয়ে তাড়াতাড়ি হাঁটুন । সিঁড়ি দিয়ে উঠার সুযোগ থাকলে লিফ্টে উঠবেন না । প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনেট শরীর চর্চা করা উচিত । যেমন দৌঁড়ানো, হাঁটা এবং ইয়োগা করা ।

    ২. সুখী মন বজায় রাখা

    সুখী মন লোকজনের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি সবসময় রাগ করে বা মন খারাপ লাগে তাহলে সহজভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারায় হয়ে দাঁড়ায় । এ কারণে যদি আপনারা মন খারাপ লাগে বা ঝামেলার জন্য রাগ লাগে, অবশ্যই বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে মনের দুঃখ প্রকাশ করুন । তা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সহায়ক হবে ।

    ৩. যুক্তিযুক্তভাবে খাবার খাওয়া

    তৈলজাত খাবার বা মিষ্টি খাবার কম খাওয়া ভালো। টাটকা সবজি ও ফল প্রতিদিন খেতে হবে । যুক্তিযুক্ত খাবার শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক এবং শরীরের বিষাক্ত উপাদানের রূপান্তর ও হজমকে ত্বরান্বিত করতে পারে ।

    ৪. সুশৃঙ্খল বিশ্রাম নেয়া

    দীর্ঘকাল ধরে রাতে ভালো ঘুম না হওয়া বা না ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর । যদি আপনাদের কাজ রাতে করতে হয়, তাহলে শরীর ক্লান্ত লাগার সময় অবশ্যই কিছু চর্চা করুন বা একটু বিশ্রাম নিন এবং রাতে কাজ করার সময় কমানো ভালো ।

    ৫.নিয়মিতভাবে শরীরের পরীক্ষা করা

    যুবকরা বা বৃদ্ধ লোকদের জন্য শরীরের নিয়মিত পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । প্রতি বছর একবার শরীর পরীক্ষা করা ভালো,তাড়াতাড়ি শরীরের অসুস্থ্যতা খুঁজে বের করা সম্ভব হয় ।