v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-08 14:18:08    
চীনের মংগোলিয় জাতির কিশোর-কিশোরীদের সুখের গান

cri

    উত্তর চীনের অন্তর্মংগোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইচিনহোলো জেলা ওরতোস শহরের অধীনে রয়েছে । ইচিনহোলোর অর্থ হলো পবিত্র খানের কবরস্থান । এ জেলায় অবস্থিত চেংগিস খানের কবরস্থান দেশ-বিদেশে সুপরিচিত । চীনের অন্তর্মংগোলিয়া স্বায়ত্তশিসিত অঞ্চলের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রাক্কালে আমাদের সংবাদদাতা চেংগিস খানের কবরস্থান পরিদর্শন করেছেন । যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে অবস্থিত মংগোলিয় জাতির একটি প্রাথমিক স্কুল আমাদের সংবাদদাতার দৃষ্টি আকষণ করেছে । আমাদের কাহিনী এখান থেকেই শুরু ।

    সেই দিন আমাদের সংবাদদাতার গাড়ি ওরতোসের বিস্তীর্ণ তৃণভূমি দিয়ে যাচ্ছিল । পাকা রাস্তা যেন আকাশের প্রান্তে যেতে পারে । রাস্তার দু পাশে মাঝেমধ্যে কয়েকটি ভেড়া আরামের সংগে ঘাস খাচ্ছিল । যখন আমাদের সংবাদদাতা এ তৃণভূমির সবুজ ঘাস , নীল আকাশ ও সাদা মেঘে বিভোর ছিলেন , তখন হঠাত অদূরে অবস্থিত মংগোলিয় জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি সাদা রংয়ের স্থাপত্য তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । সেখানে রয়েছে সাদা দেয়াল ও সাদা দালান । প্রশস্ত আংগিনায় রয়েছে মংগোলিয় জাতির দুটো তাঁবু । গাড়ি থেকে নেমে আমাদের সংবাদদাতা জানতে পারলেন , এটি হচ্ছে ইচিনহোলো জেলার মংগোলিয় জাতির একটি প্রাথমিক স্কুল । জেলা পর্যায়ের একটি প্রাথমিক স্কুল হিসেবে এ প্রশস্ত , আলোক-উদ্ভাসিত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছিন্ন স্কুল সত্যিই আমাদের সংবাদদাতার আগেকার কল্পনাকে ছাড়িয়ে গেছে ।

    এতক্ষণ আপনারা শুনলেন এ প্রাথমিক স্কুলে রেকর্ড করা রেকর্ডিং । এ স্কুলের একদল প্রাণচঞ্চল ও লাজুক ছেলেমেয়েরা এ সুন্দর গান গেয়েছে । অতিথিপরায়ণ ছেলেমেয়েরা পেইচিং থেকে আসা আমাদের সংবাদদাতাকে তাদের ছবি আঁকা ঘর - সেই দুটো তাঁবুতে টেনে নিয়ে গেলো । তারা একের পর এক দেয়ালে টাংগানো তাদের ছবিতে নিজেদের সাফল্যের কথা বলছিল । একজন ছাত্রী বলেছে ,

    আমার নাম আসমা । আমি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । আমি গাছের পাতা ও উলের সূতা দিয়ে এ ছবি তৈরি করেছি । আপনারা দেখুন , এটি মনোরম বিশাল তৃণভূমি । এটি আমার পরিবারের তিনজন সদস্য ।

    শিক্ষক ও ছাত্রদের সংগে আলাপ করে আমাদের সংবাদদাতা জানতে পারলেন , এসব ছেলেমেয়ে সবই স্থানীয় পশুপালকদের সন্তান । তাদের অধিকাংশই স্কুলে থাকে । গত কয়েক বছরে ইচিনহোলো জেলা সরকার বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার ভিত্তিতে স্থানীয় পশুপালকদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সুবিধাজনক নীতি প্রবর্তন করেছে । জেলা সরকার ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যবই ও খাতাসহ যাবতীয় খরচ মওকুফ করেছে এবং তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও কিছু ভাতা দিয়ে থাকে । ছাত্রছাত্রীরা বলেছে , তাদের আশেপাশের ছেলেমেয়েরা সবাই স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে । স্কুল হচ্ছে তাদের সবচেয়ে প্রিয় স্থান । স্কুলের সুখের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তারা অনর্গল কথা বলতে থাকে । একজন ছাত্র বলেন , আমাদের ক্লাসে ১৫জন ছাত্র আছে । আমাদের ক্লাসে চীনা ভাষা ও মংগোলিয় ভাষা ব্যবহার করা হয় । মংগোলিয় ভাষার ক্লাসে আমরা মংগোলিয় ভাষা বলি । চীনা ভাষার ক্লাসে আমরা চীনা ভাষা বলি । আমাদের পড়ার বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান , সংগীত , মংগোলিয় ভাষা , চীনা ভাষা ও ক্রীড়া । আমাদের এখানকার খাওয়া-দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা বেশ ভালো ।

    আনন্দের মধ্যে আসমা নামে সেই ছাত্রী স্বেচ্ছায় আমাদের সংবাদদাতার জন্যে আলাদা আলাদাভাবে চীনা ভাষা ও মংগোলিয় ভাষায় চীনা কবিতা আবৃত্তি করার প্রস্তাব করল । আসমা গৌরবের সংগে আমাদের সংবাদদাতাকে বলল , শিক্ষকরা খুব ভালোভাবে শিখিয়েছেন এবং আমি নিজেও খুব পরিশ্রম করেছি বলে আমার চীনা ভাষা আমার মাতৃভাষার মত চমত্কার ।

1 2