v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-06 17:19:24    
উন্মুক্ত চীন আপনাকে স্বাগতম(১)

cri

    ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চীনের স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি) আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে পড়াশোনা করতে আসা বিদেশী ছাত্রছাত্রী সম্পর্কে দায়িত্ব বহন করতে শুরু করেছে। চীনে পড়াশোনা সংক্রান্ত নীতি সিএসসি'র মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এটা হলো চীনে লেখাপড়া করতে আসা বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জড়িত প্রথম চীনা সরকারি সংস্থা।

    আমি সম্প্রতি চীনের স্কলারশিপ কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাক্ষাত্কার নিয়েছি। সিএসসি'র উপ-মহাসচিব লি চিয়েন মিন, আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রী বিষয়ক বিভাগের উপ-প্রধান লি ইয়েন কুয়াং এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রী বিষয়ক বিভাগের অফিসার ছিউ ইয়ুং আলাদা আলাদাভাবে সম্প্রতি চীন সরকারের বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের তালিকাভূক্তকরণ সংক্রান্ত নীতি, তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা এবং চীন সরকারের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার তথ্য জানিয়েছেন। আজকের "আমার স্বপ্ন আমার শিক্ষা" অনুষ্ঠানে শুনুন চীনের স্কলারশিপ কাউন্সিল সম্পর্কিত প্রথম অংশ।

    চীনের স্কলারশিপ কাউন্সিলের উপ-মহাসচিব লি চিয়েন মিন প্রথমে সিএসসি'র দায়িত্ব ব্যাখ্যা করেছেন।

    "বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের চীনে পড়াশোনা করার কাজে আমরা প্রধানত সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতি বাস্তবায়িত করি, বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের তালিকাভূক্ত করা এবং চীনা পড়াশোনার সময় তাদের ব্যবস্থাপনা ও পরিসেবা করার দায়িত্ব বহন করি। তাছাড়া, কোনো বিদেশী সরকার ও সংস্থার চীন সরকারের স্কলারশিপের জন্য আবেদন বা নিজের খরচে চীনে পড়াশোনা করতে আসার ব্যাপারেও আমরা সহযোগিতা করি। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দূতাবাসের সঙ্গে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের কাজ নিয়ে সহযোগিতা চালাই।"

 

    এখন চীনে পড়াশোনাকারী বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা কেমন, এই প্রশ্নে লি চিয়েন মিন বলেছেন:

    "২০০৬ সালের শেষ নাগাদ মোট ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চলের ১৬২৬৯৫(এক লাখ বাষট্টি হাজার ৬ শ পঁচানব্বই) ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে চীনে পড়াশোনা করতে এসেছেন। তারা চীনের ৩১টি প্রদেশের ৫১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রে পড়াশোনা করছেন। তাদের মধ্যে ১.২ লাখ ছাত্র এশিয় অঞ্চলের, যা মোট সংখ্যার ৭৪.৩৩ শতাংশ। ইউরোপীয় অঞ্চলের ২০ হাজার এবং আমেরিকার ১৫ হাজার। এই অবস্থা চীনের পররাষ্ট্র নীতি'র সঙ্গেও সম্পর্কিত। চীনের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে বরাবরই "প্রতিবেশীদের সাহায্য করা এবং বন্ধুত্ব করা"।

 

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তার্জাতিক সহযোগিতা ও মত বিনিময় সম্প্রসারণ করায় চীন সরকার অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। তাই বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের তালিকাভূক্তির কাজ সরকারের আরো বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উপ-মহাসচিব লি চিয়েন মিন বলেছেন:

    "২০০৬ সালের চীন-আফ্রিকান সহযোগিতা ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন, চীন-আফ্রিকা কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারী সম্পর্ককে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আফ্রিকান দেশগুলোদের দেয়া চীন সরকারের স্কলারশিপের পরিমান প্রতি বছরই ২০০০টি করে বাড়িয়ে ৪০০০টি করেছে।

    দক্ষিণ এশিয় দেশের মধ্যে পাকিস্তান সরকার নিজস্ব স্কলারশিপ স্থাপন করে তাদের ছাত্রছাত্রীদের চীনে পড়াশোনা করতে উত্সাহ দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয় দেশসমূহ চীনের পুরোনো বন্ধু, তাদের উপর চীন বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে।

    আগে চীনের অন্য দেশকে সাহায্য করার প্রধান পদ্ধতি ছিলো অবকাঠামো নির্মাণ করা। কিন্তু চীন সরকার বুঝতে পেরেছে যে, উন্নয়নশীল দেশের জন্য মানব সম্পদ উন্নত করা আরো গুরুত্বপূর্ণ।"


1 2 3