গর্ডন ব্রাউন ১৯৫১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ব্রিটেনের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিতে আগ্রহী। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি লেবার পার্টির জন্য ভোট সংগ্রহ শুরু করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে লেবার পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে তিনি এডিনবাগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতাকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এডিনবাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালেডোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি লেবার পার্টির স্কটল্যান্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি স্কটল্যান্ডের টেলিভিশন কেন্দ্রের একজন প্রতিবেদন এডিটার ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি এডিনবাগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮৩ সালের জুন মাসে তিনি ব্রিটেনের নিম্ন পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন এবং স্কটল্যান্ডের লেবার পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালের পর তিনি পৃথক পৃথকভাবে লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রী সভারের প্রধান অর্থ সচিব, আর্থ-বাণিজ্যিক এবং শিল্প বিষয়ক মুখপাত্র ও অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালের মে মাসে ব্লেয়ারের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ব্রাউন অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ২০০৫ সালের মে মাসে লেবার পার্টি তৃতীয় বারের মত নির্বাচনে জয়ী হয়। ব্লেয়র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন। ব্রাউন আবারও অর্থ মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।
ব্রাউন ব্লেয়ারের নীতি প্রণয়নে অংশ নেন। যেমন ২০০৩ সালে ব্রিটেন ইরাক যুদ্ধে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত। অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় তিনি প্রচুর সফল্য লাভ করেন। তার হস্তক্ষেপে ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইংল্যান্ড ব্যাংক স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়। এরফলে ব্রিটেনের অর্থনীতি অবলাবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসে।
এরফলে তাঁর লেবার পার্টির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়ের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ২০০৬ সালের ১০ মে ব্লেয়ার ২৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। ১৭ মে ব্রাউনকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করা হয়। ২৪ জুন লেবার পার্টির বিশেষ সম্মেলনে তিনি একমাত্র পদপ্রার্থী হিসেবে লেবার পার্টির চেয়ারম্যানের পদে নিযুক্ত হন। ২৭ জুন তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।
তিনি টেনিস, ফুটবল, বই পড়া ও লিখতে আগ্রহী।
|