v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-03 16:58:17    
চীনা ভাষার  সেতু নামক প্রতিযোগিতা শুরু

cri
    ষষ্ঠ ' চীনা ভাষা সেতু ' নামক বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের চীনা ভাষা সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা ৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে । বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েরশতাধিক ছাত্রছাত্রীরা উত্তর-পূর্ব চীনের ছানছুন শহরে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চমর্যাদা--চীনা ভাষার দূতের উপাধি অর্জনের জন্য চেষ্টা করবেন।

    চার মাসের বাছাইমূলক প্রতিযোগিতার পর যুক্তরাষ্ট্র , ফ্রান্স , রাশিয়া , মিসর , বাংলাদেশ , ভারত ও কেনিয়াসহ ৫২টি দেশের ১০২জন প্রতিযোগী ফাইনালে উঠেছেন । তাদের মধ্যে আছে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের ছাত্র তন্ময় মোঃ আজিজুল্লাহ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রীমতি রূপা মন্ডল ও নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিনহা আশীষ । আমাদের সংবাদদাতা বৃটেনের প্রতিযোগী মার্শাল ক্রেগের সঙ্গে আলাপ করেছেন । ক্রেগ বলেছেন , তিনি চার বছর আগে থেকে চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেন । তিনি বলেছেন , চার বছর আগে আমি বৌদ্ধধর্ম ও চীনের তাও মতবাদ সম্পর্কিত কিছু বই পড়েছি । তখন থেকেই আমার চীন সম্পর্কে আরো বেশি জানার আগ্রহ বেড়েছে । কিছু দিন পর আমি পূর্ব চীনের ছিংতাও শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনে ইংরেজ পড়ানোর সুযোগ পেয়েছি । ছিংতাও অবস্থানকালে আমি লক্ষ্য করেছি , চীনাদের আচার আচরণ খুব বন্ধুত্বপূর্ণ । তারা সোত্সাহে আমাকে চীনা ভাষা শিখিয়েছেন । দেশে ফিরে আসার পর আমি লন্ডন বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেছি ।

    ক্রেগ আরো জানিয়েছেন , বর্তমান প্রতিযোগিতার প্রতিবাদ্য হলো ' চীন ও অলিম্পিক গেমস '। প্রতিযোগিরা এ সম্পর্কে চীনা ভাষায় ভাষণ দেবেন । ক্রেগ তার ভাষণে বলেছেন , আমরা সবাই চীনা ভাষা শিখছি বিনিময় ও পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ানোর জন্য । সমঝোতার ভিত্তিতে সহযোগিতা করে আমরা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি । আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি , বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের বিনিময় ও সহযোগিতা ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের সমাপনীর পরও শেষ হবে না । বরং অলিম্পিক গেমস বিনিময় ও সহযোগিতারএকটি নতুন সূচনা করবে ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন মুক্তদ্বার নীতি কার্যকর করে অর্থনীতির স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন বজায় রেখেছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ ও বিনিময় ক্রমেই বাড়ছে । বিশেষ করে ২০০৮ সালের পেইচিং অলিম্পিক গেমস ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশীদের মধ্যে চীনা ভাষা অধ্যয়নকারীর সংখ্যা বাড়তেই থাকে । তাদের মধ্যে কেউ কেউ চীনের সংস্কৃতি পছন্দ করেন , কেউ কেউ চীনা ভাষাকে নিজের ভবিষ্যত উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা বলে মনে করেন ।

    একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , বর্তমানে বিদেশে চীনা ভাষা অধ্যয়নকারীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে । বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতি বছর চীনে অনুষ্ঠিত ' চীনা ভাষার সেতু ' নামক প্রতিযোগিতা তাদের চীনা ভাষার মান প্রদর্শনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে পরিণত হয়েছে । জানা গেছে , বর্তমান প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিরা চীনা ভাষায় ভাষণ দেয়া ছাড়াও চীনের সংখ্যালঘু জাতির নাচ , হস্তলিপি , ছবি আঁকা , চীনা মুষ্টিযুদ্ধ-- উ সু , কবিতা আবৃতি ও রসাত্মক আলাপন পরিবেশন করবেন ।

    নিয়ম অনুসারে প্রতিযোগিতার তিনজন শীর্ষ প্রতিযোগী ' চীনা ভাষার দূতের' উপাধি পাবেন এবং চীন সরকারের দেয়া ডিগ্রি পড়ার স্কলারশীপ পাবেন । এ তিন জন ছাড়া অন্য ২২জন প্রতিযোগী চীনে সংক্ষিপ্ত কোর্সে অংশ নেয়ার স্কলারশীপ পাবেন ।

    চীনের জাতীয় চীনা ভাষা প্রচার নেতৃগ্রুপের কার্যালয়ের উপপ্রধান চাও কো ছেন বলেছেন , এ বার হল ষষ্ঠ চীনা ভাষা সেতু প্রতিযোগিতা । এতে অংশ নেয়া দেশ ও প্রতিযোগির সংখ্যা গত পাঁচটি প্রতিযোগিতাকে ছাড়িয়েছে । বাছাইমূলক প্রতিযোগিতা থেকে জানা গেছে , প্রতিযোগীদের চীনা ভাষার মান আগের প্রতিযোগিতাকেও ছাড়িয়েছে । প্রতিযোগিতার পর ছাত্রছাত্রীরা চীনের বিখ্যাত ছানপাই পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করবেন এবং পেইচিংয়ের অলিম্পিক গেমসের স্টেডিয়ামগুলো পরিদর্শন করবেন ।( ফোং সিউ ছিয়েন )