v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-08-01 16:35:10    
চীনের গণ মুক্তিফৌজের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালিত

cri

     পয়লা আগষ্ট চীনের গণ মুক্তি ফৌজের ৮০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপলক্ষে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি , রাষ্ট্রীয় পরিষদ ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন পেইচিংয়ের মহাগণভবনে একটি উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে । এ অনুষ্ঠানে গণ মুক্তি ফৌজের বীর ও আদর্শ ব্যক্তিদের প্রশংসা ও পুরষ্কার প্রদানকরা হয়েছে । চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক , প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হু চিন থাও অনুষ্ঠানে চীনা জনগণের মুক্তিব্রতে, সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজ ও সংস্কার অভিযান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব , নিরাপত্তা ও ভূভাগীয় অখন্ডতা সংরক্ষণে চীনা গণ মুক্তি ফৌজের অনন্যসাধারণ ঐতিহাসিক অবদানের গভীর মূল্যায়ন করেছেন ।

    পয়লা আগষ্ট সকাল ন'টার সময় গণ মুক্তি ফৌজের প্রবীণ যোদ্ধারা , নতুন ইউনিফোর্ম পরা মুক্তি ফৌজের স্থল , নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার ও সৈনিকরা এবং রাজধানী পেইচিংয়ের বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধিরা মহাগণভবনে সমবেত হয়ে মিলিতভাবে মুক্তিফৌজের আশিতম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন ।

    সকাল দশটায় উদযাপনী অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় । হু চিন থাও অনুষ্ঠানে বলেছেন , চীনের গণ মুক্তি ফৌজের আশি বছর দেশের সকল জাতির জনগণের সঙ্গে মিলে মনে প্রাণে গণ সেবার আশি বছর , জাতীয় স্বাধীনতা ও মর্যাদা এবং সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নিরলস প্রচেষ্টার আশি বছর এবং বিশ্বশান্তি রক্ষা এবং মানবজাতির অগ্রগতির জন্য অবদান রাখার আশি বছর ।

    আশি বছর ধরে চীনের গণ মুক্তি ফৌজ ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে এখন স্থল, নৌ , বিমান ও অন্যান্য বাহিনীসম্পন্ন একটি একীভূত সৈন্যবাহিনীতে পরিণত হয়েছে এবং চীন গণ প্রজাতন্ত্র রক্ষার এক লৌহ-ইসপাতের মতো শক্তিশালী মহাপ্রাচীরে পরিণত হয়েছে । এ বাহিনী দেশ রক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে । ১৯৯০ সাল থেকে গণ মুক্তি ফৌজ জাতিসংঘের মোট ১৭টি শান্তিরক্ষী কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে । ৭ হাজার ২' শ অফিসার ও সৈনিক শান্তিরক্ষী অভিযানে বিশ্বশান্তি রক্ষা ব্রতে বিরাট অবদান রেখেছেন ।

     নতুন ঐতিহাসিক সময়পর্বে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে । শান্তি ও উন্নয়ন নতুন যুগের প্রধান দুটি কর্তব্য । তবে বিশ্ব এখনও শান্ত নয়। হু চিন থাও বলেছেন , আমাদের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি প্রসারের নতুন প্রবণতা ও চীনের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে দেশরক্ষা ও অর্থনৈতিক গঠনকাজের সমন্বিত উন্নয়নের নীতি কার্যকরী করে ধাপে ধাপে প্রতিরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে , গণ মুক্তি ফৌজের প্রতিরক্ষা ও ফৌজের আধুনিকীকরণের মান উন্নত করতে হবে এবং দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সুসংবদ্ধ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সৈন্যবাহিনী প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।

     গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে চীন প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়িয়েছে । তবে এ বৃদ্ধি সীমিত । অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনের প্রতিরক্ষা খাতের মোট পরিমান ও মাথাপিছু পরিমান এখনও নিম্ন মানে রয়েছে । ২০০৫ সালে চীনের প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ যুক্তরাষ্ট্রের ৬.১৯ শতাংশ এবং মাথাপিছু পরিমান যুক্তরাষ্ট্রের ৩.৭৪ শতাংশ মাত্র ছিল ।

    গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে চীনা গণ মুক্তি ফৌজ মোট তিন বার নিজের সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে । তিন বার মিলে মোট ১৭ লাখ সৈন্য কমানো হয়েছে । বর্তমানে গণ মুক্তি ফৌজের সৈন্য সংখ্যা ২৩ লাখ ।

    অনুষ্ঠানে গণ মুক্তি ফৌজের বীর ও আদর্শ ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে । চীনের প্রথম নভোচারী ইয়াং লি উয়ে বীর ও আদর্শ ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন । ( ফোং সিউ ছিয়েন )