v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-31 20:07:08    
চীনের চলচ্চিত্রের সংগীত(ছবি)

cri

 গত শতাব্দীর ৭০ দশকের শেষ দিক থেকে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হয়। এর ফলে চলচ্চিত্র মহলের ব্যক্তিগণ উত্সাহিত হয়ে সাহসের সঙ্গে উদ্ভাবন শুরু করেন। তখন থেকে চীনের চলচ্চিত্রগুলোর বিষয় ও ধরন রকমারি হয়ে যায়। দর্শকদের পুনরায় সিনেমা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র উপভোগ করার আগ্রহ জেগে উঠেছে।

 (রেকর্ডিং --- মখমল-কোমল ফুল)

ছোট ফুল

 এখন আপনারা "ছোট ফুল" নামে চলচ্চিত্রের একটি গান "মখমল-কোমল ফুল" শুনছেন। এটা ছিল ১৯৭৯ সালে চীনের দর্শকদের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রে যুদ্ধ চলাকালে ভাই ও বোনের মধ্যকার রক্তের সম্পর্কের বর্ণনা করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু থেকে পরিচালনার পদ্ধতি সবই সংস্কার করেছে। ফলে চীনা দর্শকদের মধ্যে নতুন অনুভুতি এনে দিয়েছে বলে তত্কালীন চীনের সমাজকে আন্দোলিত করেছে। এ চলচ্চিত্রের "মখমল-কোমল ফুল" গানটি মোহনীয় সুরের মাধ্যমে গভীর আবেগ প্রকাশ করেছে। আমাদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।

 গানের কথা এমনি, "পৃথিবীতে একটি অতি সুন্দর ফুল আছে। তা হচ্ছে যৌবনকালের প্রাণবন্ত ফুল। রক্ত দিয়ে তাকে রং করা হয়। প্রবল দেহের সাহায্যে তা ফোটে। পৃথিবীতে একটি বীরের মতো ফুল আছে। তা হচ্ছে যৌবনকালের উজ্জ্বল ফুল। এ ফুলের সঙ্গীতের তালে তালে আমার আত্মীয়স্বজন উঁচু পাহাড়ে উঠতে পারেন। শৃঙ্গে দাঁড়িয়ে গোলাপী মেঘকে অভ্যর্থনা করেন।"

লু পাহাড়ের প্রেম

 "লু পাহাড়ের প্রেম" হচ্ছে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর আরেকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। এটা হচ্ছে দশ বছর স্থায়ী সাংস্কৃতিক মহা-বিপ্লবের পর চীনের প্রথম প্রেম বিষয়ক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র চৌ ইয়ুন ও ডি হুয়া যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মূলভূভাগ থেকে লু পাহাড়ে আসা পর্যটক। তাঁরা সুন্দর দৃশ্যসম্পন্ন লু পাহাড়ে মিলিত হয়ে কতগুলো জটিল অবস্থা মোকাবেলার পর অবশেষে প্রেমে পড়েছেন। এ চলচ্চিত্রটি চীনের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান লু পাহাড়ে চিত্রায়িত হয়েছে। ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এ চলচ্চিত্র প্রতিদিন লু পাহাড়ের সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয়। ফলে পৃথিবীতে এমন একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে যে, একটি সিনেমা হলে প্রদর্শন করার সময় নেয়া সবচেয়ে দীর্ঘ একটি চলচ্চিত্র। এ ছবির মধ্যে চারটি গান রয়েছে। সবই জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে।

 (রেকর্ডিং --- মাতৃভূমি)

 এখন আপনারা "মাতৃভূমি" নামে তার একটি গান শুনছেন। গানে মন্থর গতিতে গভীর আবেগের সঙ্গে জন্মস্থানের প্রতি প্রবাসী চীনাদের প্রশংসা ও স্মরণের কথা প্রতিফলিত হয়েছে। এই গানের সুরকার লুই ছি মিং জানিয়েছেন, "মাতৃভূমি" গানটি হচ্ছে "লু পাহাড়ের প্রেম" চলচ্চিত্রের মধ্যকার একটি গুরুত্বপূর্ণ গান। আমরা ছবির চাহিদা অনুযায়ী, স্বদেশের প্রতি বিদেশে থাকা প্রবাসী চীনাদের গভীর ভালোবাসার কথা বর্ণনা করতে চেয়েছি। আমরা বিদেশের কিছু সংগীতের পদ্ধতি ব্যবহার করেছি, এর মধ্যে যেমন ইলেকট্রিক গিটার। ছন্দও ভিন্ন রকমের। চলচ্চিত্রটি দেখে বুঝা যায় যে, আমি সঠিক করেছি এবং ভাল ফলাফল পেয়েছি।"

 গত শতাব্দীর ৭০ দশকের শেষ দিকে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের কারণে চীনের গ্রামাঞ্চলে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। তখন থেকে চীনের গ্রাম জীবন সম্পর্কে কিছু শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। "আমাদের নিউ পাই সুই" নামক কৌতুক ছবি সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের প্রথম দিকে চীনের কৃষকদের শ্রম জীবনের পরিবর্তনের কথা বর্ণনা করেছে।

 (রেকর্ডিং --- দুই পা সুখী জীবনের পথে উঠেছে)

 এখন আপনারা "আমাদের নিউ পাই সুই" নামে ছবির প্রধান সংগীত "দুই পা সুখী জীবনের পথে উঠেছে" শুনছেন। এই গানের সুর হালকা ও প্রাণবন্ত। তা দিয়ে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর গ্রামাঞ্চলের নতুন দৃশ্য ও কৃষকদের মর্ম ও চেহারার বর্ণনা করা হয়েছে। চীনের বিখ্যাত গায়ক লি সুয়াং চিয়াং প্রথমে এই গানটি গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমাদের নিউ পাই সুই হচ্ছে একটি অত্যন্ত ভাল কাহিনীচিত্র। এর মর্মগীতি "দুই পা সুখী জীবনের পথে উঠেছে" শানতুং প্রদেশের লোকসংগীতের সঙ্গে কিছুটা মিল আছে। আমি গানটি গেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। গানের কথা সাবলীল ও সুর সহজেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গানটি শুনলে মন আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে।" এখন আমরা শুনবো গায়ক উ শি মিংয়ের গাওয়া এই গানটি।

 ১৯৮৩ সালে চলচ্চিত্র "পীত ভূমি" চীনের দর্শকদের নতুন অনুভুতি দিয়েছে। সবেমাত্র চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হওয়া চাং ই মোং ও চেন খাই গে পৃথক পৃথকভাবে এই চলচ্চিত্রের আলোকচিত্রশিল্পী ও পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। "পীত মাটি" চীনের ঐতিহ্যিক ছবি তোলার পদ্ধতি বাদ দিয়ে আধুনিক ধারায় গভীরভাবে জাতীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে। বিশেষ করে পীত-মাটির মালভূমিতে বসবাসকারীদের পীত-মাটির ওপর ভালোবাসা ও নতুন জীবনের প্রতি তাদের আগ্রহ ও হাবভাবের চলচ্চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ চলচ্চিত্র সুইজার্ল্যান্ডের লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে পুরস্কার পেয়েছে।

 (রেকর্ডিং --- পীত-মাটি)

 এখন আপনারা এ চলচ্চিত্রের একটি গান "পীত-মাটি" শুনছেন। গানে উত্তর-পশ্চিম চীনের পীত-মাটির মালভূমির বিস্তৃতি ও জনশূন্য দৃশ্য এবং মালভূমিতে বসবাসকারী জনগণের উদারতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। গানের সুরের মধ্যে রয়েছে শেনপেই প্রদেশের লোকসংগীত , উত্তর-পশ্চিম চীনের লোকসংগীত এবং আধুনিক নৃত্যচঞ্চল সংগীতের বৈশিষ্ট্য। গানটি প্রচারের পর ব্যাপক সমাদর পেয়েছে এবং তত্কালীন চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সংগীতের প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়েছে।