মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্জা রাইস ৩০ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদী আরবসহ বিভিন্ন উপসাগরীয় দেশ এবং ইসরাইল ও মিসরকে ব্যাপকভাবে সামরিক সাহায্য করবে, যাতে 'আল কায়েদা' সংস্থা এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদলের মোকাবেলা করা যায়। এ দিন, ইরান, লেবানন ও জার্মানী পৃথক পৃথকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে।
রাইস বলেছেন, আগামী ১০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল ও মিসরকে আলাদা আলাদভাবে ৩০ বিলিয়ন ও ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান সামরিক সাহায্য দেবে। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে সৌদী আরবসহ ৬টি উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে আলোচনা করবে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এ সব উপসাগরীয় দেশের কাছে কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মেদ আলি হোসেইনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই তত্পরতা মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে ব্যহত করবে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ সিনিওরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই তত্পরতায় অধিকতরভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের ছাপ প্রতিফলিত হয়েছে। এটে কেবল মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের 'চরমপন্থি প্রবণতা' সহায়তা করবে। তিনি বলেছেন, সামরিক উপায়ে আরব-ইসরাইল সংঘর্ষ সমাধান এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা যায় না।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র থমাস স্টেগ ৩০ জুলাই বার্লিনে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনার জন্য সৃষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ দিকটি দূর করা উচিত। জার্মানীর কয়েকজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা 'দায়িত্বহীনতার পরিচয়'।
(খোং চিয়া চিয়া)
|