v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-31 18:53:30    
এশিয়া ও প্যাসিফিক নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্মেলন পেইচিংয়ে শুরু

cri
    এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্মেলন ৩১শে জুলাই পেইচিংয়ে শুরু হয়েছে । এ সম্মেলনে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ছেন চি লি বলেছেন , চীনের লক্ষ্য হল ২০১০ সালে যুবক-যুবতী ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে নিরক্ষরতার হার ২ শতাংশের নীচে রাখা এবং ২০১৫ সালে বয়স্কদের মধ্যে নিরক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা অর্ধেক কমানো । এর পাশাপাশি সাক্ষরতার হার বাড়াতে চীন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে সাহায্য দেবে ।

    বর্তমান সম্মেলন দু' দিন চলবে । জাতিসংঘ শিক্ষা,বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা-- ইউনেস্কোর বিশ্ব নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংক্রান্ত আঞ্চলিক সম্মেলনগুলোর অন্যতম হিসেবে এ সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য পূর্ব এশিয়া , দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কাজ তরান্বিত করা । মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দশবারোটি দেশ ও অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ।

    এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ছেন চি লি বলেছেন , চীন আগের মতো ভবিষ্যতেও সাক্ষরতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবে । তিনি বলেছেন , চীনের নিরক্ষরতা দূরীকরণের কাজের প্রধান লক্ষ্য হল নারী ও সংখ্যালঘু জাতিগুলোর মধ্যে সাক্ষরতার হার বাড়ানো । ২০১০ সালে অল্পবয়সী ও মধ্য বয়সীদের মধ্যে নিরক্ষর ব্যক্তির অনুপাত ২ শতাংশে নামানো এবং ২০১৫ সালের আগে বয়স্কদের মধ্যে নিরক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা অর্ধেক কমানো ।

    চীনের মানদন্ড অনুসারে যাদের বয়স ১৫ বছরের উপর , কিন্তু চেনা অক্ষরের সংখ্যা দেড় হাজারের নীচে , তাদেরকে নিরক্ষর বলা হয় । ছেন চি লি বলেছেন , ১৯৪৯ সালে নয়াচীন প্রতিষ্ঠার সময় চীনের মাত্র ২০ শতাংশ স্কুলবয়সী ছেলেমেয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেত । তাই সেই আমলে নিরক্ষরতার হার ছিল ৮০ শতাংশ । এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য চীন সরকার নিরক্ষরতা দূরীকরণের কাজকে চীনের অন্যতম মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করে নিরক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা কমানোর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে ।

    বর্তমানে চীনের বিভিন্ন স্থানে নিরক্ষরতরা দূরীকরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা বিভাগে নিরক্ষর দূরীকরণের সংস্থা আছে। এই সব সংস্থার উদ্যোগে নিরক্ষরতা দূরীকরণ ক্লাস চালু ছাড়াও নিরক্ষরতা দূরীকরণ স্থানীয় উত্পাদন ও জীবনের সঙ্গে সমন্বিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।

    দক্ষিণ পশ্চিম চীনের কুয়াং সি স্বায়তশাসিত অঞ্চলের লুসেননের বিভিন্ন স্বশাসিত জেলাগুলোতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের সঙ্গে স্থানীয় কৃষি ও পর্যটন শিল্পের সমন্বয় করা হয়েছে । যাতে সংখ্যালঘু জাতির অধিবাসীরা লেখাপড়া শেখার পাশা পাশি উত্পাদনের কৌশলও শিখতে পারেন ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাধ্যতামূলক শিক্ষা ক্ষেত্রে চীনের আর্থিক বরাদ্দ অনেক বেড়েছে ।২০০৬ সালের বসন্তকাল থেকে সরকার পশ্চিম চীনের পল্লী অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্যতামূলক পর্যায়ের শিক্ষা ফি মৌকুফ করে দিয়েছে । এ বছর থেকে গোটা চীনের পল্লী অঞ্চলের প্রাথমিক স্কুল ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিনা পয়সায় স্কুলে লেখা পড়ার সুযোগ পেয়েছে ।

    ইউনেস্কোর মহাসচিব কোইছিরো মাটসুরা চীনের সাম্প্রতিক বছরগুলোর নিরক্ষরতা দূরীকরণ কাজের সুগভীর মূল্যায়ন করেছেন । তিনি বলেছেন , গত ১৫ বছর নিরক্ষরতা দূরীকরণে চীনে বিরাট অগ্রগতি হয়েছে । বিশেষ করে অল্পবয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতা বাড়ানো ক্ষেত্রে চীন অন্য দেশের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে ।

    রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ছেন চি লি বলেছেন চীন অব্যাহতভাবে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেবে । তিনি বলেছেন , চীন কনফুসিয়াস শিক্ষা পুরস্কার বিতরণের কাজকে সমর্থন করবে এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর নিরক্ষরতা দূরীকরণ কাজকে সহায়তা দেবে । ২০০৮ সাল থেকে চীন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য দুটি নারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স খোলার ব্যবস্থা নেবে ।( ফোং সিউ ছিয়েন)