v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-30 14:22:13    
জার্মানীতে চীনা ভাষা শিক্ষার হিড়িক পড়েছে

cri

    ২০০৭ সালের ৭ জুলাই জার্মানীর চীনা ভাষা অনুরাগীরা খুব আনন্দ বোধ করেন। এদিন জার্মানীর নুরেনবার্গ এনলার্জেনের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে চীন দিবস উদযাপিত হয়েছে। চীনের নৃত্য ,ঐতিহ্যবাহী চিকিত্সা ,ভেষজ ও ওষুধ এবং চীনের হস্তশিল্পজাত দ্রব্য অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রদর্শন করা হয়। এবারের কর্মসূচীর প্রসঙ্গ হলো "আমি ও চীন"।

    আগে আমি বাইরের অবস্থা বুঝতে পারতাম না। এবং কিভাবে কাজ করবো আমি তাও জানতাম না।

    চীনের স্কুলের শৃংখলা খুব কড়াকড়ি।

 

    এসব খাঁটি চীনা ভাষা জার্মানীর শিক্ষার্থীরা বলেছেন। এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে আয়োজিত চীনা ভাষার ভাষণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীগণ ভালোভাবেই তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। ৭ জুলাই জার্মানীতে অনুষ্ঠিত তিন মাসব্যাপী " আমি ও চীন" চীনা ভাষার প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ কয়েক শো প্রবন্ধের মধ্য থেকে আটটি প্রবন্ধকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বাছাই করেছেন। যদিও প্রতিটি প্রবন্ধই এক হাজার শব্দের মধ্যে ছিল। তবে প্রতিটি প্রবন্ধেই চীনের বসন্ত উত্সব,লেখাপড়া, শিক্ষাদান ও ডাম্পলিং তৈরী করাসহ অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা রয়েছে। এবারের কর্মসূচীর উদ্দেশ্য বলার সময় এই ইনস্টিটিউটের চীন পক্ষের প্রিন্সিপ্যাল চাং স্যু চেং বলেছেন,

    এবারের "চীন দিবস" নামক কর্মসূচীর লক্ষ হলো জার্মানীর বন্ধুদের চীনের সংস্কৃতিকে আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহার্য্য করা। যাতে চীনের সংস্কৃতি প্রদর্শন এবং দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করা যায়।

    চীনা ভাষা শিক্ষার হিড়িক জার্মানীতে ধাপে ধাপে বাড়ছে। বর্তমানে জার্মানীর ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা কোর্স চালু হয়েছে। চীনা ভাষা শিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এছাড়া জার্মানীর কয়েক শো অপেশাদার বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭০টিরও বেশি মাধ্যমিক স্কুলেও চীনা ভাষা কোর্স চালু হয়েছে। এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের জার্মানী পক্ষের প্রিন্সিপ্যাল মাইকেল স্ছিমেল্পফেনিং নিজের প্রস্তাব ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন,

    সবচেয়ে প্রত্যক্ষ কারণ হচ্ছে জার্মানী ও চীনের অর্থনীতি ধাপে ধাপে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে এবং জার্মান ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ আরো বাড়ছে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দু'দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রও অভিন্নভাবে উন্নত হচ্ছে। বর্তমানে আরো বেশি জার্মানী চীনে চাকরি পেয়েছেন এবং পর্যটন করেছেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে জার্মানরা ইউরোপীয় ভাষার বাইরের ভাষাগুলোর উপর সবসময় শ্রদ্ধাশীল রয়েছেন। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে তারা উপলব্ধি করেছেন যে, চীনা ভাষা কঠিন নয়। নিঃসন্দেহ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ভাষা ও সংস্কৃতির ভৌগোলিক সীমা ভংগ করার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।

    কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট হচ্ছে চীনা ভাষা জনপ্রিয় করা এবং চীনের সংস্কৃতি প্রচারের জন্য গড়ে তোলা একটি গণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠান । পেইচিং বিদেশী ভাষা বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানীর এরলাংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০০৬ সালের মে মাসে জার্মানীর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নুরেনবার্গ এরলাংজেনে প্রতিষ্ঠিত হয়।

    শুধু এক বছর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নুরেনবার্গ এরলাংজেনে দু'শোরও বেশি জার্মান ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করেছে। ইতোমধ্যে উচ্চ মানের ছাত্ররা চীনা ভাষা ভালোভাবে বলতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেনে বের্নার্ড এবারের প্রতিযোগিতায় শিরোপা অর্জন করেছে। চীনা ভাষা শেখার কারণ বলার সময় জার্মানীর এই যুবক বলেছেন,

    আমি মনে করি, চীনা ভাষা শেখা খুব মজার। আগে আমি মনে করতাম, চীনা ভাষা খুবই কঠিন। কিন্তু এখন কোন অসুবিধা নেই। আগে আমি শুধু একটি ভাষাই শিখতে চাইতাম। এর পাশাপাশি এখন আমি চীনের অর্থনীতিও জানতে খুবই আগ্রহী। সুতরাং আমি চীনা ভাষা শেখা বাছাই করেছি।

    বিশ্বে চীনের প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি আরো বেশি জার্মানীকে আকর্ষণ করছে। বিশেষ করে যুবকযুবতী। তারা মনে করে, ভবিষ্যতে চীনা ভাষা চাকরি পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নয় বছর বয়সী টিলমান স্টার্গ হচ্ছে এবারের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে কমবয়সী অংশগ্রহণকারী। তবে সে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন কমিটির বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে। তার চীনা ভাষা খুব ভালো।

    আমার নাম টিলমান স্টার্গ । আমি নয় বছর বয়সী। আমি চীনা ভাষা শিখা খুব পছন্দ করি।