v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-26 15:57:56    
গঙ্গা নদী খরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন-২

cri
   

    গঙ্গা নদীর উত্স্যে, হিমালয় পাহাড়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ গরমকালের শুকনো মৌসুমে গঙ্গা নদীতে ৭০ শতাংশ পানি সরবরাহ করে থাকে। তবে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এই হিমবাহ প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ মিটার করে গলে যাচ্ছে। তা ২০ বছর আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশী। বিশ্ব প্রকৃতি তহবিল অনুযায়ী গঙ্গা নদী হচ্ছে বিশ্বের ১০টি বিলুপ্তির সম্মুখীন নদীর মধ্যে একটি। জাতিসংঘের আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি বিশ্বের আবহাওয়া অব্যাহতভাবে উষ্ণ হতে থাকে তবে ২০৩০ সাল নাগাদ গঙ্গা নদীর উত্স্যের হিমবাহ হয়তো আর থাকবে না। সে সময়, সম্ভবত ধর্মীয় আচরন হিসেবে গঙ্গা স্নান করাও সম্ভব হবেনা। তাহলে এই বারানসি শহরকে কেন 'শাশ্বত' বলে গণ্য করা হবে?

    হিমবাহ অদৃশ্য হলে, তার সরাসরি প্রভাব হচ্ছে পানি সরবরাহে অভাব দেখা দেয়া এবং তাহলে এশিয়ার মিঠা পানির ক্ষেত্রে এক বিরাট হুমকি স্বরুপ। ভারতে, গঙ্গা নদীর পানি ৫০ কোটি লোকের পানীয় জল ও কৃষি কাজের জন্য ব্যাহার করা হয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান অনুযায়ী, গঙ্গা নদী চূড়ান্তভাবে ঋতুবৈচিত্র নদীতে পরিনত হবে এবং প্রধানত মৌসুমি বায়ুর মাধ্যমে থ্রুফ্লো বাস্তবায়িত হবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের জন্য হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাওয়ার আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে মানুষের ধর্মবিশ্বাস।

    'সম্ভাব্য আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বারানসি প্রথম ধর্মবিশ্বাসের সংকট স্থানে পরিনত হবে। এই গুরুতর অবস্থার বিষয়টিকে আমাদের নিজেদেরকেই জিজ্ঞেস করা উচিত। যদি আমরা নিজেদের প্রিয় গঙ্গা নদীকে বাঁচিয়ে তুলতে না পারি, তাহলে কে আমাদের সভ্যতাকে সংরক্ষণ করবে?' বারানসির তহবিলের পরিচালক বলেছেন। তিনি হচ্ছেন এক'জন ইন্জিনিয়ার। তার নেতৃত্বাধীন তহবিলের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের কাছে গঙ্গা নদী সংরক্ষণ করার আহ্বান জানানো।

    'গঙ্গা নদী এর আগে কখনও এত বড় চ্যালেন্জের সম্মুখীন হয়নি। যদি মানবজাতি প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারন বন্ধ না করে, আমাদের বিশ্বাস, এমনকি আমাদের জীবন সংরক্ষণ করা যাবে কিনা, তা একটা সমস্যা।' একজন উকিল বলেছেন। তিনি এবং কিছু কিছু পরিবেশ সংরক্ষণ-নীতির সমর্থকরা আশা করেন, ভারত সরকার কঠোরভাবে গ্রীনহাউসের বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরন নিয়ন্ত্রণ করবে।

    'সবুজ শান্তি' সংস্থার আবহাওয়া ও জ্বালানী বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, সরকারের বোঝা উচিত, আবহাওয়ার পরিবর্তনে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি, অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করে। তাছাড়া, আমাদের সবচেয়ে পবিত্র নদী—গঙ্গা নদীরও প্রভাব রয়েছে। যখন গঙ্গা নদী হুমকির সম্মুখীন হয়, তখন সরকার এই সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।'

    ২০০৭ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে, ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রীনহাউসের বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরন নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। তবে উন্নত দেশগুলোর সমান দায়িত্ব গ্রহণ করলে চলবে না।