v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-25 18:39:34    
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান দ্বিতীয় দফার রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের বৈঠক করেছে

cri
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ২৪ জুলাই ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরাকের নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয় দফার রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের বৈঠক করেছে। এবার বৈঠক হচ্ছে দু'পক্ষের ২৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের বৈঠকের পর আরেকটি যোগাযোগ।

    বাগদাদের গ্রীন জোন অবস্থিত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন। ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রায়ান ক্রোকার , ইরাকে ইরানের রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি কোমি এবং ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার জেবারি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ক্রোকার বলেছেন, দু'পক্ষ ইরাকের নিরাপত্তা বিষয়ে কঠোর আলোচনা করেছে। তিনি বৈঠকে ইরান কর্তৃক ইরাকের চরমপন্থীদেরকে সরাসরি প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের জন্য নিন্দা করেছেন। তিনি মনে করেন, যদিও ইরান ইরাকের মালিকি সরকারকে সমর্থন দেয়ার কথা প্রকাশ করেছে। তবে ইরানী সমর্থন পাওয়ার সশস্ত্র ব্যক্তিদের কর্মসূচী আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সংলাপে বাস্তব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে ক্রোকার অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, এদিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইরাক একটি নিরাপত্তা কার্যালয় গড়ে তুলতে রাজি হয়েছে। যাতে ইরাকের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং সংলাপ অব্যাহতভাবে চালানো যায়।

    ১৯৮০ সাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ হওয়ার পর থেকেই দু'দেশের মধ্যে গুরুতর বৈরীতা চলছে। বর্তমানে দু'পক্ষের ইরাকের সমস্যার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ইরাকের ব্যাপার নাক না গলানোর অনুরোধ জানিয়েছে। ইরান ইরাক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। চলতি বছরের ২৮ মে ক্রোকার কোমির সঙ্গে বাগদাদে ইরাকের নিরাপত্তা বিষয়ে প্রথম বৈঠক করেছেন। যদিও দু'পক্ষ ইরাক সরকারকে সমর্থনের কথা প্রকাশ করেছে। তবে দু'পক্ষের মতভেদের কোন সমাধান বৈঠকে হয় নি।

    ২৪ জুলাই ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলি হোসেইনি জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে ইরাকের নিরাপত্তা সংকট সমাধানের শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে ইরাকী জনগণের স্বাধীনতাকে সম্মান করা এবং দেশের ক্ষমতা ইরাকী ও সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেয়া।

    জনমত মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ইরাকের ব্যাপারে গুরুতর মতভেদ রয়েছে। বুশ সরকারের ইরানের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ করার কারণ হচ্ছে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে গৃহীত সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বুশ সরকার কংগ্রেসের কাছে ইরাকের পরিস্থিতির পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট উত্থাপন করবে। বুশ সরকার সেপ্টেম্বর মাসের আগে ইরাকের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি প্রশমিত হবে বলে আশা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, এই সুযোগের মাধ্যমে ইরান তার ইরাক সমস্যা সম্পর্কিত অভিমতের পরিবর্তন করবে। যাতে ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ের সশস্ত্র ব্যক্তিদেরকে সমর্থন প্রদান বন্ধ করা এবং ইরাকের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা যায়।

    বিশ্লেষকগণ মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান দুই এক বারের সংলাপের মাধ্যমে মতভেদ সমাধান করতে চায়। এটি বাস্তব ভিত্তিক নয়। তবে এই দু'বারের বৈঠক দীর্ঘদিন ধরে দু'পক্ষের বন্ধ থাকা যোগাযোগ পুনরায় শুরু হয়েছে। দু'পক্ষের যোগাযোগ উন্নত হচ্ছে। নিঃসন্দেহ এটি ইরাক এমনকি এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রশমিত করার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।