 চীনের ইতিহাস সুদীর্ঘ , সংস্কৃতি সমৃদ্ধ । চীনের ৫৬টি জাতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যময় সংস্স্কৃতি রয়েছে । মূল্যবান ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি রক্ষার জন্য চীন সংস্কৃতি সংরক্ষণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চুক্তির সদস্য হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে ।
১৯৮৫ সালে চীন ' বিশ্ব সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণ চুক্তির' সদস্যদেশ হয় । ১৯৮৭ সালে মহাপ্রাচীর ও পেইচিংয়ের রাজপ্রাসাদ বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকাভুক্ত হয় । গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শেষ দি ক থেকে চীন প্রায় প্রতি বছরই বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক উত্তরাধিকারের জন্য আবেদন করে । গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত চীনের মোট ৩৩টি উত্তরাধিকার বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকাভুক্ত হয়েছে । সংখ্যার দিক থেকে চীন এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে । এগুলোর মধ্যে আছে জীবিত ফসিল বলে পরিচিত বড় প্যান্ডার আবাসিক এলাকা , কয়েক হাজার বছর আগের রাজপ্রাসাদ ও সমাধিস্থল ইত্যাদি ।
জাতি সংঘ শিক্ষা , বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কোর বিশ্ব উত্তরাধিকার কমিটি বিশ্ব উত্তরাধিকার সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এই কমিটি বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক উত্তরাধিকাগুলো যাচাই করে এবং বিশ্ব উত্তরাধিকারের তালিকা তৈরী করেন । বিশ্ব উত্ত রাধিকার কেন্দ্র এ কমিটির কাছে প্রস্তাব পেশ করে এবং কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর করে । এ কেন্দ্রের প্রধান ফ্রান্সিস্কো বান্দারিন একাধিকবার চীনে সফর করেছেন । সি আর আইয়ের সংবাদদাতার সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন , চীনের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণের কাজ ফলপ্রসু হয়েছে । চীনে অনেক প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার আছে । চীন হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বড় বিশ্ব উত্তরাধিকারের দেশ । গত বিশ বছরে চীন সরকার সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার জন্য অনেক কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে । আমরা চীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছি ।
1 2
|