আগামী ১ আগষ্ট হবে চীনা গণ মুক্তি ফৌজের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৯ থেকে ১৭ আগষ্ট চীনে এবং রাশিয়ায় " শান্তিপূর্ণ কর্তব্য---২০০৭" নামে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থারসদস্য দেশগুলোর সামরিকবাহিনী যৌথভাবে সন্ত্রাস দমনে সামরিক মহড়া চালাবে । চীনের সমারিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে , চীনের সৈন্যবাহিনী ও বিদেশী বাহিনীর সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা ব্যাপক ও গভীরভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে ।
বিগত কয়েক বছরে চীনের সৈন্যবাহিনী সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন সহযোগিতায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা পেয়েছে এবং আশেপাশে অঞ্চলে চমত্কার সাফল্য অর্জন করেছে । গত সপ্তাহে চীন ও থাইল্যান্ড দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌ শহরে সন্ত্রাসবাদী হুমকী মোকাবেলার লক্ষে স্থলবাহিনীর বিশেষ যুদ্ধের যৌথ প্রশিক্ষণ নিয়েছে । অনুষ্ঠিতব্য " শান্তিপূর্ণ কর্তব্য--২০০৭" নামে যৌথ সন্ত্রাস দমনের সামরিক মহড়া যেমন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার একটি বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া তেমনি চীনাবাহিনীর প্রথমবারেরবৃহত্তম, বহুবাহিনী এবং দূর ব্যবধানে চালানো আন্তর্দেশীয় সামরিক মহড়া । এ সম্পর্কে চীনা গণ মুক্তি ফৌজের সামরিক বিজ্ঞান একাডেমীর গবেষক চেন সৌহুয়া বলেছেন , অতীতে দ্বিপাক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সমঝোতা ও যোগাযোগ এবং মত বিনিময় ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চীনাবাহিনী ও বিদেশীবাহিনী সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা চালিয়েছে । পরবর্তীকালে তথ্য বিনিময়, কমান্ড , কার্যক্রম , কলাকৌশল ও তত্ত্ব সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুপক্ষ বিনিময়ের অবকাশ সম্প্রসারিত করবে এবং বিনিময়ের বিষয় বাড়িয়ে দেবে এবং আরও বেশি দেশের সঙ্গে বিনিময় করবে ।
সামরিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে , আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন সহযোগিতায় চীন সরকার ও সৈন্যবাহিনীর অংশ নেয়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংস্থা দমনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে । বিশেষ করে ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীনের সৈন্যবাহিনী পরপর কিরগিজিস্তান, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, রাশিয়া , পাকিস্তান , তাজিকিস্তান সহ বহু দেশের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যৌথ সন্ত্রাস দমন সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ।
বিশেষজ্ঞ চেন সৌহুয়া বলেছেন , সহযোগিতা সম্প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি সহযোগিতার দুপক্ষ বা বহু পক্ষ সহযোগিতার কিছু বাস্তব সমস্যা নিয়ে গবেষণা করবে । সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা বাস্তবায়ন ও পরিচালনার দিকে চালানো হবে । সন্ত্রাস দমন সহযোগিতার বাস্তবতা ও কার্যকরতা অধিক থেকে অধিকতর জোরদার হচ্ছে ।
তিনি মনে করেন যে , আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা , বিশেষ করে আশেপাশে দেশগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তিনি বলেছেন , আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের সু ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলেই কেবল সময়মত সন্ত্রাসসম্পর্কে আগাম জানা যাবে । আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়বিশেষ করে আশেপাশে দেশগুলোর সামরিকবাহিনীর সঙ্গে যৌথ তত্পরতা চালালেই কেবল মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাস দমন জাল গঠিত হতে পারে । সন্ত্রাসী ব্যক্তিরা যেখানেই থাকুক না কেন সেখানেই কঠোর হামলার সম্মুখীন হবে ।
বিশেষজ্ঞ চেন মনে করেন ,বিদেশীবাহিনীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা জোরদার করা থেকে চীনাবাহিনীর বিশ্ব সন্ত্রাস দমন অভিজ্ঞতা জানতে পারবে এবং চীনা বাহিনীর সন্ত্রাস দমন ক্ষমতা ত্বরান্বিত করতে পারবে ।
জানা গেছে , এ বছরের অক্টোবর মাসে চীন ভারতের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যৌথসন্ত্রাস দমন সামরিক মহড়া চালাবে ।
|