কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত ছয় জাতির ষষ্ঠ বৈঠকের প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দের সম্মেলন ২০ জুলাই পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে । সম্মেলনশেষে প্রকাশিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , বিভিন্ন পক্ষ ছয় জাতি বৈঠকের পরবর্তী পর্যায়ের কাজকর্ম সম্পর্কে ৪টি কাঠামোগত অভিন্ন উপলব্ধিতে উপনীত হয়েছে ।
এ ৪টি অভিন্ন উপলব্ধি হচ্ছে : বিভিন্ন পক্ষ আবার ঘোষণা করছে যে , তারা নিষ্ঠার সংগে ১৯ সেপ্টেম্বরের অভিন্ন বিবৃতি ও ১৩ ফেব্রুয়ারীর অভিন্ন দলিলপত্রে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে । কোরীয় পক্ষ আবার ঘোষনা করছে যে , সে নিষ্ঠার সংগে সার্বিকভাবে পরমাণু পরিকল্পনা দাখিল ও যাবতীয় পারমাণবিক স্থাপনা অকেজো করে তোলার ব্যাপারে তার প্রতিশ্রুতি পালন করবে । সংশ্লিষ্ট পক্ষ উত্তর কোরিয়াকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টন ভারী তেলের সমতুল্য অর্থনৈতিক , মানবিক ও জ্বালানী সাহায্য দেবে । বিভিন্ন পক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে , কার্যক্রমের বিনিময়ে কার্যক্রমের নীতি অনুসারে তারা উপরোক্ত দলিলপত্রে তাদের করণীয় দায়িত্ব পালন করবে ।
কাঠামোগত অভিন্ন উপলব্ধি বাস্তবয়নের জন্যে বিভিন্ন পক্ষ কর্মগ্রুপের সভাসহ তিনটি পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে । এ তিনটি পদক্ষেপ হচ্ছে : আগামী আগস্টের আগে আলাদা আলাদাভাবে ৫টি কর্মগ্রুপের সভার আয়োজন করা হবে । কাঠামোগত অভিন্ন উপলব্ধি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে পেইচিংয়ে ছয় জাতির ষষ্ঠ বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে । এ সম্মেলনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পেইচিংয়ে ছয় জাতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আয়োজন করা হবে ।
|