v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-19 20:09:55    
ইয়ুননান পাথরবন দর্শনীয় স্থান

cri
    পাথরবন দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইয়ুননান প্রদেশের খুনমিং শহরের ই জাতি স্বায়ত্তশাসিত জেলায় অবস্থিত। বনটি খুনমিং শহর থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে। কয়েক'শ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে, বড় ও ছোট ছোট পাথরবন পর্বতগাত্র, উপত্যকা ও জলাভূমিতে ছড়িয়ে রয়েছে। দর্শনীয় স্থানের পথপ্রদর্শক বি ইয়ুন হুয়া বলেছেন,

    পাথরবনের দর্শনীয় স্থানের আয়তন হচ্ছে ১২ বর্গকিলোমিটার। এটা হচ্ছে চীনের এমনকি বিশ্বের বৃহত্তম প্রকৃতিগত ভূমি। সাধারণত আমরা হেঁটে হেঁটে বড় ও ছোট ছোট পাথরবন দেখতে পাই। এখানে পাথর খুব বেশী এবং বড়ো রাস্তা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনেক ছোট ছোট রাস্তা রয়েছে। পাথরবনে ৪শ'রও বেশী ছোট রাস্তা এবং ২শ'রও বেশী দর্শনীয় স্থান রয়েছে। সুতরাং একে 'সমুদ্রের তলদেশের গোলকধাঁধা' বলে গণ্য করা হয়।

    পাথরবন হচ্ছে অসংখ্যা পাথর নিয়ে গঠিত 'বন'। বড় পাথরবনটি পুরো দর্শনীয় স্থানের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত। এটা হচ্ছে সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বমূলক, দীর্ঘ ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। এখানকার পাথরবনকে হাল্কা ও ধূসর দেখায় এবং এটা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বৈশিষ্টমূলক পাথরবনের একটি। তাছাড়া, এখানে অনেক বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানও রয়েছে, যেমনঃ পদ্মফুল চূড়া ও অসি পুকুর ইত্যাদি। 'চূড়া দেখা শিবির' হচ্ছে 'অপরিমেয় বন' দর্শনের সবচেয়ে ভালো জায়গা। সাংহাই থেকে আসা পর্যটক নি হোং বলেছেন,  

    'খুব সুন্দর। চূড়া থেকে নিচে হাজার হাজার পাথর দেখা যায়, আমার মনে হয়, পৃথিবী কতো বিস্ময়কর। প্রকৃতি আমাদের এতো সুন্দর দৃশ্য দিয়েছে।

    পাথরবন দর্শনীয় স্থানের উত্তর দিকে রয়েছে 'নাই কু' পাথরবন। 'নাই কু' হচ্ছে ই জাতির সানি ভাষা। এর অর্থ হচ্ছে 'প্রাচীন' ও 'কালো'। 'নাই কু' পাথরবনের ভূনিম্নস্থলে বিস্ময়কর গুহা এলাকা রয়েছে। ফলে ভুমির উপরে পাথরবন এবং নিচে পানি ক্ষয়কারী গুহা ত্রিমাত্রিক দৃশ্য গড়ে তুলেছে। অষ্ট্রেলিয়ার পর্যটক মাদাম ব্রিয়ানা লপজ্ 'নাই কু' পাথরবন ভ্রমণ করার পর বলেছেন,

    এটা খুব বিস্ময়কর। সব পাথরের আকার খুবই সুন্দর। 

    আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাথরবনের চূড়া ও কেন্দ্রস্তম্ভের রঙ পরিবর্তিত হয়। বৃষ্টি পড়ার সময়, ধূসর পাথরবন হঠাত ঘোর কালোতে পরিণত হয়। বৃষ্টির পর, যখন সুর্য উঠে, দশ-বারো মিনিটের মধ্যেই পাথর চূড়াগুলো জাদুর মতো কালো থেকে সোনালী রঙ পরিবর্তিত হয়। সবশেষে আবার ধূসর রঙ থেকে তার নিজের রঙে পরিবর্তিত হবে। বিশ্বের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক লিয়াং ইয়োং নিং বলেছেন,

    বিশ্বের সব ধরনের পাথরবন এখানে দেখা যায়। এখানকার পারথবনের আকার প্রধানত অসির মত। অন্য এলাকায় পাথরবনের আকার গির্জার মতো। তাছাড়া, ব্যাঙের ছাতা আকারের পাথরবনও দেখা যায়। একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞর ভাষ্য অনুযায়ী, পাথরবনে এসে, মনে হই কিউবা এসেছি, কয়েক মিনিট মনে হয়, পাথরে জড়িয়ে থাকার মতো। সারা বিশ্বের সব পাথরবন এখানে এসে পরিদর্শন করার মতই। এটা হচ্ছে পাথরবনের যাদুঘর এবং এটা সত্যিকার অর্থেই বিরল।