v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-19 17:00:39    
আসিয়ানকে নিজের গঠনকাজ জোরদার করতে হলে চীনের সংগে সহযোগিতা করা প্রয়োজন

cri
     এ বছর হচ্ছে আসিয়ানের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতার দশম বার্ষিকী । এ উপলক্ষে সিংগাপুরে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সংবাদদাতা আসিয়ানের সাবেক মহাসচিব রোডোল্ফো সেভেরিনোর একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন । সাক্ষাত্কারে তিনি গত ৪০ বছরে আসিয়ানের উন্নয়ন এবং চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন ।

    আসিয়ান প্রতিষ্ঠার পর ৪০ বছরের মধ্যে যৌথভাবে সবল হওয়ার লক্ষ্যে সুউজ্জ্বল সাফল্য পাওয়া গেছে । আসিয়ান ইতোমধ্যে এশিয়া তথা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে । এ প্রসংগে তিনি বলেছেন ,

     আমার মনে হয় , গত ৪০ বছরে আসিয়ান এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছে । এর মধ্যে যেমন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া , তেমনি পূর্ব এশিয়াও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে । আসিয়ান পরামর্শ ও সংলাপের কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে । এ কাঠামোর কল্যাণে আসিয়ানভূক্ত দেশগুলো বলপ্রয়োগ নয় , শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের বিরোধ নিরসন করতে পেরেছে । বিশেষ করে আসিয়ানভূক্ত দেশগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । এভাবে এ দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও জাতি সংঘ সনদ মেনে চলার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে , শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের বিরোধ নিরসন করেছে এবং পরস্পরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করে চলেছে । আসিয়ান এ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারও চালিয়েছে , যাতে অন্যান্য দেশও এসব নীতি মেনে চলতে পারে । আসিয়ান বলপ্রয়োগ করে সরকারকে উত্খাত করার বিরোধিতা করা এবং ইন্দোচীন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর ব্যাপারেও ভূমিকা পালন করেছে । তাছাড়া আসিয়ান এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক একীকরণ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ভিত্তি স্থাপন করেছে । এ অঞ্চলের অভিন্ন সমস্যা মোকাবিলার জন্যেও আসিয়ান পরামর্শ ও সহযোগিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে ।

   ৪০ বছর পার হওয়ার পর আসিয়ানের বিভিন্ন দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে যে , নিজের গঠনকাজ জোরদার করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে । আসিয়ান পরিকল্পনা করছে যে , ২০১৫ সালের আগে আসিয়ান অর্থনৈতিক কমিউনিটি গঠন করা হবে । তাছাড়া আগামী নভেম্বর মাসে আসিয়ান সংবিধান স্বাক্ষরিত হবে , যাতে আসিয়ানের একীকরণ দ্রুততর হতে পারে । এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে সেভেরিনো বলেছেন ,

    অর্থনৈতিক একীকরণ বাস্তবায়নের অর্থ হচ্ছে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চালানো । একটি আঞ্চলিক বাজার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই কেবল পুঁজি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে ।

চীন সরকার সবসময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সংগে সুসম্পর্ক বজায় রাখা , আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং চীন ও আসিয়ানের অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পক্ষপাতী । তাছাড়া চীন বরাবরই আঞ্চলিক বিষয়ে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় আসিয়ানের নিয়ামক ভূমিকাকে সমর্থন দিয়ে আসছে । এ প্রসংগে সেভেরিনো বলেছেন ,

    চীন যে সবসময় বহু বিষয়ে আসিয়ানের নিয়ামক ভূমিকাকে স্বীকার করে আসছে , আমরা তার প্রশংসা করি । তাছাড়া চীন আসিয়ানকে ভালোভাবে সহায়তা করেছে । চীন ও আসিয়ানের মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে । চীন যেমন আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর সংগে , তেমনি আসিয়ান সংস্থার সংগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুষ্ঠু সহযোগিতা চালিয়েছে । চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের ক্ষেত্রেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে । চীন-আসিয়ান সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্বন্ধে সেভেরিনো বলেছেন ,

    প্রথমত পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা প্রয়োজন । পরস্পরকে হুমকী বলে মনে করলে চলবে না । দ্বিতীয়ত সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে যে , চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সুষম বাণিজ্যিক বিনিময় হচ্ছে । আমাদের দরকার চীনের কাছ থেকে ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণীর সহায়তা নেয়া । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমাদের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে ।