আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি অনেক লোক চাল,আটা বা ময়দা খেতে পছন্দ করে কিন্তু যব , ভুট্টাসহ শরীরের স্বাস্থ্য সহায়ক খাবার কম খায়,ফলে সহজভাবেই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের 'ধনী' রোগে আক্রান্ত হয় । আসলে এ পদ্ধতি দীর্ঘকাল চলতে থাকলে তা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অসহায়ক । তবে সবসময় ভূট্টাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাবার খেলে শরীরের জন্য তা অনেক সহায়ক । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্য টাটকা ভূট্টা খাওয়া শরীরেরও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলবো । আশা করি, অনুষ্ঠান শোনার পর আপনাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি আরো সুষ্ঠু ও সুস্থ্য হবে ।
টাটকা ভূট্টা খাওয়ার তিনটি ইতিবাচক দিক:
১. চামড়ার সেল নষ্ট হয়ে যাওয়া বন্ধ করা এবং রক্তের কোলস্টেরিল কমানো
টাটকা ভূট্টার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে ।যা সেলের সামর্থ্যকে জোরদার করে, সেল নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ করে, রক্তের কোলস্টেরিলকমানো ও চামড়ার রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম এবং হৃত্পিন্ড রক্ত সঞ্চালন ও মস্তিস্কের সামর্থ্যকে সসুন্নত রাখে ।
টাটকা ভূট্টার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ । বৃদ্ধলোকদের চোখ, কলা ও স্নায়ুবিক রোগের চিকিত্সা সহায়ক হতে তা সক্ষম । টাটকা ভূট্টার মধ্যে কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে । যা শুষ্ক ভূট্টার মধ্যে থাকে না । বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে জানা যায় যে, সবসময় টাটকা ভূট্টা খেলে ক্যানসার প্রতিরোধক ঔষধ শরীরে সৃষ্টি করে ক্ষতিকর এবং অবস্থানকে কমাতে পারে ।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য ও পিত্তের পাথর প্রতিরোধ করা
টাটকা ভূট্টার মধ্যে অনেক কোষপুঞ্জ রয়েছে , তা চাল ও ময়দার চেয়ে ৬ বা ৮ গুণেরও বেশি পুষ্টিকর । উদ্ভিদের কোষপুঞ্জ শরীরের পিত্তের সামর্থ্যের স্বাভাবিকায়ন সমন্বয় করতে সক্ষম এবং শরীরের কোলস্টেরিলের কমাতে সক্ষম । কোষপুঞ্জ এবং পেটের এক ধরনের বিশেষ উপাদানের সঙ্গে সংমিশ্রণ করে এক ধরনের নতুন উপাদান সৃষ্টি করে । তা কোলস্টেরিল থেকে শরীরের রাসায়নিক রূপান্তর দ্রুত করে এবং রক্তনালীতে কোলস্টেরিলের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেয় । যাতে পিত্তের পাথর প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় । এর পাশাপাশি টাটকা ভূট্টার মধ্যেকার নানা ধরনের উপাদান হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন, উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদ রোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম ।
কোষ্ঠকাঠিন্য কর্মচঞ্চল লোক ও বেশি বয়সী লোকের জন্য এক ধরনের নিয়মিত রোগ । দীর্ঘকাল ধরে তা শরীরের রাসায়নিক রূপান্তর ও পেটের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। টাটকা ভূট্টার মধ্যে প্রচুর কোষপুঞ্জ পেটের রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে সৃষ্ট শরীরের বিষাক্ত উপাদানের ক্ষতি কমাতে সক্ষম । এ জন্য সবসময় ভুট্টা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কমে যাবে । যদি টাটকা ভূট্টা না পান তাহলে মিষ্টি আলু খেলে একই ধরনের উপকার পাবেন।
৩. দাঁত সংরক্ষণের জন্য সহায়ক
দাঁত হচ্ছে শরীরের সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন । বৃদ্ধবয়সের লোকজনের দাঁতের সমস্যা না থাকলে, অন্যান্য বেশি বয়স্ক দাঁতের রোগীদের চেয়ে অনেক সুস্থ্য থাকবেন । টাটকা ভূট্টা খাওয়ার সময় মুখের দাঁতের ভালভাবে ব্যবহার ও চর্চা হয়, ফলে দাঁতের সামর্থ্য আরো শক্তিশালী হবে । এ কারণে সবসময় টাটকা ভূট্টা খেলে দাঁতের স্বাস্থ্যের সংরক্ষণের জন্য অনেক সহায়ক । যদি বৃদ্ধ বয়সের লোকজনের দাঁতে সমস্যা থাকে বা শিশুদের দাঁত যথেষ্ট বৃদ্ধি না পায় , তাহলে পানি দিয়ে সিদ্ধ ভূট্টার ভাত তৈরী করে খেয়েও শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার পাবেন ।
|